অবশেষে সিটিসেলের লাইসেন্স বাতিল

citycell-btrc-techshohor

টেক শহর কনটেন্ট কাউন্সিলর : সিটিসেলের লাইসেন্স বাতিল করেছে বিটিআরসি।

বুধবার প্যাসিফিক বাংলাদেশ টেলিকম লিমিটেড বা সিটিসেলকে তাদের টুজি সেলুলার মোবাইল ফোন অপারেটর লাইসেন্স বাতিলের চিঠি পাঠিয়েছে নিয়ন্ত্রণ সংস্থাটি। এই লাইসেন্সের (নবায়নকৃত) মেয়াদ ২০২৬ সালের ১০ নভেম্বর পর্যন্ত ছিলো।

বিটিআরসি অপারেটরটির কাছে ২১৮ কোটি ৪০ লাখ ২০ হাজার ৬৫৯ টাকা পাবে। এই টাকার উপর বিলম্ব ফি বকেয়া পরিশোধের দিন পর্যন্ত যোগ হবে বা আদালতের রায় অনুযায়ী সিটিসেলকে দিতে হবে।

Techshohor Youtube

বিটিআরসি চেয়ারম্যান শ্যাম সুন্দর সিকদার টেকশহর ডটমককে বলেন, ‘তাদের কাছে পাওনা আদায়ে আমরা ফৌজদারি এবং দেওয়ানি মামলা দুটিই করেছি।’

‘লাইসেন্স বাতিল হওয়ার পর তাদের এটা ভাবার কোনো কারণ নেই যে, সরকারের পাওনা পরিশোধ না করে চলে যেতে পারবে। পাওনা আদায়ের ক্ষেত্রে বিটিআরসি সবসময়ই সক্রিয়’ বলছিলেন তিনি।

২০২২ সালের জানুয়ারির শেষের দিকে অপারেটরটির লাইসেন্স বাতিলের সিদ্ধান্ত নেয় বিটিআরসি। এরপর এর পূর্বানুমোদনের জন্য ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগে পাঠায়। মঙ্গলবার এই পূর্বানুমোদন মেলে ।

জানুয়ারির শেষে  ‘বিনিয়োগের ‘গল্পেও’ রক্ষা হলো না সিটিসেলের, বাতিল হচ্ছে লাইসেন্স’ শিরোনামের প্রতিবেদনে সিটিসেলের লাইসেন্স বাতিল সংক্রান্ত বিস্তারিত তুলে ধরেছিলো টেকশহর ডটকম।

ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার টেকশহর ডটকমকে তখন জানিয়েছেন, ‘সিটিসেলের লাইসেন্স রাখার কোনো যুক্তিসঙ্গত কারণ নেই।’

লাইসেন্স বাতিলে বিটিআরসির নেয়া সিদ্ধান্তের আগে অপারেটরটি বকেয়া পরিশোধের আশ্বাস ও বিনিয়োগ এনে ফেরার কথা বলেছিলো। কিন্তু সে ‘গল্প’ দিয়েও শেষ রক্ষা হয়নি সিটিসেলের।

এরও আগে ‘নির্ধারিত সময়ে সরকারের বকেয়া পরিশোধ না করায়’ প্যাসিফিক বাংলাদেশ টেলিকম লিমিটেড বা সিটিসেলের লাইসেন্স কেন বাতিল করা হবে না-কারণ দর্শানো নোটিশ দেয় বিটিআরসি। ২০২২ সালের অক্টোবরে ৩০ দিন সময় দিয়ে এই নোটিশ দেয়ার আগেও ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের পূর্বানুমোদন নিয়েছিলো নিয়ন্ত্রণ সংস্থাটি।

সিটিসেলের টুজি সেলুলার মোবাইল অপারেটর লাইসেন্স বাতিলের সিদ্ধান্তের আগে ২০২২ সালের সেপ্টেম্বরে রেডিও কমিউনিকেশন ইকুইপমেন্ট লাইসেন্স ও তরঙ্গ বাতিল করে দেয়া হয়।

১৯৮৯ সালে দেশের প্রথম মোবাইল অপারেটরের লাইসেন্স পেয়ে সিটিসেল ১৯৯৩ সাল থেকে সেবা দিতে শুরু করে।

অপারেটরটির ৪৪ দশমিক ৫৪ শতাংশ শেয়ারের মালিক সিঙ্গাপুরের টেলিযোগাযোগ সেবাদাতা কোম্পানি সিংটেল-এর হাতে।

আর সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোর্শেদ খানের প্যাসিফিক মোটর্সের রয়েছে ৩৭ দশমিক ৯৫ শতাংশ শেয়ার। এছাড়া ১৭ দশমিক ৫১ শতাংশ শেয়ার রয়েছে ফার ইস্ট টেলিকমের হাতে। সেটিও আসলে মোর্শেদ খানেরই আরেকটি কোম্পানি।

*

*

আরও পড়ুন