দেশের হাই টেক পার্কগুলোতে জাপানের বিনিয়োগ চায় সরকার

টেকশহর কনটেন্ট কাউন্সিলর : বাংলাদেশের আইসিটিখাতের উন্নয়নে হাই টেক পার্কগুলোতে জাপানের বিনিয়োগসহ আগামী দিনে যৌথভাবে কাজ করতে চায় সরকার। বৃহস্পতিবার অনলাইন ওয়েবিনারে আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক এবং বাংলাদেশ হাই-টেক পার্ক কর্তৃপক্ষ, জাপানের বাংলাদেশ দূতাবাস, বিজেআইটি, জেট্রোর প্রতিনিধিরা সংযুক্ত ছিলেন।

পলক বলেন, স্বাধীনতার পর যেসব দেশ দ্রুত বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দিয়েছিলো জাপান তাদের অন্যতম। স্বাধীনতার অব্যবহিত পর থেকেই জাপান বাংলাদেশের একক উন্নয়ন সহযোগী। অদূর ভবিষ্যতে বাংলাদেশের সাথে জাপানের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক আরো জোরদার হবে বলে আশা করেন।

আইসিটি প্রতিমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশে টেকসই হাই-টেক ম্যানুফ্যাকচারিং ইকোসিস্টেম নির্মাণের এখনই উপযুক্ত সময় যেখানে বাংলাদেশ হাই-টেক পার্ক কর্তৃপক্ষ অগ্রণী ভূমিকা পালন করতে পারে। কোভিড-১৯ পরবর্তী বৈশ্বিক মন্দা কাটিয়ে উঠতে উদীয়মান অর্থনীতিগুলোর প্রতিযোগিতায় টিকে থাকতে শ্রম-নির্ভর অর্থনীতি যথেষ্ট নয়। চলমান পরিস্থিতিতে যেসব দেশ জ্ঞান-ভিত্তিক ও প্রযুক্তি নির্ভর শিল্পের বিকাশে মনোনিবেশ করছে তারাই এফডিআই (সরাসরি বৈদেশিক বিনিয়োগ) আকৃষ্ট করতে সমর্থ্য হবে। এই বাস্তবতা উপলব্ধি করে, প্রযুক্তিভিত্তিক অবকাঠামো উন্নয়নে শুরু থেকেই নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে বাংলাদেশ হাই-টেক পার্ক কর্তৃপক্ষ।

Techshohor Youtube

ওয়েবিনারে যোগদানকারী প্রতিনিধিদের স্বাগত জানান বাংলাদেশ হাই-টেক পার্ক কর্তৃপক্ষ এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক (অতিরিক্ত সচিব) ড. খন্দকার আজিজুল ইসলাম। পরিচিতি পর্বের পর তিনি পাওয়ার পয়েন্ট উপস্থাপনায় বাংলাদেশের উদীয়মান অর্থনীতির চিত্র এবং ক্রমবিকাশমান আইসিটি ইন্ডাস্ট্রিতে দুই দেশের অংশীদারত্বের ভিত্তিতে কাজ করার সুযোগ নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেন। বিশেষ করে বাংলাদেশের হাই-টেক পার্কগুলোতে বিনিয়োগের সুযোগ নিয়ে তিনি বিস্তারিত আলোচনা করেন।

আলোচনায় বক্তারা বলেন, বাংলাদেশ অর্থনীতি এখন অনেক শক্তিশালী, ফলে গ্লোবাল ইকোনমিতে বাংলাদেশকে বিচ্ছিন্নভাবে দেখার সুযোগ নাই। বাংলাদেশ সরকার ইতোমধ্যে শিক্ষা-স্বাস্থ্য-যোগাযোগ-আইসিটিসহ বিভিন্ন সেক্টরে অভূতপূর্ব উন্নতি সাধন করেছে। ফলে এখন বাংলাদেশ টেক-অফ করার পর্যায়ে অবস্থান করছে। কোনো দেশের উন্নয়নে সম্পদ গুরুত্বপূর্ণ নয় বরং দক্ষ জনশক্তি, শক্তিশালী প্রতিষ্ঠান, ইনোভেটিভ আইডিয়া ও এক্সিলারেশন অত্যন্ত প্রয়োজন। অদূর ভবিষ্যতে বাংলাদেশ কাউকে মডেল হিসেবে নয় বাংলাদেশকেই অন্য দেশ মডেল হিসেবে গ্রহণ করবে।

উল্লেখ্য, দেশে ইনোভেশন ইকোসিস্টেম গড়ে তোলার মাধ্যমে বেসরকারি বিনিয়োগের গতি বৃদ্ধি করতে ডিজিটাল উদ্যোক্তা তৈরি করছে বাংলাদেশ হাই-টেক পার্ক কর্তৃপক্ষ। এছাড়া স্টার্টআপ এবং ক্ষুদ্র ও মাঝারি প্রতিষ্ঠানগুলোর ইন্ডাস্ট্রিতে প্রবেশের হার বাড়ানো এবং জেন্ডার ইনক্লুসিভ ডিজিটাল এন্টারপ্রেনারশিপ তৈরি করা সরকারের অন্যতম লক্ষ্য।

*

*

আরও পড়ুন