![]() |
আল-আমীন দেওয়ান : অজান্তে নিজের এনআইডিতে নিবন্ধিত সিম কিছু শর্ত সাপেক্ষে ডি-রেজিস্ট্রার বা বাদ দেয়া যাবে।
এ ধরনের সিম ডি-রেজিস্ট্রার করা নিয়ে সমস্যায় পড়া অনেক গ্রাহকের আবেদনের প্রেক্ষিতে বিটিআরসি সম্প্রতি এ বিষয়ে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
বর্তমানে একজন গ্রাহকের এনআইডির বিপরীতে ১৫টির বেশি সিম নিবন্ধিত থাকলে সেগুলো ডি-রেজিস্ট্রার বা অনিবন্ধিত বা বাতিল করা হচ্ছে।
এই কার্যক্রম শুরুর পর বিটিআরসি দেখতে পায় যে, যেসব গ্রাহকের অজান্তে এনআইডিতে সিম নিবন্ধিন করা হয়েছিলো তার অধিকাংশই অবৈধ ভিওআইপিতে ব্যবহার হয়েছে এবং সেগুলো বিটিআরসি বার করে দিয়েছে। ফলে মোবাইল ফোন অপারেটররা এসব সিম গ্রাহকের এনআইডি হতে ডি-রেজিস্ট্রার বা অনিবন্ধন করছে না।
আবার ১৭ সংখ্যার এনআইডি এবং ১০ সংখ্যার এনআইডি মিলিয়ে যাদের সিম নিবন্ধন ১৫টির বেশি তারা সিম ডি-রেজিস্ট্রার না করে নতুন সিমও কিনতে পারছেন না।
আর এসব সমস্যায় গ্রাহকরা বিটিআরসির কাছে অভিযোগ জানাচ্ছেন, সমস্যার কথা জানিয়ে সিম ডি-রেজিস্ট্রার করে দেয়ার জন্য আবেদন করছেন।
যেসব শর্তে ডি-রেজিস্ট্রার করা যাবে সিম :
এক. যেসব সিম সেল্ফ রেগুলেশন প্রসিডিউর এবং সিম বক্স ডিটেকশন সিস্টেমে অবৈধ ভিওআইপি কল টার্মিনেশনে জড়িত হিসেবে সন্দেহ শুধুমাত্র সেসব সিমই গ্রাহকের আবেদনের প্রেক্ষিত্রে তার এনআইডি হতে ডি-রেজিস্ট্রার করা হবে। সেক্ষেত্রে মোবাইল স্টেশন ইন্টারন্যাশনাল সাবস্ক্রাইবার ডিরেক্টরি নাম্বার বা এমএসআইএসডিএন চিহ্নিত করে রাখা হবে। এছাড়া এগুলো রি-সাইকেল বা আবার বিক্রির ক্ষেত্রে বিটিআরসির সংশ্লিষ্ট শাখার অনুমতি লাগবে।
দুই. যেসব সিম অবৈধ ভিওআইপির অভিযানে জব্দ হয়েছে এবং মামলা রয়েছে সেসব সিম ডি-রেজিস্ট্রার হবে না। তবে গ্রাহকের যদি সর্বোচ্চ ১৫ টি সিমই এই তালিকায় থাকে তাহলে ওই গ্রাহকের ব্যক্তিগত যোগাযোগ রক্ষার স্বার্থে জন্ম নিবন্ধন, ড্রাইভিং লাইসেন্স বা পাসপোর্টের মাধ্যমে অস্থায়ীভিত্তিতে দুটি সিম নিতে পারবেন।
বিটিআরসি এই ইস্যুতে অবৈধ ভিওআইপি অভিযানে জব্দ হওয়া ও মামলা হওয়া সিম সহজে চিহ্নিত করতে একটি ডেটাবেইজ করবে।
বিটিআরসি বলছে, বায়োমেট্রিক রেজিস্ট্রেশন যখন শুরু হয় তখন গ্রাহকের অসচেতনতায় এবং কিছু অসাধু রিটেইলারের কারণে বাজারে প্রি-রেজিস্টার্ড সিম বিক্রি হয়ে থাকতে পারে। যেখানে একজন গ্রাহকের অজান্তে তার এনআইডির বিপরীতে একাধিক সিম বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে নিবন্ধিত হয়ে গেছে। পরে ওই অসাধু রিটেইলার ওসব সিম অন্য গ্রাহকের কাছে বিক্রি করেছে।
উদ্ভুত পরিস্থিতিতে এই কার্যকলাপ ঠেকাতে ২০১৮ সালের শুরুর দিকে বিটিআরসি এনআইডির বিপরীতে একটি সিম নিবন্ধিত হওয়ার পর ৩ ঘন্টার মধ্যে আরেকটি সিম নিবন্ধন বন্ধ করে দেয়। এরপর প্রি-রেজিস্ট্রেশন করা সিম বিক্রি বন্ধ হয়েছে বলে বলছে বিটিআরসি।