![]() |
টেক শহর কনটেন্ট কাউন্সিলর : কোনো বিদেশী দেশ-সংস্থা নয়, ডিজিটাল বাংলাদেশ বাস্তবায়ন পুরোটাই নিজেদের করা বলে উল্লেখ করেছেন প্রধানমন্ত্রীর তথ্যপ্রযুক্তি উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়।
রোববার রাজধানীর একটি হোটেলে ইন্টারঅপারেবল ডিজিটাল ট্রানজেকশন প্লাটফরম (আইডিটিপি) ‘বিনিময়’-এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে ডিজিটাল বাংলাদেশ বাস্তবায়নের এই প্রসঙ্গ তোলেন তিনি।
বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক ও তথ্যপ্রযুক্তি সচিব এনএম জিয়াউল আলম।
জয় বলেন, ডিজিটাল বাংলাদেশ পরিকল্পনা নিয়ে আমরা নির্বাচনের পর কাজ আরাম্ভ করলাম। তখন এভাবে একটা দেশকে, যেখানে কোনো কিছুই নাই, সবকিছুই পিছিয়ে আছে, তাকে দ্রুত গতিতে ডিজিটাল করার পরিকল্পনা-এমন কোনো ফ্রেমওয়ার্ক বিশ্বে কোথাও ছিলো না।
‘তখন তো বিভিন্ন বিদেশী সংস্থা, বিদেশী দেশ, এই যে ওয়ার্ল্ড ব্যাংক বলেন, ইউএন বলেন, সেখান থেকে তাদের প্রতিনিধিরা আসে আমাদের কাছে। তারা বলে হ্যা, তোমাদের সবকিছু ডিজিটাল আমরা কবে দেবো, পরিকল্পনা আমরা করে দেবো, কীভাবে করতে হয় দেখিয়ে দেবো, শিখিয়ে দেবো। তো আমি তাদের সাথে অনেকবার বসলাম, আলোচনা করলাম। দেখলাম এটা কীভাবে করতে হবে কেউই কিন্তু জানে না।’ বলছিলেন তিনি।
প্রধানমন্ত্রীর এই উপদেষ্টা বলেন, তাদের উদ্দেশ্য হলো, তারা আসবে, বড় বড় কনসালট্যান্ট নিয়ে আসবে, বড় অংকের টাকা বিদেশে যাবে তাদের কনসালট্যান্টের কাছে। ছোটখাট কিছু বানিয়ে দিয়ে যাবে, বড় বড় তথ্য দিয়ে যাবে ব্যস। তারপর তারা চলে যাবে। হয়তো তাদের একটা প্রজেক্ট করতে ৫ বছর লেগে যাবে, ৬ বছর লেগে যাবে। তাদের নিজেদের প্রসেসই লেগে যাবে ২-৩ বছর প্রজেক্ট পাস করতে। তখন আমি তাদের বললাম কোনো প্রয়োজন নেই, ডিজিটাল বাংলাদেশ আমরা নিজেদের মতোই করবো।
তিনি বলেন, ডিজিটাল বাংলাদেশের পরিকল্পনা-বাস্তবায়ন সব কিছুই আমাদের বাংলাদেশের নিজস্ব করা। ডিজিটাল বাংলাদেশের প্লানিংয়ে, সেটা শর্টটার্ম হোক, লং টার্ম হোক কোনোটিই কোনো বিদেশী সংস্থা করেনি, সম্পূর্ণই নিজেরাই করেছি। হ্যা, কিছু কিছু হয়তো বাস্তাবায়ন করেছে বিদেশী কোম্পানি কিন্তু প্রজেক্ট প্লানিং, প্রজেক্ট ম্যানেজমেন্ট সম্পূর্ণ ১০০ ভাগ আমাদের হাতে।
‘ডিজিটাল বাংলাদেশ বাস্তবায়ন আমরা করেছি। এটা ধাপেধাপে করতে হয়েছে, সময় লেগেছে।’ বলছিলেন তিনি।
জয় বলেন, দেশে এখন প্রচুর আইটি সার্ভিস প্রয়োজন। যার বেশির ভাগই কিন্তু দেশের আইটি কোম্পানিই দিতে পারছে। বিদেশ হতে কোম্পানি আনতে হচ্ছে না, ডলার খরচ করতে হচ্ছে না। ব্যাংকের সফটওয়্যারও কিন্তু দেশের কোনো কোনো কোম্পানি বানাচ্ছে এবং সেটা কিছু কিছু কোম্পানি ব্যবহার করছে।
নিজের সমস্যার সমাধান নিজের মতো করে করার কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, বিদেশীরা ভেবেছিলো যে, তারা আমাদের বলে দেবে আমাদের কী কী সমস্যা আর তার সমাধান কী । কিন্তু তারা আমাদের বলার আগে আমরা নিজেরাই এটা বের করে তার সমাধান করে নিয়েছি। আমরা কাজ আরাম্ভ করেছি। আমাদের মেধা আছে, বাংলাদেশকে ডিজিটাইজড আমরা করেছি।