![]() |
টেকশহর কনটেন্ট কাউন্সিলর: ফেইসবুক এবং ইনস্টাগ্রামের অনেক ব্যবহারকারীদের অ্যাকাউন্টের পাশে নীল রংয়ের টিক চিহ্ন থাকে। এই নীল রংয়ের অর্থ হলো ব্যবহারকারীরর পরিচয় যাচাই করে অ্যাকাউন্ট বা পেজটিকে স্বীকৃতি দেয়া হয়েছে। আর এ কারণে ফেইসবুক ও ইনস্টাগ্রাম ব্যবহারকারীদের কাছে এই টিকমার্ক পাওয়া বেশ লোভনীয়। এতোদিন ভেরিফায়েডের কাজটি বিনামূল্যে সম্পন্ন হলেও এবার অর্থপরিশোধ করতে হবে। যুক্তরাষ্ট্রের ব্যবহারকারীরা খুব শিগগিরই এ সুবিধা পেতে যাচ্ছেন বলে জানিয়েছে মেটা কর্তৃপক্ষ।
ফেসবুকের সত্ত্বাধিকারী প্রতিষ্ঠান মেটার সিইও মার্ক জাকারবার্গ ইনস্টাগ্রামে দেয়া এক ঘোষণায় জানিয়েছেন, মেটা শুক্রবার থেকে ফেসবুক ও ইনস্টাগ্রাম ব্যবহারকারীদের জন্য অর্থের বিনিময়ে অ্যাকাউন্ট অথবা পেজ ভেরিফিকেশন করার অপশন নিয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা শুরু করেছে। আগামি কয়েক সপ্তাহের মধ্যে ধীরে ধীরে যুক্তরাষ্ট্রের সব ব্যবহাকারীই এ সুবিধা পাবেন।
মেটা ফেব্রুয়ারিতে অস্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ডে প্রথম পরীক্ষামূলক পেইড ভেরিফায়েড টেস্ট করে। এ সময় ওয়েবের জন্য মাসে ১১ দশমিক ৯৯ ডলার এবং মোবাইলের জন্য ১৪ দশমিক ৯৯ ডলার করে নেয়া হয়। ভেরিফিকেশনের পাশাপাশি ছদ্মবেশি অ্যাকাউন্ট থেকে অতিরিক্ত সুরক্ষা এবং গ্রাহক সহায়তায় সরাসরি প্রবেশের মতো অপশনও দেয়া আছে।
ভুয়া অ্যাকাউন্ট এড়িয়ে যেতে যে ব্যবহারকারীরা ব্লু ব্যাজ পেতে ইচছুক তাদেরকে প্রোফাইল নাম ও ছবির সাথে মিলবে এমন সরকারি আইডি দিতে হবে। নতুন পরিষেবা পেতে অ্যাকাউন্টধারীর বয়স অবশ্যই ১৮ বছরের বেশি হতে হবে।
ফেব্রুয়ারিতে জাকারবার্গ বলেছেন, ‘আমাদের সেবার সত্যতা ও নিরাপত্তা বাড়াতেই এ নতুন ফিচার যোগ করা হচ্ছে।’
ডিসকর্ড,রেডিট এবং ইউটিউবের মতো অন্যান্য সামাজিক যোগাযোগ প্লাটফর্মগুলোর নিজস্ব সাবস্ক্রিপশন ভিত্তিক মডেল রয়েছে। এবার এ দলে যোগ দিয়েছে মেটাও। গত ডিসেম্বর থেকে নিজস্ব ভেরিফিকেশন সাবস্ক্রিপশন সার্ভিস টুইটার ব্লু চালু করে টুইটার। ভুয়া ‘ভেরিফায়েড’ অ্যাকাউন্ট শনাক্ত হওয়ার পর এ পদ্ধতি গ্রহনে বাধ্য হয় টুইটার। টুইটারে ব্লু ব্যাজের জন্য আইওএস এবং অ্যান্ড্রয়েড সাবস্ক্রাইবারদের জন্য মাসে ১১ ডলার করে পরিশোধ করতে হয়। মোট ৪৪ বিলিয়ন ডলারে টুইটার ক্রয়ের পর সাবস্ক্রিপশন ব্যবসা বৃদ্ধির একটি অংশ হিসেবে এ পদক্ষেপ নেয়া হচ্ছে।
অন্যদিকে বিজ্ঞাপনের পাশাপাশি আয় বৃদ্ধির আরেকটি পথ বের করতেই মেটা এ পদক্ষেপ নিয়েছে। কারণে এই মুহুর্তে বিভিন্ন কারণে মেটার মূল ব্যবসা বেশ চাপের মধ্যে রয়েছে।
সিএনএন/আরএপি
আরও পড়ুন