![]() |
আল-আমীন দেওয়ান : সেবার মানোন্নয়নে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে প্রতিশ্রুত কেপিআই (কি পারফরম্যান্স ইন্ডিকেটর) পূরণ করার দাবি করছে গ্রামীণফোন।
আর এ বিষয়ে বিস্তারিত রেফারেন্সসহ বিটিআরসিকে দেয়া এক চিঠিতে আরোপিত সিম বিক্রির নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয়ার আবেদন করেছে অপারেটরটি।
বৃহস্পতিবার গ্রামীণফোন সিইও ইয়াসির আজমান বিটিআরসি চেয়ারম্যান বরাবরে ওই চিঠি পাঠান।
চিঠিতে ইয়াসির আজমান বলেন, ‘সিম বিক্রির নিষেধাজ্ঞার পর বিটিআরসি এবং খাতটির স্টেকহোল্ডারদের সঙ্গে গ্রামীণফোন নিরবিচ্ছিন্নভাবে কাজ করছে। এতে যেখানে যেখানে সেবার মানন্নোয়নের বিষয় আসছে সেখানেই কাজ করা হয়েছে।
‘সেবার মান্নোয়নে বিটিআরসির দেয়া কেপিআই এবং গ্রামীণফোনের প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়ন করা হয়েছে। শুধু তাই নয়, বিটিআরসির পরামর্শ অনুযায়ী মানন্নোয়ন করে নিয়মিতভাবে হালনাগাদ অবস্থা জানানো হয়েছে। আরও মানন্নোয়নের প্রয়োজন হলে যৌথ ড্রাইভ টেস্ট করে তা দেখা যেতে পারে’ চিঠিতে উল্লেখ করেন গ্রামীণফোন সিইও।
চিঠিতে তিনি জানান, টেলিযোগাযোগ নেটওয়ার্কে দেশের অনেক জায়গায় শুধুমাত্র গ্রামীণফোনের নেটওয়ার্ক রয়েছে। সেখানে নাগরিকরা ডিজিটাল সংযোগে যুক্ত হওয়ার সুযোগ বঞ্চিত হচ্ছেন।
ওই চিঠিতে সেবার মানন্নোয়নে ২০২২ সালের তৃতীয় কোয়ার্টারের মধ্যে বিটিআরসির দেয়া টার্গেট পূরণ, সারাদেশে বিটিআরসির ড্রাইভ টেস্ট রিপোর্ট অনুযায়ী কিউওএসের বেঞ্চমার্ক পূরণ, ২০২২ সালের তৃতীয় কোয়ার্টারের গ্রামীণফোনের নিজেদের করা ড্রাইভ টেস্ট প্রতিবেদন, ২০২২ সালের সেপ্টেম্বরে গ্রামীণফোনের করা ড্রাইভ টেস্ট প্রতিবেদন এবং ২০২২ সালের জুনের আগে ও পরে গ্রামীণফোনের দেয়া প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নের রেফারেন্স উল্লেখ করা হয়েছে।
এরআগে এই সিম বিক্রি বন্ধ ইস্যুতে গ্রামীণফোনের সিনিয়র ডিরেক্টর হোসেন সাদাত টেকশহর ডটকমকে জানান, কোয়ালিটি অব সার্ভিসের জন্য একদিকে যেমন স্পেকট্রাম গুরুত্বপূর্ণ অন্যদিকে ফাইবারাইজেশন।
‘গত বছর ফাইবারাইজেশনের হার ছিলো ১৭ শতাংশ। যার অর্থ গত ১৫-২০ বছরে আমরা এই পরিমান বিটিএসকে ফাইবারে সংযুক্ত করেছি। এখানে আমরা বিটিআরসিকে কমিটমেন্ট দিয়েছিলাম, ২০২২ সালের মধ্যে আমরা এর দ্বিগুণ ফাইবারাইজেশন করবো’ বলছিলেন তিনি।
তিনি বলেন, প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী বিটিআরসিকে অফিসিয়ালি জানানো হয়েছে এই সেপ্টেম্বরে ২৭ শতাংশ ফাইবারাইজেশন করা হয়ে গেছে। বাকি ৭ শতাংশও আমরা প্রায় করে ফেলেছি।
‘এবার স্পেকট্রামের প্রসঙ্গ। ২০২১ সালের মার্চে একবার স্পেকট্রাম নিলাম হয়েছে আবার এই বছরের মার্চেও একটা নিলাম হয়েছে। এখানে গ্রামীণফোনকে যে পরিমান সুযোগ দেয়া হয়েছিলো, মানে সর্বোচ্চ যতটুকু স্পেকট্রাম কেনার সুযোগ ছিলো তার সবটাই কেনা হয়েছে’ বলছিলেন হোসেন সাদাত।
তিনি বলেন, ‘আমরা এখানেও প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলাম বিটিআরসিকে। চলতি বছরের অক্টোবরের মধ্যে ২০২১ সালে যে স্পেকট্রাম কেনা হয়েছে তার পুরো ডেপ্লয়মেন্ট করা হবে। সেটা কিন্তু করা হয়েছে। আর ২০২২ সালের মার্চে যে স্পেকট্রাম কেনা হয়েছিলো সেটা নভেম্বর হতে ডেপ্লয়মেন্ট শুরু করার কথা দেয়া হয়েছিলো, সেটাও ইতোমধ্যে শুরু করা হয়েছে।‘
সেবার মানের প্রশ্নে চলতি বছরের ২৯ জুন সেবার মানের প্রশ্নে গ্রামীণফোনের সব রকমের সিম বিক্রি বন্ধের নির্দেশনা দেয় বিটিআরসি। এরপর ১৩ লাখ রিসাইকেল সিম বিক্রির অনুমতি দিয়ে কিছুদিন পর তা প্রত্যাহার করা হয়। পরে সম্প্রতি সরকারি-বেসরকারি দপ্তর-প্রতিষ্ঠানে ৭৮ হাজার সিম বিক্রির অনুমতি দেয়া হয় গ্রামীণফোনকে।