![]() |
টেকশহর কনটেন্ট কাউন্সিলর : কভিডকালের অবসাদ কাটিয়ে কাজে ফিরতে শুরু করেন অনলাইন উদ্যোগ রুমা’স আর্ট।এর পরিচালনায় আছেন তাজমিনা রুমা। রুমাস আর্ট পেইজের বয়স ৫ বছর , নিজের প্রাপ্তির জন্য তিনি কাজ শুরু করেন । ছোটবেলা থেকে নিজের নামের প্রতি ভালবাসা ছিল তাই তাজমিনার আড়ালে রুমাকে বাঁচিয়ে রাখতে শুরু করেন রুমাস আর্ট ।
কি কি আছে আপনার উদ্যোগে ? জবাবে জানা গেল রংপুরের শতরঞ্জি , কুমিল্লার বাটিক সিল্ক এবং সিলেটের মনিপুরী শাড়ি আছে রুমার কাছে ।
করোনা মহামারিতে ইভেন্টের কাজ নেই , ঘরে বসে থাকার অনভ্যাস তাকে অস্থির করে তুলছিল। তখন তিনি অনলাইনে কাজ শুরু করলেন। দেশীয় পণ্য শতরঞ্জি নিয়ে কাজ শুরু করতে গেলে অনেকেই জানতে চাইত , রুমার বাড়ি কি রংপুর ? রুমা ভাবতে লাগলেন , এ আবার কেমন কথা ! তিনি কেবল কুমিল্লার নন। তিনি সারা দেশের , বাংলাদেশের । তারপর কুমিল্লার বাটিক শাড়ি সংগ্রহ করতে শুরু করলেন। বাটিক সিল্ক সংগ্রহ করতে গিয়েও তিনি ভাবলেন রাজশাহী সিল্ক সবাই চেনে কিন্তু কুমিল্লার বাটিক সিল্ক তেমন পরিচিত নয় । সেই থেকে সংগ্রহে রাখতে শুরু করলেন এই শাড়ি । কিছুদিন পর ঐতিহ্যর নেশায় সিলেটের মনিপুরী শাড়ির দিকেও ঝুকলেন। এইভাবে রুমাস আর্টে আছে এই তন ধরনের পণ্য ।
ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা হিসেবে নিজের প্রতিষ্ঠানের ব্র্যান্ড রুপ দেখতে চান তাজমিনা রুমা । সারা দেশে উনার প্রতিষ্ঠানের শাখা হবে ।
অফলাইনে কাজ করলেও অনলাইনে অভ্যস্ত হতে সন্তানেরা সাহায্য করেছে, পেইজের কাজে দক্ষ হতে সময় লাগছে।
একই পণ্য নিয়ে কাজ করছেন অনেকে, প্রতিযোগিতা কিভাবে ফেইস করেন ? এই প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, লাইফে চ্যালেঞ্জ থাকবেই , আমি চাইব আমার মতো আরও ১০ জন এগিয়ে আসুক । একা একা কাজ করতে মজা নাই । সকলে মিলে প্রতিযোগিতা করে এগিয়ে যেতে হবে।
যারা এখনো অনলাইনে কাজ করবেন কিনা ভাবছেন তাদের উদ্দেশ্যে রুমা বলেন, আসুন , কাজ করুন, দক্ষতা অর্জন করুন। অনলাইনে কাজ করবার অনেক সুবিধা , সন্তান সংসার সামলে কাজ করা যায় । এখানে কাজ করলে সম্মান আছে।
শতরঞ্জির বুনন নিয়ে চমৎকার বলছিলেন রুমা, আসুন শুনি পুরো কথোপকথন।