![]() |
টেকশহর কনটেন্ট কাউন্সিলর : পর্দা নামলো তিন দিনব্যাপী ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ মেলা-২০২৩‘র। ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার গতকাল শনিবার রাতে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে তিন দিনব্যাপী এই মেলার সমাপ্তি ঘোষণা করেন।
গত বৃহস্পতিবার রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে (বিআইসিসি) প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এক ভিডিও বার্তায় মেলার উদ্বোধন ঘোষণা করেন।
মন্ত্রী বলেন, যতদিন বেঁচে থাকবো ডিজিটাল প্রযুক্তির উৎকর্ষের লড়াই নিয়েই বাঁচবো। এই মেলার মাধ্যমে অনাবিস্কৃত মেধার বিকাশের সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে। অনেকে EEE বিষয়ে লেখাপড়া করে রোবট বানিয়ে দিয়েছে ।
তিনি বলেন, আমি দৃঢ়ভাবে প্রত্যাশা করছি যে আগামী দিনের এ মেলা হবে স্মার্ট বাংলাদেশ মেলা। এ বছরের এই মেলার মধ্য দিয়ে আমরা ডিজিটাল যুগের অর্জন গুলো তুলে ধরার চেষ্টা করেছি। ডিজিটাল প্রযুক্তি উদ্ভাবন, উপযোগী মানব সম্পদ সৃষ্টি, ডিজিটাল প্রযুক্তির আধুনিক সংস্করণের সাথে জনগণের সেতুবন্ধন তৈরি এবং ডিজিটাল বাংলাদেশ কর্মসূচি বাস্তবায়নের অগ্রগতি তুলে ধরাই ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ মেলা’ ২০২৩ এর অন্যতম মূল লক্ষ্য বলে মন্ত্রী উল্লেখ করেন।
মন্ত্রী বলেন, আমাদের দেশের তৈরি আইওটি ডিভাইস সৌদি আরবে রপ্তানি হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী ঘোষিত স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তুলতে আমরা কাজ করছি ডিজিটাল বাংলাদেশের শক্তিশালী ভিত্তির উপর স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে উঠবে।
ডিজিটাল বাংলাদেশের সংযুক্তির মহাসড়ক’ এই বছরের প্রতিপাদ্য নিয়ে আয়োজিত এবারের মেলার সমাপনী অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ডাক ও টেলিযোগাযোগ সচিব আবু হেনা মোরশেদ জামান। অনুষ্ঠানে ডাক, টেলিযোাগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয় সংক্রান্ত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য রেজওয়ান আহাম্মদ তৌফিক, বিটিআরসির চেয়ারম্যান শ্যাম সুন্দর সিকদার এবং জেডটিইর বাংলাদেশ অফিসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক লিউ লিয়ান জেং বক্তৃতা করেন।
রেজওয়ান আহাম্মদ বলেন, হাওরবাসিসহ দুর্গম অঞ্চলে অপটিক্যাল ফাইভারের মাধ্যমে উচ্চগতির ইন্টারনেট সুবিধা পৌঁছে দিয়ে দেশে ডিজিটাল ডিভাইড দূর করে সরকার ডিজিটাল বাংলাদেশের সুফল দেশের সকল মানুষের দোর গোড়ায় পৌঁছে দিয়েছে। এখন হাওরের ছেলে মেয়েরাও ঘড়ে বসে ডলার উপার্জন করছে।
ডাক ও টেলিযোগাযোগ সচিব ডিজিটাল মেলার সফলতা তুলে ধরে বলেন, এই মেলায় তরুণদের অভাবনীয় সাড়া মিলেছে। গত তিন দিনে এক লাখ পঁচাশি হাজার দর্শক মেলা পরিদর্শন করেছে । মেলার সফল আয়োজনের জন্য তিনি ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রীর নেতৃত্বের প্রশংসা করেন ।
এই মেলায় ৫২টি প্যাভিলিয়ন এবং ৭৭ টি স্টল বিভিন্ন ডিজিটাল প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান তাদের পণ্য প্রদর্শন করে। মেলায় ৮ টি সেমিনারের মাধ্যমে সরকারের মাননীয় মন্ত্রী এবং অভিজ্ঞ বক্তারা বর্তমানের প্রযুক্তি ও আগামী দিনে প্রযুক্তির গন্তব্য নিয়ে আলোচনায় অংশ গ্রহণ করেন।
২৮ জানুয়ারি শনিবার মেলা প্রাঙ্গণে সকাল ১০ টায় শিশু ও কিশোর-কিশোরীদের চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়।
পরে মন্ত্রী অনলাইন রচনা ও চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের মধ্যে পুরস্কার বিতরণ করেন এবং অনুষ্ঠানে সেরা স্টল ও স্পন্সরদের মধ্যেও ক্রেস্ট বিতরণ করেন মন্ত্রী।