![]() |
আল-আমীন দেওয়ান : সিম বিক্রির নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয়ার চিঠি পেয়েছে গ্রামীণফোন। সোমবার সন্ধ্যার পরে এই চিঠি গ্রামীণফোনকে পাঠিয়েছে বিটিআরসি।
এরআগে এদিন বিকেলেই ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগ বিটিআরসিকে এই সিম বিক্রির নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয়ার বিষয়ে সিদ্ধান্ত জানিয়ে চিঠি দেয়।
টেকনিক্যাল কোনো জটিলতা না হলে মঙ্গলবার হতেই অপারেটরটি গ্রাহকের হাতে সিম দিতে পারবে।
ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগ, বিটিআরসি এবং গ্রামীণফোনের এ সংশ্লিষ্ট একাধিক দায়িত্বশীল কর্মকর্তা টেকশহর ডটকমকে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
গ্রামীণফোন সিইও ইয়াসির আজমান টেকশহর ডটকমকে বলেন, `আমরা সিম বিক্রির নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের চিঠি পেয়েছি। গ্রামীণফোন বিশ্বাস করে যে, সেবার মান সংক্রান্ত যেকোনো সমস্যা সমাধানের জন্য সিম নিষেধাজ্ঞা ঠিকঠাক সমাধান নয় ‘
‘তবুও, ছয় মাস আগে নিষেধাজ্ঞা আরোপের পর থেকে, আমরা নিয়ন্ত্রণ সংস্থার সঙ্গে গঠনমূলক আলোচনা করেছি এবং বারবার বলেছি যে, এই ধরনের পদক্ষেপ গ্রাহকদের পছন্দের স্বাধীনতা বঞ্চিত করে এবং বিনিয়োগকারীদের উদ্বেগ বাড়ায়’ উল্লেখ করেন তিনি।
রোববার টেকশহর ডটকমের প্রতিবেদনে গ্রামীণফোনের সিম বিক্রির নিষেধাজ্ঞা উঠে যাওয়ার চুড়ান্ত সিদ্ধান্তের কথা জানানো হয়েছিলো। এতে অপারেটরটিকে শিগগির এ বিষয়ে চিঠি দেয়ার বিষয়েও বলা হয়ে।
ওই প্রতিবেদনে ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার টেকশহর ডটকমকে বলেছিলেন, ‘গ্রামীণফোন ইম্প্রুভ করেছে। মানসম্মত সেবা নিশ্চিতে যে কয়েকটি শর্ত ছিলো তার সব কয়টি তারা পূরণ করেছে। এখন গ্রাহকরাই বলছেন গ্রামীণফোন ভাল অপারেটর।’
‘তাই তাদের এই সিম বিক্রির নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয়ার সিদ্ধান্ত। তারা যেন এই উন্নতির ধারাবাহিকতা রক্ষা করে’ বলছিলেন মন্ত্রী।
সেবার মানের প্রশ্নে চলতি বছরের ২৯ জুন গ্রামীণফোনের সব রকমের সিম বিক্রি বন্ধের নির্দেশনা দেয় বিটিআরসি। এরপর ১৩ লাখ রিসাইকেল সিম বিক্রির অনুমতি দিয়ে কিছুদিন পর তা প্রত্যাহার করা হয়। পরে সম্প্রতি সরকারি-বেসরকারি দপ্তর-প্রতিষ্ঠানে ৭৮ হাজার সিম বিক্রির অনুমতি দেয়া হয় গ্রামীণফোনকে। কিন্তু এর বাইরে সিম বিক্রি বন্ধই থাকে।