![]() |
আল-আমীন দেওয়ান : দেশে আরও ব্যান্ডউইথ আমদানি করছে ইন্টারন্যাশনাল টেলিস্ট্রেরিয়াল ক্যাবল (আইটিসি) অপারেটর সামিট কমিউনিকেশন্স এবং ফাইবার অ্যাট হোম ।
যেখানে আপস্ট্রিম অপারেটর হিসেবে নতুন করে যুক্ত হলো ভারতের রিলায়েন্স জিও ইনফোকম এবং লাইটস্ট্রম টেলিকম কানেক্টিভিটি।
সামিট কমিউনিকেশন্স রিল্যায়েন্স জিও ইনফোকম হতে ৫০ এমবিপিএস ক্যাপাসিটি দিয়ে শুরু করেছে। ফাইবার অ্যাট হোম শুরু করেছে ৪০ এমবিপিএস দিয়ে যেখানে রিল্যায়েন্স জিও হতে ২০ এমবিপিএস এবং লাইটস্ট্রম হতে ২০ এমবিপিএস রয়েছে।
বেনাপোলের টেরিস্ট্রিয়াল ক্যাবল ল্যান্ডিং স্টেশনে (টিসিএলএস) যুক্ত হয়ে ঢুকছে এই ব্যান্ডউইথ।
ফাইবার অ্যাট হোমের চিফ অব গভমেন্ট অ্যান্ড রেগুলেটরি অ্যাফেয়ার্স কর্মকর্তা আব্বাস ফারুক টেকশহরডটকমকে জানান, দেশে ব্যান্ডউইথের চাহিদা পূরণে ও সাশ্রয়ী সেবা দিতে তারা নতুন এই সংযোগে যুক্ত হয়েছেন। ৪০ এমবিপিএস একেবারেই ইনিশিয়াল ক্যাপাসিটি, চাহিদার প্রেক্ষাপটে এটি আরও অনেক বাড়াবে ফাইবার এট হোম।
দেশে এই দুই আইটিসি অপারেটর ছাড়াও নভোকম, ওয়ান এশিয়া অ্যালায়েন্স কমিউনিকেশন্স, বিডিলিংক কমিউনিকেশন্স, ম্যাঙ্গো টেলিসার্ভিসেস এবং বাংলাদেশ টেলিকমিউনিকেশন্স বা বিটিসিএল ব্যান্ডউইথ আমদানি করে থাকে।
আইটিসি অপারেটরগুলো রিল্যায়েন্স জিও এবং লাইটস্ট্রমের আগে টাটা কমিউনিকেশন্স এবং ভারতী এয়ারটেলের সঙ্গে যুক্ত রয়েছে।
বাংলাদেশ সাবমেরিন ক্যাবল অপারেটর বিএসসিসিএলের মাধ্যমে সি-মি-উই-৪, সি-মি-উই-৫ দিয়ে দেশের মূল ব্যান্ডউইথ আসছে। সি-মি-উই-৬ এ তৃতীয় সাবমেরিন ক্যাবলেও যুক্ত হচ্ছে বাংলাদেশ। অন্যদিকে আইটিসি অপারেটগুলো চাহিদার যোগান দেয়ার পাশাপাশি দেশের বিকল্প ব্যান্ডউইথ সংযোগ হিসেবে ব্যবহৃত হয়।
দেশে এখন ব্যান্ডউইথ ব্যবহারের পরিমাণ ৪ হাজার ১২৭ জিবিপিএস। এরমধ্যে ২ হাজার ১৭৬ জিবিপিএস বিএসসিসিএল হয়ে আসে। যা মোট চাহিদার প্রায় ৪৭ শতাংশ। অন্যদিকে আইটিসি অপারেটরগুলো হতে আসে ১৯৫১ জিবিপিএস, যা মোট চাহিদার প্রায় ৪৭ শতাংশ।
বিটিআরসি বলছে, সামনে ফাইভজি চালু হলে ব্যান্ডউইথের চাহিদা অনেক বেড়ে যাবে। সেখানে আইটিসি অপারেটরগুলোর ব্যান্ডউইথ ক্যাপাসিটি বাড়ানোর গুরুত্বপূর্ণ হবে।