![]() |
আল-আমীন দেওয়ান : রবির সঙ্গে একীভূত হয়ে যাওয়া এয়ারটেলের ইনফরমেশন সিস্টেম অডিট করতে অডিটর কোম্পানি নিয়োগে শিগগির বিজ্ঞপ্তি আসছে।
এয়ারটেলের এই অডিট করার উদ্যোগটি বছরের পর বছর ঝুলছিলো।
২০১৯ সালের নভেম্বরে করা টার্ম অব রেফারেন্স এবং এক্সপ্রেশন অব ইন্টারেস্টে ২০১৯ সাল পর্যন্ত এই অডিট করার কথা বলা হয়। পরে রবির সঙ্গে এয়ারটেলের একীভূত হওয়ার সময় বিবেচনায় নিয়ে ২০১৬ সালের নভেম্বর পর্যন্ত এই অডিট করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
২০১৬ সালের ১৬ নভেম্বর রবি-এয়ারটেল একীভূত হয়। আর অডিট হবে ২০০৫ সালের ২০ ডিসেম্বর হতে ২০১৬ সালের ১৫ নভেম্বর পর্যন্ত ।
ইতোমধ্যে বিটিআরসি বেশ কিছু টার্ম অব রেফারেন্স সংশোধন করেছে। সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে শিগগির দরপত্র আহবানের।
‘এয়ারটেল বাংলাদেশ লিমিটেড’ কোম্পানির অডিট যেহেতু একীভূত হওয়ার আগ পর্যন্ত সময়ে হচ্ছে, সেক্ষত্রে ওই সময়ের দায়-দায়িত্বের বিষয়গুলো কীভাবে দেখা হবে, এমন জিজ্ঞাসায় বিটিআরসির ভাইস-চেয়ারম্যান মো. মহিউদ্দিন আহমেদ টেকশহর ডটকমকে বলেন, ‘যারা কোম্পানিটি ওন করতো এবং তাদের মার্জারের শর্ত কী, তাদের সমস্ত লাইবেলিটি নিয়ে নিয়েছে কিনা-এগুলো বিবেচনা করেই অডিট হবে।’
‘যৌক্তিক সব কাজগুলো করার জন্যই অডিট করা এবং সে লাইবেলিটিই নির্ধারণ করা হবে। আর লাইবেলিটি নিয়শ্চই দেয়া আছে, মার্জার করার আগেই তো এ সমস্ত ক্লিয়ার থাকে, যে তার সমস্ত দায়দেনা, দায়িত্বের বিষয়গুলো। তা না হলে কে এটা বেয়ার করবে’ বলছিলেন বিটিআরসির ভাইস-চেয়ারম্যান।
এদিকে এই অডিট কীভাবে হবে তা নিয়ে ভাবনার কথা বলছেন রবির দায়িত্বশীল একাধিক কর্মকর্তা।
‘এয়ারটেলের রবির সঙ্গে একীভুত হওয়ার আগের তথ্য-রেকর্ডের পর্যাপ্ততা এখন কতটুকু, তা প্রাসঙ্গিক আলোচনা’ বলছেন তারা।
অপারেটরটির কর্মকর্তারা বলছেন, অডিটের জন্য যে বিশদ তথ্যপ্রমাণ প্রয়োজন হয় সেখানে ১৫-১৬ বছর আগের সেসব জিনিস কতটুকু কীভাবে মিলবে ? আর প্রযুক্তিগত সীমাবদ্ধতা-পরিবর্তনের বিষয়ও আছে।