সিম বিক্রি করতে পারবে গ্রামীণফোন, নিষেধাজ্ঞা উঠছে

আল-আমীন দেওয়ান : গ্রামীণফোনের সিম বিক্রির নিষেধাজ্ঞা উঠে যাচ্ছে। ফলে স্বাভাবিক সময়ের মতোই অপারেটরটি সিম বিক্রি করতে পারবে।

ইতোমধ্যে নিষেধাজ্ঞা তোলার চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। শিগগির এ বিষয়ে অপারেটরটিকে চিঠি দেয়া হবে।

ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার টেকশহর ডটকমকে বলেন, ‘গ্রামীণফোন ইম্প্রুভ করেছে। মানসম্মত সেবা নিশ্চিতে যে কয়েকটি শর্ত ছিলো তার সব কয়টি তারা পূরণ করেছে। এখন গ্রাহকরাই বলছেন গ্রামীণফোন ভাল অপারেটর।’

‘তাই তাদের এই সিম বিক্রির নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয়ার সিদ্ধান্ত। তারা যেন এই উন্নতির ধারাবাহিকতা রক্ষা করে’ বলছিলেন মন্ত্রী।

মোস্তাফা জব্বার বলেন, ‘এই সিম বন্ধের সিদ্ধান্ত দরকার ছিলো। অপারেটররা যদি শুধু ব্যবসা করে আর সেবার মানের দিকে মনোযোগ না দেয় তাহলে গ্রাহককে তো দুর্গতি হতে রক্ষা করতে হবে।’

‘আমাদের পর্যবেক্ষণে দেখেছি গ্রামীণফোন তাদের যে স্পেকট্রাম ডেপ্লয় করার কথা ছিলো তার অধিকাংশই তারা করেছে। ব্যাপক ফাইবারাইজেশন করেছে। এগুলোই চাইছলাম আমরা’ বলছিলেন ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী।

সেবার মানের প্রশ্নে চলতি বছরের ২৯ জুন সেবার মানের প্রশ্নে গ্রামীণফোনের সব রকমের সিম বিক্রি বন্ধের নির্দেশনা দেয় বিটিআরসি। এরপর ১৩ লাখ রিসাইকেল সিম বিক্রির অনুমতি দিয়ে কিছুদিন পর তা প্রত্যাহার করা হয়। পরে সম্প্রতি সরকারি-বেসরকারি দপ্তর-প্রতিষ্ঠানে ৭৮ হাজার সিম বিক্রির অনুমতি দেয়া হয় গ্রামীণফোনকে।

এরমধ্যে ২০২২ সালের ২৫ নভেম্বর বিটিআরসিকে দেয়া এক চিঠিতে সেবার মানোন্নয়নে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে প্রতিশ্রুত কেপিআই (কি পারফরম্যান্স ইন্ডিকেটর) পূরণ করার কথা জানায় অপারেটরটি।

বিটিআরসির চেয়ারম্যানকে দেয়া ওই চিঠিতে গ্রামীণফোন সিইও ইয়াসির আজমান বলেছিলেন, সিম বিক্রির নিষেধাজ্ঞার পর বিটিআরসি এবং খাতটির স্টেকহোল্ডারদের সঙ্গে গ্রামীণফোন নিরবিচ্ছিন্নভাবে কাজ করছে। এতে যেখানে যেখানে সেবার মানন্নোয়নের বিষয় আসছে সেখানেই কাজ করা হয়েছে।

ওই চিঠিতে তিনি জানান, ‘সেবার মান্নোয়নে বিটিআরসির দেয়া কেপিআই এবং গ্রামীণফোনের প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়ন করা হয়েছে। শুধু তাই নয়, বিটিআরসির পরামর্শ অনুযায়ী মানন্নোয়ন করে নিয়মিতভাবে হালনাগাদ অবস্থা জানানো হয়েছে।’

আরও মানন্নোয়নের প্রয়োজন হলে যৌথ ড্রাইভ টেস্ট করে তা যাচাইয়ের কথাও তখন বলেছিলেন তিনি।