![]() |
টেকশহর কনটেন্ট কাউন্সিলর : একেবারে আস্থা ছিল না অনলাইন প্ল্যাটফর্মের উপর, আদো চলবে কি চলবে সেই নিয়ে ছিল সংশয়। ৩০ বছর চাকরি থেকে অবসরের পর মায়ের বোরিং অবস্থা দূর করতে মেয়ের পরামর্শ দিলেন অনলাইনে কাজ করার। খাবার নিয়ে কাজ শুরু করলেন আশরাফুন নাহার। উদ্যোগের নাম আশালতা।
এই নামের পেছনের গল্প জানতে চাইলে জানালেন মিষ্টি একটা গল্প। ডাক নাম আশা আর স্বামীর নাম লতীফ সিদ্দিকি। বিয়ের পর ভাসুর এই দুটো নাম ছোট করে উনাকে আশালতা বলে ডাকতেন। সেই সাথে তাল মিলিয়ে স্বামীও তাকে আশালতা বলে ডাকা শুরু করলেন। উদ্যোগের নাম রাখবার সময় মেয়ে তাই মাকে বাবা যে নামে ডাকত সেই নাম ই বেছে নিলেন। চারুকলার ছাত্রী মেয়ের করা ডিজাইন এবং পরামর্শ ছিল আশরাফুন নাহারের মুল প্রেরণা।
কি কি আছে আপনার উদ্যোগে ? দেশি , বিদেশি নানান খাবারের সাথে পিঠা পুলির সম্ভার আছে আশালতায়। রেডি ফুড এবং ফ্রোজেন ফুড দুটো নিয়েই কাজ করেন তিনি। আকদ,গায়ে হলুদ, জন্মদিন সহ এমন বড় আয়োজনে খাবার পৌঁছে দেন কর্মঠ এই নারী। ৬ জন থেকে ৪০০ জনের খাবার দিতে পারেন তিনি। খাবারের আইটেমে কোয়ালিটি মেইনটেইন করে দেয়া তার প্রথম প্রায়োরিটি।
৫০০ টাকা দিয়ে শুরু করে প্রথম সেলের পেমেন্ট প্রাপ্তির কথা বলতে গিয়ে জানালেন , তিনি ভীষণ খুশি হয়েছিলেন। যেন জীবনের আরেকটা জানালা খুলে গেলো।
শুরুর সময় যেই লক্ষ্য ফিক্স করেছিলেন সেই লক্ষ্য পূরন হয়ে আরও বেশি এগিয়ে গেছেন। জানতে চাওয়া হলো ডেলিভারি নিয়ে, তিনি জানালেন, তিনটা ডেলিভারি প্ল্যাটফর্ম যুক্ত আছে এবং সেই সাথে এলাকার বাইক চালায় এমন কিছু যুবাদের সাথে যোগাযোগ আছে যারা দ্রুত সহযোগিতা করে।
পেমেন্ট সিস্টেম একেবারে নিকটতম হলে ক্যাশ অন ডেলিভারি দেন আশালতা , বাইরের সকলেই এডভান্স পেমেন্ট করে পণ্য নিতে হয় তার কাছ থেকে।
গল্পে গল্পে জানালেন ভিন্ন কিছু অভিজ্ঞতার কথা। শুনুন ভিডিওতে।