![]() |
টেকশহর কনটেন্ট কাউন্সিলর : ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বলেছেন, বাংলা পৃথিবীর মধুরতম এবং বিজ্ঞান সম্মত ভাষা। ভাষা আন্দোলনের মধ্য দিয়ে বঙ্গবন্ধু স্বাধীন বাংলাদেশের ভিত্তি তৈরি করেছিলেন। বাংলাদেশ সৃষ্টি হয়েছে বলেই বাংলাদেশ এখন বাংলা ভাষা ও সাহিত্যের রাজধানী এবং বাংলা বাংলাদেশেই বেঁচে থাকবে ।
মন্ত্রী সোমবার ঢাকায় বাংলা একাডেমির কবি শামসুর রহমান মিলনায়তনে ঝুমঝুমি প্রকাশন আয়োজিত তার লেখা ডিজিটাল সময়ের বর্ণমালা এবং শিক্ষার ডিজিটাল রূপান্তর বইয়ের প্রকাশনা অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন।
মোস্তাফা জব্বার বলেন, দেড় বছর গবেষণার পর কম্পিউটারের ইংরেজী কী বোর্ডের ২৬টি বোতামে ৪৫৪টি ( বিভিন্ন যুক্তাক্তরসহ) বাংলা হরফ লেখার পদ্ধতি উদ্ভাবন সম্ভব হয়। দেশে উপযুক্ত প্রোগ্রামার না পেয়ে দিল্লীতে দেবেন্দ্র জুসি নামের একজন প্রোগ্রামারের মাধ্যমে বিজয় বাংলা সফটওয়্যার তৈরির আদ্যপান্ত বর্ণনা করেন ।
এরই ধারাবাহিকতায় দেশে ডিজিটাল প্রযুক্তিতে বাংলা হরফের সুবাদে প্রকাশনা শিল্পে বৈপ্লবিক পরিবর্তন সুচিত হয়েছে বলে উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, প্রযুক্তিতে ৩২৪ বছরে পিছিয়ে থাকার দুর্গতি দূর করাই ছিল আমার সাধনার লক্ষ্য। এক সময় কলকাতা থেকে শীশার হরফ এনে প্রকাশনা শিল্প চালাতে হতো আজ আমরা গর্ব করে বলতে পারি কলকাতায় বিজয় বাংলা সফটওয়্যার রপ্তানি হচ্ছে।
মোস্তাফা জব্বার বলেন, বাংলা একাডেমির বই মেলা বাঙালির সাহিত্য সংস্কৃতির প্রাণ কেন্দ্রে পরিণত হয়েছে। আমি সারা বিশ্বের একজন অনন্য গর্বের গর্বিত মানুষ এজন্য যে এই মেলার বাংলা বই-এর অক্ষরগুলো আমি নিজের হাতে ডিজিটাল অক্ষরে রূপান্তর করেছি। হাওরের কাদামাটি পায়ে মাখিয়ে এতোটা সৌভাগ্য অর্জন করা আমার জন্য এক অসাধারণ অর্জন। এক জীবনে একজন মানুষের এর চাইতে আর বেশি কিছু চাইবার থাকেনা। তিনি বলেন একটি বইয়ের আসল মূল্যায়নকারি হচ্ছে তার পাঠক। তারাই মূল্যায়ন করবে কোনটা ভাল আর কোনটা মন্দ।
বিশিষ্ট রাজনীতিবীদ এবং বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের মুখপত্র মাসিক উত্তরণ সম্পাদক ও প্রকাশক ড. নূহ –উল-আলম লেনিন এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে কবি নির্মলেন্দু গুণ, শিক্ষাবিদ ড. মোহিত উল আলম, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজ কল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক আমিনুল ইসলাম, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্য নির্বাহী সদস্য মো: গোলাম কবির রাব্বানী চিনু, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ স্বেচ্ছা সেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক এ কে এম আফজালুর রহমান বাবু, কবি আসলাম সানি, বাংলা একাডেমির পরিচালক ড. মো: শাহাদাৎ হোসেন নিপু এবং ঝুমঝুমি প্রকাশনের প্রকাশক শায়লা রহমান তিথি বক্তৃতা করেন। অনুষ্ঠান উপস্থাপনা করেন বিশিষ্ট লেখক পাশা মোস্তাফা কামাল।