![]() |
টেক শহর কনটেন্ট কাউন্সিলর : স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে সকলের সমন্বয়ে গুরুত্ব দিয়েছেন বিশেষজ্ঞ ও খাত সংশ্লিষ্টরা।
মঙ্গলবার টেলিকম অ্যান্ড টেকনোলজি রিপোর্টার্স বাংলাদেশ এবং রবি আয়োজিত ‘স্মার্ট বাংলাদেশ বাস্তবায়নে করণীয়’ শীর্ষক এক গোলটেবিল আলোচনায় বক্তারা এ কথা বলেন।
টিআরএনবির নির্বাহী সদস্য এবং সাবেক সাধারণ সম্পাদক সমীর কুমার দের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন বুয়েটের ভিসি অধ্যাপক ড. সত্য প্রসাদ মজুমদার।
রাজধানীর ব্র্যাক সেন্টারে অনুষ্ঠিত এ গোলটেবিলে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বিআইডিএসের জ্যেষ্ঠ গবেষণা পরিচালক মন্জুর হোসেন। এতে স্বাগত বক্তব্য দেন টিআরএনবির সাধারণ সম্পাদক মাসুদুজ্জামান রবিন।
আলোচনায় অংশ নেন রবির চিফ করপোরেট অ্যান্ড রেগুলেটরি অফিসার সাহেদ আলম, বাংলালিংকের সিসিও তাইমুর রহমান, জিএসএমএ এশিয়া-প্যাসিফিক অঞ্চলের মোবাইল ফর ডেভেলপমেন্ট পরিচালক রাহুল সাহা, এমটবের মহাসচিব এস এম ফরহাদ, এটুআই এর চিফ ই-গভর্ন্যান্স স্ট্র্যাটেজিস্ট ফরহাদ জাহিদ শেখ, নগদের চিফ বিজনেস অফিসার শেখ আমিনুর রহমান, টেলিটকের আইটি অ্যান্ড বিলিং ইনোভেশন অফিসার নুরুল মাবুদ চৌধুরীসহ আরও অনেকে।
অধ্যাপক ড. সত্য প্রসাদ মজুমদার বলেন, পৃথিবীর বিভিন্ন দেশ যখন ৬জি নিয়ে কাজ করছে তখনও আমরা ফাইভজিতে যেতে পারিনি। আমাদের স্কিল ডেভেলপমেন্ট, ডাটা কমিউনিকেশন ডেভেলপমেন্ট ক্যাপাসিটি বাড়াতে হবে। স্মার্ট বাংলাদেশে গড়তে ইউনিভার্সিটিগুলোর সাথে ইন্ডাস্ট্রির সমন্বয় এবং আইসিটি, তথ্য, টেলিকমসহ মিনিস্ট্রিগুলোকে সকল স্টেকহোল্ডারদের সমন্বয় করে কাজ করতে হবে।
মূল প্রবন্ধে মঞ্জুর হোসেন উল্লেখ করেন, ২০০৯ সালে ’ডিজিটাল বাংলাদেশ’ আমাদের রাষ্ট্রীয় পলিসিতে অন্তর্ভুক্ত করা হয়। স্মার্ট বাংলাদেশের জন্য এখন আমাদের টেলিকম, আইটি, ম্যানুফ্যাকচারিং প্রতিষ্ঠানগুলোকে ইফিসিয়েন্সি বাড়ানো, সার্ভিস কস্ট কমানো, ডিজিটাল লিটারেসি, ডিভাইস পারচেজিং ক্যাপাসিটি বাড়ানোর জন্য কাজ করতে হবে। স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে মোবাইল অপারেটরদের বড় ভূমিকা রাখার সুযোগ আছে। এজন্য প্রয়োজনে ইনসেনটিভ দেয়া উচিত।
ডেটা সেবার প্রসারে প্রতিবন্ধকতাগুলোকে মূল্যায়ন করতে গিয়ে সাহেদ আলম বলেন, আমাদের স্বচ্ছতা (ট্রান্সপারেন্সি), যোগাযোগ (কানেক্টিভিটি) ও দুর্নীতি দূর করতে (রিডিইউস দ্য করাপশনের) স্মার্ট বাংলাদেশ প্রয়োজন। এজন্য সংশ্লিষ্ট সকলের সমন্বয়ের জায়গাটা খুব দরকার। বৈশ্বিক তুলনামূলক প্রেক্ষাপটে আমরা অনেক কম খরচে ডেটা সেবা দিয়ে যাচ্ছি। তবুও সেটা অনেকের কাছেই সাশ্রয়ী হচ্ছে না মূলত উচ্চ কর হারের কারণে। করের বোঝা একটু কম হলে আরও সাশ্রয়ী মূল্যে গ্রাহকদের ডেটা সেবা দেওয়া সম্ভব।
রাহুল সাহা বলেন, স্মার্ট ডিভাইসের জন্য বাংলাদেশের ট্যাক্স পৃথিবীর দ্বিতীয় শীর্ষে। এই প্রতিবন্ধকতাগুলো দূর করতে হবে।”বাংলালিংকের সিসিও তাইমুর রহমান বলেন, “২০০৮ সালে ডিজিটাল বাংলাদেশ ঘোষণা হয়েছে। ডিজিটাল বাংলাদেশ গঠনে টেলিকম অপারেটররা বড় ধরনের ভূমিকা রেখেছে। কিন্তু পৃথিবীর সর্বোচ্চ ট্যাক্স পলিসি বাংলাদেশে। আমাদের পলিসিতে নজর দিতে হবে।
এমটবের মহাসচিব এস এম ফরহাদ বলেন, স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে স্মার্ট ডিভাইস যারা ব্যবহার করেন তাদের স্মার্ট লিটারেসির প্রয়োজন আছে।
শেখ আমিনুর রহমান বলেন, টেলিকম দিয়েই ডিজিটাল বাংলাদেশের যাত্রা শুরু হয়, এখন সবার কোলাবোরেশান হলে স্মার্ট বাংলাদেশ খুব বেশি দূরে নয়।
টেলিটকের মহাব্যবস্থাপক আইটি অ্যান্ড বিলিং ইনোভেশন অফিসার নুরুল মাবুদ চেীধুরী বলেন, আমাদের আইসিটি উপদেষ্টা স্মার্ট বাংলাদেশের জন্য রোবোটিকস, সাইবার সিকিউরিটিসহ চারটি বিষয়ে গুরুত্ব দিয়েছেন। সমন্বিত ডাটা ম্যানেজমেন্ট করতে পারলে আমরা স্মার্ট হতে পারবো।
এটুআইয়ের চিফ ই-গভর্ন্যান্স স্ট্র্যাটেজিস্ট ফরহাদ জাহিদ শেখ, বলেন, ডিজিটাল বাংলাদেশ সফল হওয়ার পরে মাননীয় আইসিটি উপদেষ্টা স্মার্ট বাংলাদেশের জন্য সিটিজেন, সোসাইটি, ইকোনমি ও গভর্নেন্স এই চারটি পিলারের কথা বলেছেন। স্মার্ট বাংলাদেশ কোয়ানটিটি নির্ভর না হয়ে কোয়ালিটি নির্ভর হবে ।