বিবিসির কর্মীদের টিকটক অ্যাপ ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞা

টেকশহর কনটেন্ট কাউন্সিলর: বিবিসি তাদের কর্মীদেরকে করপোরেট ফোন থেকে টিকটক অ্যাপ ডিলিট করে দেয়ার পরামর্শ দিয়েছে । ব্যাক্তিগোপনীয়তা ও নিরাপত্তাজনিত শঙ্কা থেকে এ পরামর্শ দিয়েছে যুক্তরাজ্যভিত্তিক বার্তা সংস্থাটি। দেশটির গণমাধ্যমগুলোর মধ্যে বিবিসিই প্রথম এ ধরনের পদক্ষেপ নিয়েছে।

বিবিসির পক্ষ থেকে বলা হয়েছে সম্পাদকীয় ও মার্কেটিংয়ের কাজে তারা টিকটক ব্যবহার করে যাবে। উল্লেখ্য, গোপনীয়তা লঙ্ঘন করে গ্রাহকদের ব্যাক্তিগত তথ্য চীনা সরকারের কাছে পাচার করার অভিযোগ রয়েছে চীনের এই জনপ্রিয় ভিডিও প্লাটফর্ম টিকটকের বিরুদ্ধে। যদিও টিকটক বলে আসছে তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ ভিত্তিহীন। যুক্তরাজ্যসহ বিশ্বের অনেক দেশই সরকারি কর্মীদেরকে অফিসের ফোনে টিকটক অ্যাপস ব্যবহার নিষিদ্ধ করেছে। এসব দেশের কাতারে যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা, নিউজিল্যান্ড ও বেলজিয়াম রয়েছে। ইউরোপিয়ান কমিশনে কর্মরত কোন ব্যাক্তিও অফিসের ফোনে টিকটক ব্যবহার করতে পারবেন না।

টিকটকের মূল কোম্পানি বাইটডান্সের কর্মীরা বেশ কয়েকজন পশ্চিমা সাংবাদিকদের নজরদারিতে রেখেছেন বলে গত বছর জানা যায়। পরবর্তীতে এই কর্মীদেরকে চাকরিচ্যুত করা হয়।

Techshohor Youtube

যুক্তরাজ্যের ফরেন অ্যাফেয়ার্স কমিটির প্রধান অ্যালিসিয়া কেরানসকে বিবিসির সিদ্ধান্তের বিষয়ে জিজ্ঞাসা করা হলে বলেন, ‘উৎসগুলো রক্ষা করার বিষয়ে অগ্রাধিকার দেয়া না হলে তা একটি বড় সমস্যা।’

তব বেশিরভাগ গণমাধ্যম এখনো টিকটক ব্যবহারে আগ্রহী বলে জানিয়েছেন প্রেস গেজেটের সম্পাদক ডমিনিক পনসফোর্ড। তিনি বলেছেন, অন্যান্য গণমাধ্যম সংস্থাগুলো কি করে সে তা দেখতে চাইছি। তিনি আরো বলেন, ‘এখন পর্যন্ত সংবাদ সংস্থাগুলো টিকটক ব্যবহারে বেশ আগ্রহী। কারণ গত বছর পর্যন্ত এটি ছিলো সংবাদ প্রকাশকদের জন্য সবচেয়ে দ্রুতগতির সোশ্যাল মিডিয়া প্লাটফর্ম। এছাড়া এটি দর্শক পাওয়ার একটি ভালো উৎসও। তাই গণমাধ্যম প্রতিষ্ঠানগুলো টিককটক নিষিদ্ধ করার চেয়ে ব্যবহারের বিষয়েই ভাবছে।

প্রসঙ্গত এই শর্ট ভিডিও প্লাটফর্মটি তাদের ভাইরাল ডান্স ক্রেজ, ফিল্টার ও স্কেচের জন্য তুমুল জনপ্রিয়। পুরো বিশ্বে অ্যাপটি এখন পর্যন্ত ৩ দশমিক ৫ বিলিয়ন ডাউনলোড হয়েছে।

বিবিসির একজন মুখপাত্র জানিয়েছেন, তাদের সিস্টেম, ডাটা ও সাধারন মানুষের ক্ষেত্রে নিরাপত্তার বিষয়টি গুরুত্বের সাথে নেয়। বিশ্বজুড়ে বিভিন্ন দেশের সরকার ব্যক্তিগোপনীয়তা ও নিরাপত্তা নিয়ে যে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে তারই পরিপ্রেক্ষিতে এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।’

বিবিসির নিজস্ব টিকটক চ্যানেলের ১২ কোটি ফলোয়ার রয়েছে। শুধুমাত্র এই চ্যানেলের জন্য কনটেন্ট তৈরি করতে সম্প্রতি সাংবাদিক নিয়োগ দিয়েছে সংস্থাটি।

বিবিসি/আরএপি

*

*

আরও পড়ুন