![]() |
টেকশহর কনটেন্ট কাউন্সিলর: ব্যবহারকারীর ব্যাক্তিগত তথ্য সংগ্রহ ও ব্যবহারের অভিযোগে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা চালিত চ্যাটবট চ্যাটজিপিটির উদ্ভাবক কোম্পানি ওপেনএআইয়ের বিরুদ্ধে তদন্ত করছে কানাডা। দেশটির ফেডারেল প্রাইভেসি কমিশনারের কার্যালয় থেকে দেয়া এক ঘোষণায় এ কথা জানানো হয়েছে।
কানাডার প্রাইভেসি কমিশনারের কার্যালয় থেকে দেয়া ঘোষণায় বলা হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক কোম্পানি ওপেনএআইয়ের বিরুদ্ধে অনুসন্ধান শুরু করেছে তারা। কারণ তারা জানতে পেরেছে কোম্পানিটি ‘ব্যবহারকারীরর অজ্ঞাতসারে তার ব্যক্তিগত তথ্য সংগ্রহ, ব্যবহার এবং প্রকাশ করে।’
প্রাইভেসি কমিশনার ফিলিপ ডুফ্রেসনে গণমাধ্যকে পাঠানো এক বিবৃতিতে বলেছেন, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা এবং ব্যাক্তিগত গোপনীয়তার ক্ষেত্রে এর প্রভাবকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেয়া হয়। তার অফিসকে অবশ্যই ‘দ্রুত অগ্রগামী প্রযুক্তিগত উৎকর্ষতার’ চেয়ে এগিয়ে থাকতে হবে।তবে ওপেনএআইয়ের বিরুদ্ধে তদন্তের বিষয়ে আর কোন তথ্য প্রকাশ করে নি কমিশনারের কার্যালয়। তবে তদন্ত শেষে এ বিষয়ক প্রতিবেদন জনসম্মুখে প্রকাশের বাধ্যবাধকতা রয়েছে।
কানাডার এই তদেন্তর বিষয়ে কোন মন্তব্য করে নি ওপেনএআই। অন্যদিকে কানাডিয়ান প্রেসের এক প্রম্পটে চ্যাটজিপিটি বট জানিয়েছে, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা চালিত ল্যাঙ্গুয়েজ মডেল হিসেবে ‘চ্যাটজিপিটি পরিচালনাকারী কোম্পানি ওপেনএআইয়ের বিরুদ্ধে প্রাইভেসি কমিশনার অব কানাডা যে তদন্ত শুরু করেছে সে বিষয়ে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের প্রতিক্রিয়া বা পদক্ষেপ সম্পর্কে জানা নেই।’
উল্লখ্য, গত বছরের নভেম্বরে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা পরিচালিত চ্যাটবট চ্যাটজিপিটি নিয়ে আসে ওপেনএআই। এই চ্যাটবটকে যে কোন প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করলে মানুষের মতো করেই উত্তর দিতে পারে। ইন্টারনেটে উপস্থাপিত তথ্যের সাহায্যে বিশদভাবে যেকোন কিছু ব্যখ্যা করতে পারে। অল্প কিছুদিনের মধ্যে তুমুল জনপ্রিয় হয়ে উঠা এই চ্যাটবটটিকে কম্পিউটার কোড তৈরি থেকে চলচ্চিত্রের চিত্রনাট্য লেখার মতো কাজেও ব্যবহার করা হচ্ছে।
প্রতিযোগিতায় টিকে থাকতে অন্যান্য প্রযুক্তি কোম্পানিগুলোও এ ধরনের চ্যাটবট তৈরি করছে। যেমন-মাইক্রোসফট তাদের সার্চইঞ্জিণসহ অন্যান্য সেবাগুলো আরো আধুনিক করতে ওপেনএআইয়ের চেয়েও শক্তিশালী প্রযুক্তি ব্যবহার করছে।
সিবিসি/আরএপি