৫জি প্রযুক্তি সম্প্রসারণে উদ্যোগ যথাযথভাবে কাজে লাগান - মোস্তাফা জব্বার

টেকশহর কনটেন্ট কাউন্সিলর : ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোবাইল অপারেটরদের স্পেকট্রাম সুবিধা কাজে লাগিয়ে ৫জি প্রযুক্তি সম্প্রসারণে উদ্যোগ যথাযথভাবে কাজে লাগানোর আহ্বান জানান। তিনি বলেন, সামনের দিনে ৩জি নেটওয়ার্ক প্রযুক্তির প্রয়োজন হবে না। সামনের দিনের নেটওয়ার্ক হবে ২জি, ৪জি এবং ৫জি। কথা বলার জন্য শুধু ২জি এবং ৪জি প্রযুক্তি প্রয়োজন হবে। ৫জি প্রযুক্তির মহাসড়ক কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা, রোবটিক্স, আইওটি কিংবা ব্লকচেইন প্রযুক্তির জন্য প্রয়োজন হবে।

মন্ত্রী সোমবার রাতে ঢাকায় সোনারগাঁও হোটেলে বাংলালিংক এনোভেটর্স ৬.০ এর গ্রান্ড ফিনালে উপলক্ষ্যে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন। অনুষ্ঠানে ডাক ও টেলিযোগাযোগ সচিব মো: খলিলুর রহমান এবং বাংলালিংক সিইও এরিক অস উপস্থিত ছিলেন।

ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বলেন, বিশ্ব জয় করার শক্তির নাম হচ্ছে মেধা। বাংলাদেশের নতুন প্রজন্মের মেধা আছে এবং তারা উত্তরাধিকার সুত্রে সাহসী। ডিজিটাল বাংলাদেশ কর্মসূচির হাত ধরে আমরা উন্নত বাংলাদেশ গড়ার যুদ্ধে সফলতার দ্বার প্রান্তে ।

Techshohor Youtube

তিনি আরও বলেন, সাধারণের নাগালের মধ্যে মোবাইল ফোন সেবা পৌঁছে দিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ১৯৯৭ সালে চারটি মোবাইল অপারেটরকে লাইসেন্স প্রদান করে মোবাইল সেবার প্রতিযোগিতার সুষ্ঠু পরিবেশ সৃষ্টি করেন। এর ফলে মোবাইল ফোনের মনোপলি ব্যবসা বন্ধ হয়, মোবাইল সেবা পৌঁছে যায় সাধারণের নাগালে। তার হাত ধরেই ১৯৯৭ সালে ২জি, ২০১৩ সালে ৩জি, ২০১৮ সালে ৪জি এবং ২০২১ সালে ৫জি মোবাইল প্রযুক্তি যুগে প্রবেশ করে বাংলাদেশ।

মন্ত্রী মেধা বিকাশে বাংলালিংকের ভূমিকার প্রশংসা করে বলেন, তরুণদের ক্ষমতায়নের লক্ষ্যে বাংলালিংক-এর বিভিন্ন উদ্যোগ তরুণদেরকে উদ্ভাবনী হতে অনুপ্রাণিত করছে। এই কর্মসূচি থেকে পাওয়া শিক্ষা ও অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে তারা নিজেদেরকে ডিজিটাল বাংলাদেশের চ‌্যালেঞ্জ মোকাবেলায় প্রস্তুত করে তুলতে পারবে ।

পরে মন্ত্রী প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের মধ‌্যে পুরস্কার বিতরণ করেন।

*

*

আরও পড়ুন