![]() |
টেকশহর কনটেন্ট কাউন্সিলর : সেলিনা পারভীন নিজের ঘরের জন্য পাটের নানা পণ্য করতেন, এরপর শখের বসে এক সময় অনলাইনে শুরু করেন নিজের উদ্যোগ জেনেসিস ক্রাফট। শখ থেকে নেশা, নেশা থেকে পেশার গল্প দৃপ্ত কন্ঠে জানালেন টেকশহরকে ।
কি কি আছে জেনেসিস ক্রাফটে ? এমন প্রশ্ন শুনেই হাসিমুখে সেলিনা কথা বলতে শুরু করেন, জানালেন দু বছর ধরে অনলাইনে কাজ শুরু করলেও আসলে তিনি ছোট বেলা থেকেই সেলাই ফোঁড় , ফুল তোলা , নকশা আঁকা ইত্যাদির কাজ করতেন। ঘরে নিজের জন্য , বাচ্চাদের জন্য শুরু করে এখন কাস্টমাইজ কাজ করেন । তাঁর সিগনেচার আইটেম ব্যাগ হলেও টেবিল রানার, ওয়ালম্যাট, টি সেট, সহ নানান রকম পণ্য তৈরি করেন।
বড় ছেলের প্রিন্টার কাভার করলেন, এটা দেখে ছোট ছেলে টেবিলের কাভার বানিয়ে দিতে বলল। করোনায় ছেলেদের স্কুল বন্ধ থাকায় অবসরে এগুলো বানাতে শুরু করলেন সেলিনা । তারপর অনলাইনে বিভিন্ন গ্রুপ , পেইজে নিজের পণ্যের প্রশংসা তাকে আরও উদ্দীপিত করল । সন্তানদের সাহায্যে এগুতে লাগলেন আর নিজেকে নিজে দক্ষ করতে লাগলেন।
শান্তিনগরের একজন বড় উদ্যোক্তা উনার কাছ থেকে পণ্য নিয়েছেন, এখনো নিচ্ছেন এটা সেলিনার উদ্যোক্তা জীবনের পরম পাওয়া বলে উল্লেখ করেন তিনি। মন খুশি করে জানাচ্ছিলেন সেই গল্প। বিদেশে ও গেছে তাঁর পাটের পণ্য ।
হুটহাট করে উদ্যোক্তা জীবনে আসা যাবে না । অভিজ্ঞতা, দক্ষতা , পরিশ্রম করে সাফল্য অর্জন করতে হবে । ডিজিটাল মাধ্যম ইউটিউবের ভিডিওগুলো দেখে যে কেউ দক্ষ হতে পারে। ইচ্ছে করলে যে কোন মানুষ দক্ষ হতে পারেন । নকল না করে নিজের ইউনিকনেস আনবার জন্য সেলিনা কি করেন সেই কথা জানালেন সেলিনা।
একদিনে দুটো ব্যাগ করতে পারেন সেলিনা । মায়ের হাতের মেশিন দিয়ে এখনো সেলাই সহ পুরো কাজ করেন তিনি । শুরুর দিকে কাজ করতে গিয়ে ভিন্ন এক অভিজ্ঞতা হল, দর্জির কাছে গিয়ে কাজ বুঝিয়ে দেয়ার পরও কাজ উদ্ধার হয় নি । ডেলিভারির আগে ও সেলাই হয় নি । যেভাবে তিনি ফিনিশিং চাচ্ছিলেন তা পাচ্ছিলেন না । পরে সাহস নিয়ে নিজেই সেলাই সহ ফুল তোলার কাজ শুরু করলেন । একাকি শুরু করলেও বর্তমানে ব্যাগে দুই জন এবং রানারে একজন ফুল তোলার কাজ করছে।
জেনেসিস হচ্ছে ক্রিয়েশন । দুই ছেলে এবং স্বামীর আন্তরিক সহযোগিতায় পাট পণ্যের ভিন্ন রকম সৃজনশীলতা নিয়ে এগিয়ে চলছেন সেলিনা পারভীন ।