![]() |
টেকশহর কনটেন্ট কাউন্সিলর : বিনোদন প্ল্যাটফর্ম টিকটক বাংলাদেশে তাদের প্রথম ইভেন্ট আয়োজন করেছে। দেশের টিকটক ব্যবহারকারীদের জন্য ডিজিটাল সেফটি সম্পর্কে সচেতনতা তৈরির লক্ষ্যে সেফটি অ্যাম্বাসেডর প্রোগ্রামের অংশ হিসেবে
এই ইভেন্ট আয়োজন করেছে।
ক্রিয়েটরদের নিয়ে এই আয়োজনে ছিল অনলাইন সেফটি বিষয়ে একটি প্যানেল আলোচনা। প্যানেল আলোচনায় দেশের জনপ্রিয় তারকা ও কনটেন্ট ক্রিয়েটর অংশ নেন, যাদের মধ্যে ছিলেন- এডুকেটর আয়মান সাদিক, জাতীয় ফুটবল দলের অধিনায়ক জামাল ভূঁইয়া, অভিনেত্রী শবনম ফারিয়া, কনটেন্ট ক্রিয়েটর ইফতেখার রাফসান, পিয়া জান্নাতুল, লাইফস্টাইল ইনফ্লুয়েন্সার ফাইজা এবং অভিনেত্রী নীল হুরের জাহান বীথি।
প্যানেল আলোচনায় ডিজিটাল সেফটির বিভিন্ন দিক যেমন- ভুল তথ্য, হয়রানি এবং সাইবার বুলিং, ইন্টারনেটের দায়িত্বশীল ও নিরাপদ ব্যবহার, নিরাপদ কনটেন্ট তৈরি নিয়ে আলোচনা করেন। অতিথিরা উপস্থিত ক্রিয়েটরদের কীভাবে তারা টিকটকে নীতিমালা মেনে সুন্দর সব কনটেন্ট তৈরির মাধ্যমে একজন নিরাপদ কনটেন্ট ক্রিয়েটর হতে দিকনিদের্শনা ও টিপস দেন।
আয়োজন নিয়ে একটি বিশেষ ভিডিও বার্তা দেন বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের (বিটিআরসি) ডিরেক্টর জেনারেল , সিস্টেম অ্যান্ড সার্ভিস, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল নাসিম পারভেজ। তিনি বলেন, বিষয়বস্তু নির্মাতাদের অবশ্যই দায়িত্বশীলভাবে কাজ করতে হবে এবং অন্যদের অনুপ্রাণিত করে এমন ভাল বিষয়গুলো তুলে ধরতে হবে। আমাদের অবশ্যই ভাইরাল হওয়ার প্রবণতা থেকে বেরিয়ে আসতে হবে এবং দেশের প্রতিভার প্রতিনিধিত্ব করে এমন বিষয়বস্তু তৈরিতে কাজ করতে হবে।”
আয়মান সাদিক বলেন, “আমার প্যানেলিস্ট হিসাবে বিশিষ্ট বিষয়বস্তু নির্মাতাদের সাথে এই প্যানেল আলোচনার অধিবেশনটি পরিচালনা করার একটি দারুন অভিজ্ঞতা হয়েছে। আমরা হেসেছি, ডিজিটাল স্পেসে আমাদের অভিজ্ঞতা সম্পর্কে কথা বলেছি।
পিয়া জান্নাতুল বলেন, একজন কনটেন্ট ক্রিয়েটর হিসেবে আমি মনে করি যে, ডিজিটাল মিডিয়াতে অন্যদের সাথে যোগাযোগ করার সময় দায়িত্বশীল হওয়া এবং সতর্কতা অবলম্বন করা আমাদের উপর নির্ভর করে।
জামাল ভূঁইয়া বলেন: “আমরা প্রায়শই দেখতে পাই যে, শুধু কনটেন্ট ক্রিয়েটরই নয়, অন্যদের দিকেও মানুষ এমন অনেক মন্তব্য ছুড়ে দেয়, যা আমাদের নিরাশ করে বা আমাদের মানসিক স্বাস্থ্যের ক্ষতি করে। আমি আশা করি, এই প্যানেল আলোচনা সেশনের মাধ্যমে, আমরা সাইবার বুলিং এর প্রভাব সম্পর্কে আরও জানতে পেরেছি এবং, আশা করি, আমরা এই ধরনের আচরণগুলি চিনতে এবং তাদের সংশোধন করতে সক্ষম হব।”