নিরাপদ ডিজিটাল বিশ্ব নিশ্চিতে বৈশ্বিক জোট গঠনের আহ্বান পলকের

টেকশহর কনটেন্ট কাউন্সিলর : তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক নিরাপদ ডিজিটাল বিশ্ব নিশ্চিত করতে বৈশ্বিক জোট গঠনে বিশ্ব নেতৃত্ববৃন্দকে এক সাথে কাজ করার আহ্বান জানান।

প্রতিমন্ত্রী রবিবার সৌদি আরবের রাজধানী রিয়াদে ফেয়ারমাউন্ট হোটেলে “ডিজিটাল কো-অপারেশন অর্গানাইজেনের” ২য় সাধারণ অধিবেশনে প্যানেল আলোচনায় বক্তব্য রেখেছেন ।

তিনি বলেন, ২০১৬ সাল থেকে বাংলাদেশ আমাদের সাইবার নিরাপত্তা সক্ষমতায় বিনিয়োগ করেছি এবং সম্প্রতি জাতীয় সাইবার নিরাপত্তা সূচকে বিশ্বব্যাপী ৩২ তম অবস্থানে এবং দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ায় প্রথম। কিন্তু সাইবার নিরাপত্তা এমন একটি ক্ষেত্র যেখানে একা চলা যায় না। সাইবারস্পেসে হুমকি মোকাবেলায় ডেকোর সদস্য দেশসমূহের মধ্যে চিন্তাভাবনা, জ্ঞান বিনিময় ও তথ্য আদান-প্রদানে একসঙ্গে কাজ করতে হবে। আমরা এরইমধ্যে অনেক দেশ এবং সংস্থার সাথে অংশীদারিত্ব তৈরি করেছি বলে তিনি জানান।

Techshohor Youtube

পলক বলেন , বর্তমানে বিশ্বের সকল দেশের জন্য আর্টিফিশিয়াল ইন্টিলিজেন্স (এআই), রোবোটিক্স, মাইক্রো প্রসেসর ডিজাইনিং অ্যান্ড মেনুফ্যাকচারিং, এবং সাইবার নিরাপত্তা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে। নাগরিকদের গোপনীয়তা ও ডেটা সুরক্ষিত রাখতে ডেটা সুরক্ষা আইন চালু করা হয়েছে বলেও তিনি জানান।

প্রতিমন্ত্রী বলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মানবসম্পদ উন্নয়ন, ই-গভর্নমেন্ট, কানেক্টিভিটি এবং ইন্ডাস্ট্রি প্রমোশন এ চারটি প্রধান স্তম্ভের ওপর ভিত্তি করে ডিজিটাল বাংলাদেশ বাস্তবায়ন করেছেন। বিগত ১৪ বছরে আইসিটি খাতের উন্নয়নের ফলে আইটি/আইটিইএস খাতে ২০ লক্ষ কর্মসংস্থান সৃষ্টি হয়েছে। আইসিটি খাতে ১ দশমিক ৪ বিলিয়ন ডলার রপ্তানি আয় হচ্ছে। বাংলাদেশে ৫২ হাজার সরকারি ওয়েবসাইট রয়েছে।

দেশে সাড়ে ৬ লক্ষ ফ্রিল্যান্সার রয়েছে উল্লেখ করে বলেন বাংলাদেশ অনলাইন ওয়ার্ক ফোর্সে দ্বিতীয় বৃহত্তম দেশ। প্রযুক্তিতে দেশের মেধাবী তরুণদের দক্ষ করে গড়ে তুলতে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে ইনকিউবেশন সেন্টারসহ বিভিন্ন কার্যক্রম বাস্তবায়ন করা হয়েছে বলে জানান।

তিনি বলেন, প্রযুক্তিবান্ধব  বিভিন্ন নীতিকৌশলের ফলে দেশ শ্রমনির্ভর অর্থনীতি থেকে ডিজিটাল অর্থনীতির দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। স্টার্টআপ ইকোসিস্টেম তৈরি করতে সরকারিভাবে ৫০০ কোটি টাকার তহবিল রাখা হয়েছে। এর মধ্যে থেকে ৩৯২ জনকে  স্টার্টআপ ইকুইটি ফান্ড প্রদান করা হয়েছে।

তিনি বলেন ইতোমধ্যে আমরা সফলভাবে ডিজিটাল বাংলাদেশ বাস্তবায়ন করেছি। ২০৪১ সালের মধ্যে স্মার্ট সিটিজেন, স্মার্ট ইকোনমি, স্মার্ট গভর্নমেন্ট এবং স্মার্ট সোসাইটি এই চারটি মূল স্তম্ভের ওপর ভিত্তি করে একটি সাশ্রয়ী, টেকসই, বুদ্ধিদীপ্ত, জ্ঞানভিত্তিক, উদ্ভাবনী স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে কাজ শুরু করেছি।

“ডিজিটাল কো-অপারেশন অর্গানাইজেনের সেক্রেটারি জেনারেল মিসেস দীমা আল ইয়াহিয়া সঞ্চালনায় অন্যান্যোর মধ্যে ডেকো এর সদস্য রাষ্ট্রসমূহ ও পর্যবেক্ষক দেশ সমূহে বিভিন্ন মন্ত্রী ও প্রতিনিধিগণ প্যানেল আলোচনায় এসময় উপস্থিত ছিলেন।

*

*

আরও পড়ুন