![]() |
টেকশহর কনটেন্ট কাউন্সিলর : মাদারীপুরের শিবচর উপজেলায় ‘শেখ হাসিনা ইনস্টিটিউট অফ ফ্রন্টিয়ার টেকনোলজি (SHIFT)-এর ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করা হয়েছে। মঙ্গলবার সকালে বাংলাদেশ জাতীয় সংসদের চিফ হুইপ নূর-ই-আলম চৌধুরী এবং আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক এই ভিত্তিপ্রস্তরের ফলক উন্মোচন করেন।
ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন অনুষ্ঠানে আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, দেশের সর্বপ্রথম ফ্রন্টিয়ার প্রযুক্তিভিত্তিক বিশেষায়িত ও ডেডিকেটেড একাডেমিক ইন্সটিটিউশনের মাধ্যমে মাদারীপুরকে আধুনিক ও স্মার্ট নগরী হিসেবে গড়ে তুলতে সরকার বদ্ধপরিকর। ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণের পর এখন আমরা বাংলাদেশকে উন্নত দেশের কাতারে নিয়ে যেতে চাই; আগামী ২০৪১ সালের মধ্যে স্মার্ট বাংলাদেশ বির্নিমাণ করতে চাই, যেটা হবে সোনার বাংলার প্রতিরূপ।
তিনি আরও বলেন, আমাদের মেধাবীদের প্রস্তুত করবার জন্য শেখ হাসিনা ইন্সটিটিউট অফ ফ্রন্টিয়ার টেকনোলজিতে যে সকল বিষয়ে গুরুত্ব প্রদান করা হবে সেগুলোর মধ্যে বায়োটেকনোলজি, ন্যানোটেকনোলজি, নিউরোটেকনোলজি, সাইবার সিকিউরিটি, আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স, ইন্টারনেট অফ রোবোটিক্স থিংস, ব্লক চেইন, ডেটা সায়েন্স, হাইপার অটোমেশন, টেকনোলজিক্যাল এথিক্স, বিহেভিয়ার এন্ড এক্সপেরিয়েন্স ইঞ্জিনিয়ারিং এবং ইনোভেশন ও অন্ট্রাপ্রেনরশীপ অন্যতম।
জাতীয় সংসদের চিফ হুইপ নূর-ই-আলম চৌধুরী বলেন, আমাদের এই অঞ্চলের মানুষ শিক্ষায় অত্যন্ত অনগ্রসর এবং বিদেশমুখী। এই অঞ্চলের তরুণ-তরুণীদের আইটিতে দক্ষ মানবসম্পদ হিসেবে গড়ে তোলা গেলে তাদের কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হবে; এর ফলে দেশে থেকেই আমাদের তরুণ-তরুণীরা বৈদেশিক মুদ্রা আয় করতে পারবে। এক্ষেত্রে যেকোনো সহযোগিতার প্রয়োজন হলে এই এলাকার সন্তান হিসেবে আমি এবং আমার জনগণ পাশে আছি থাকবো।
বাংলাদেশ হাই-টেক পার্ক কর্তৃপক্ষ এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক (গ্রেড-১) ডা. বিকর্ণ কুমার ঘোষ বলেন, আমাদের স্বপ্নের পদ্মা সেতুর ঠিক পাশেই মাদারীপুর জেলার শিবচর উপজেলায় প্রায় ৭০.৩৪ একর জায়গা জুড়ে “লার্নিং বাই ডুইং” বা “এক্সপেরিয়েনশিয়াল লার্নিং শিক্ষাকে সর্বাধিক গুরুত্ব প্রদান করে লার্নিং কমিউনিটিভিত্তিক ইনোভেশন কালচার চর্চার পাশাপাশি দেশের প্রথম জিরো ওয়েস্ট ও এনভায়রনমেন্টালি সাস্টেইনেবল ক্যাম্পাস হিসেবে শিফটকে প্রতিষ্ঠা করা হবে।
প্রকল্প পরিচালক সৈয়দ জহুরুল ইসলাম (যুগ্ম সচিব) জানান, ছয়তলা গবেষণা ভবন, চারতলা একাডেমিক ভবন, তিনতলা প্রশাসনিক ভবন, শিক্ষক-ছাত্রদের জন্য ডরমেটরি ভবন, ছয়টি বিশেষায়িত ল্যাব শিফটের আওতায় নির্মাণাধীন প্রধান অবকাঠামো। শিফটের পরিকল্পনা করা হয়েছে ভবিষ্যৎ প্রযুক্তিভিত্তিক পুরো বিশ্বের একটি একাডেমিক রোল মডেল হিসেবে। সকল শিক্ষার্থীদের মধ্যে লিডারশীপ স্কিল গড়ে তুলবার উদ্দেশ্যে প্রত্যেকের জন্য পছন্দের যে কোনো বিষয়ে বাৎসরিক একটি ক্লাস পরিচালনা বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। এক্টিভ লার্নিং এনভারোমেন্ট নিশ্চিত করবার লক্ষ্যে ভার্ব ও নোড ক্লাসরুম প্রযুক্তির অনুরূপ এর্গোনমিক ফার্নিচারস এন্ড টুলস এর ব্যবস্থা রাখা হয়েছে।
অনু্ষ্ঠানে বাংলাদেশ হাই-টেক পার্ক কর্তৃপক্ষের কর্মকর্তাগণ এবং স্থানীয় প্রশাসনের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।