![]() |
টেকশহর কনটেন্ট কাউন্সিলর : জাতীয় গণমাধ্যম ইনিস্টিটিউট বা নিমকোর আয়োজনে ঢাকা ও ঢাকার বাইরের ২১ জন অনলাইন সাংবাদিকদের নিয়ে শেষ হল ৩ দিনের কর্মশালা। সরকারি পর্যায়ে প্রথমবার শুধুমাত্র অনলাইন সংবাদকর্মীদের নিয়ে এই প্রশিক্ষন চলে ২২ নভেম্বর থেকে ২৪ নভেম্বর পর্যন্ত ।
শিশু , কিশোর – কিশোরী ও নারী উন্নয়নে সচেতনতামূলক প্রচার কার্যক্রম প্রকল্পের আওতায় কর্মশালার বিষয় ছিল – Training for reporters of electronic media on child rights issues in the context of covid 19 and importance of social and behavior changes communication programming ।
কর্মশালা পরিচালনা করেন দেশের প্রথিযশা ডাক্তার, সাংবাদিক এবং গবেষকবৃন্দ , উপস্থিত ছিলেন- ডঃ হেলাল উদ্দিন আহমেদ, ডঃ আবু জামিল ফয়সাল, শাহিদা সুলতানা, এ এইচ এম বজলুর রহমান, রুহুল আমিন রুশদ, মিনহাজ উদ্দিন , আমিন আল রশীদ , মোর্শেদ নোমান ।
বৃহস্পতিবার সমাপনী এবং সনদ বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব ও প্রকল্প পরিচালক মোঃ ফারুক আহমেদ , অনুষ্ঠান সভাপতিত্ব করেন জাতীয় গণমাধ্যম ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক শাহিন ইসিলাম এনডিসি ।
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন সহকারী প্রকল্প পরিচালক মোঃ নজরুল ইসলাম , মোঃ মারুফ নাওয়াজ , পরিচালক ( প্রশিক্ষণ , অনুষ্ঠান ), এ কে এম আজিজুল হক , পরিচালক ( প্রশাসন ও উন্নয়ন ) , কর্মশালা পরিচলক মোঃ আবুজার গাফফারী , উপপ্রিচালক (বেতার প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠান ) এবং সমন্বয়ক মোঃ ফাহিম সিদ্দিকী ।
আয়োজনের মূল লক্ষ্য ছিল – শিশু , কিশোর কিশোরী ও নারী উন্নয়নে সচেতনতামুলক প্রতিবেদন ও খবর তৈরি করে স্থানীয় ও জাতীয় পর্যায়ে সম্প্রচার করা ।
সমাপনী অনুষ্ঠানের শুরুতে অংশগ্রহণকারীদের মধ্য থেকে ৩ জন অভিজ্ঞতা বিনিময় করেন , রেড টাইমসের সৌমিত্র দেব, ঢাকা প্রকাশের সারা জেরিন , ঢাকা পোস্টের জসীম উদ্দিন ।
অতিথিদের বক্তব্য দিতে গিয়ে সহকারী প্রকল্প পরিচালক মোঃ নজরুল ইসলাম বলেন, এই আয়োজন প্রথমবারের মত হলেও শেষ বারের মত নয়। বর্তমানে আমরা ইচ্ছে করলে ও অনলাইন মিডিয়াকে এড়িয়ে যেতে পারব না । তাই আমাদের সুযোগ নেই প্রকল্প থামিয়ে দেয়ার।
প্রধান অতিথি ফারুক আহমেদ বলেন, শিশুদের সাথে মায়ের যোগাযোগ বেশি থাকে তাই নারী ও শিশুদের উন্নয়নে একসাথে কাজ করতে হয় । কেবল শিশুর বা কেবল মায়ের জন্য নয় , কাজ করতে হবে উভয়ের জন্য । শিশু কিশোর কিশোরী তাদের গায়ের জোর নেই তাই তাদের উন্নতির জন্য, কাজের জন্য ইউনিসেফের সহযোগিতায় কাজ করে যাচ্ছি আমরা ।
তিনি আরও বলেন, দেশকে এগিয়ে নিতে ডেমোগ্রাফিক ডিভিডেন্ড আমাদের হাতিয়ার । মানবসম্পদ উন্নয়নে আমরা কাজ করে যাচ্ছি । সমাজকে জাগ্রত রাখার জন্য অনলাইন সাংবাদিকদের ভুমিকার প্রশংসা করে তথ্য প্রচারের আগে আরও সতর্ক হবার আহ্বান জানান অতিরিক্ত সচিব ও প্রকল্প পরিচালক মোঃ ফারুক ।
সভাপতির বক্তব্যে শাহিন ইসলাম বলেন, কোভিড সংক্রমণ নিয়ে আমরা সচেতন করতে পেরেছিলাম কারন আমরা ঐক্যবদ্ধ ছিলাম। তেমনি ভাবে শিশুদের টিকাদানে ও আমাদের একতা প্রয়োজন । মাদক , মৌলবাদ এবং ভুল তথ্যের বিরুদ্ধে দায়িত্ব নিয়ে আমাদের কাজ করতে হবে।
তিনি দেশের প্রতি দায়বদ্ধতার সাথে সাথে সত্য প্রকাশের প্রতি জোর দেন ।
সবশেষে সনদ বিতরণ এবং ফটোসেশন হয় ।