২ বছর ধরে ২ হাজার ইউনিয়নের প্রান্তিক নারীর ক্ষমতায়নে গ্রামীণফোনের উদ্যোগ

গ্রামীণফোনের প্রধান কার্যালয় জিপি হাউজ। ছবি : টেকশহর

টেকশহর কনটেন্ট কাউন্সিলর : ২ হাজার ইউনিয়নের প্রান্তিক নারীদের ডিজিটাল অন্তর্ভুক্তির জন্য ৯ মার্চ থেকে গ্রামীণফোন শুরু করেছে উঠান বৈঠক। ২ বছর ধরে চলবে এই আয়োজন।

আন্তর্জাতিক নারী দিবসের চেতনার সাথে একাত্ম হয়ে গত ৭ মার্চ জিপি হাউজের ময়দানে ‘ডিজিটঅল: ইনোভেশন অ্যান্ড টেকনোলজি ফর জেন্ডার ইক্যুয়ালিটি’ শীর্ষক এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।

যেখানে লিঙ্গ পরিচয় নির্বিশেষে সবার ডিজিটাল অন্তর্ভুক্তির ওপর গুরুত্বারোপ করা হয়, যাতে সবাই ডিজিটাল বিপ্লবের যুগে উদ্ভাবন ও প্রযুক্তির সম্ভাবনা উন্মোচন করতে পারেন। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন গ্রামীণফোনের প্রধান নির্বাহী ইয়াসির আজমানসহ প্রতিষ্ঠানটির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ।

Techshohor Youtube

গ্রামীণফোনের সিইও ইয়াসির আজমান বলেছেন, “আমাদের চারপাশে অনেক অনুপ্রেরণামূলক গল্প রয়েছে। যেমন দিনা মৃ যিনি মধুপুরের প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে ফ্রিল্যান্সিং করছে  কিংবা ফোয়ারা ফেরদৌস যিনি ঘরে বসে তার নিজস্ব এফ-কমার্স ব্যবসা প্রতিষ্ঠা করেছেন বা ডঃ তাসনিম জারা যিনি প্রতিদিন অনলাইনে চিকিৎসা সংক্রান্ত ভুল তথ্যের বিরুদ্ধে লড়াই করেন। কিন্তু এমন অনেক নারীও আছেন যাদেরকে আমরা এই গল্পগুলো বলে, তাদের হাতের মুঠোয় থাকা সম্ভাবনাগুলোকে উন্মোচনে অনুপ্রাণিত করতে পারি।”

এর মাধ্যমে যেসব নারীদের প্রযুক্তি ব্যবহারের সুযোগ নেই কিংবা সীমিত সুযোগ রয়েছে তাদের মধ্যে সচেতনতা তৈরি করা হবে এবং তাদের ডিজিটাল স্বাক্ষরতা বৃদ্ধিতে ভূমিকা রাখার মাধ্যমে তাদের ক্ষমতায়ন করা হবে। ২ হাজার ইউনিয়নের গ্রাম ও প্রান্তিক অঞ্চলের নারীদের বিশেষ এ উঠান বৈঠকে যোগ দেওয়ার জন্য আমন্ত্রণ জানানো হবে যেখানে ইন্টারনেট তাদের জীবনকে কিভাবে উন্নত করতে পারে এবং সম্ভাবনা উন্মোচনে সাহায্য করতে পারে তা নিয়ে সচেতন করা হবে।

সেশনগুলি বাস্তব জীবনের উদাহরণ উপস্থাপন করে নারীদের প্রযুক্তি ব্যবহার নিয়ে যে ট্যাবু ও ভুল ধারনা প্রচলিত রয়েছে তা ভাঙতে তাদের সচেতন করবে। এছাড়াও অনুপ্রেরণামূলক মহিলাদের সাথে তাদের সংযোগের মাধ্যমে নারীদের ডিজিটাল অন্তর্ভুক্তির সম্ভাবনা এবং প্রয়োজনীয়তাগুলি প্রদর্শন করবে।  

গ্রামীণফোনের কর্মী ও সংশ্লিষ্ট এলাকার অনুপ্রেরণাদায়ী নারীরা উঠান বৈঠকে তাদের মত ব্যক্ত করবেন। অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে নিরাপদ ইন্টারনেট ব্যবহার সম্পর্কে  শিক্ষা  ও সচেতনতা তৈরি সম্পর্কে আলোচনা করবেন, যাতে অংশগ্রহণকারীরা ইন্টারনেটের শক্তিকে কাজে লাগিয়ে তাদের ব্যক্তিগত জীবন ও কাজের ক্ষেত্রে সফলতা অর্জন করতে পারেন। অনলাইন নিরাপত্তার উপর অতিরিক্ত ফোকাস দিয়ে অনলাইন এবং অফলাইন মডিউল উভয়ই ব্যবহার করা হবে।

*

*

আরও পড়ুন