![]() |
টেকশহর কনটেন্ট কাউন্সিলর : ‘আপনার প্রতিভা দেখবে দুনিয়া’ স্লোগানে শুরু হলো ওয়ালটন ল্যাপটপের প্যাকেজিং ডিজাইন কনটেস্ট। এই প্রতিযোগিতায় যে কেউ অংশ নিতে পারবেন। প্রতিযোগিতায় ওয়ালটন কম্পিউটার পণ্যের প্যাকেজিংয়ের ডিজাইন করে ১৩ জন সেরা ডিজাইনার সর্বমোট ৩ লাখ ৮০ হাজার টাকা পুরস্কার জিতে নিতে পারবেন।
প্রতিযোগিতার প্রথম পুরস্কার ২ লাখ টাকা। দ্বিতীয় ও তৃতীয় পুরস্কার যথাক্রমে ৫০ হাজার এবং ৩০ হাজার টাকা। পরবর্তী ১০ জন সেরা ডিজাইনের প্রতিজন পাবেন ১০ হাজার টাকা করে পুরস্কার। প্রতিযোগিতাটি চলবে ৩০ নভেম্বর ২০২২ পর্যন্ত।
শনিবার ৫ নভেম্বর, রাজধানীর ওয়ালটন করপোরেট অফিসের কনফারেন্স হলে আয়োজিত ‘ওয়ালটন ল্যাপটপ প্যাকেজিং ডিজাইন কনটেস্ট’ শীর্ষক লঞ্চিং প্রোগ্রামে এসব তথ্য জানানো হয়।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদের ডিন অধ্যাপক নিসার হোসেন। বিশেষ অতিথি ছিলেন চারুকলা অনুষদের অঙ্কন ও চিত্রায়ন বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক শেখ আফজাল হোসেন, একই বিভাগের অধ্যাপক শিশির ভট্টাচার্য, ওয়ালটন ডিজি-টেক ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের চেয়ারম্যান এস এম রেজাউল আলম এবং ওয়ালটন গ্রুপের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ।
প্রতিযোগিতা সম্পর্কে বিস্তারিত তুলে ধরেন ফার্স্ট সিনিয়র ডেপুটি অপারেটিভ ডিরেক্টর আবুল কালাম আজাদ। তিনি জানান, সবার জন্য উন্মুক্ত এই প্রতিযোগিতায় একজন ডিজাইনার একের অধিক ডিজাইন পাঠাতে পারবেন। ডিজাইন বিষয়ক বিস্তারিত গাইডলাইন ওয়ালটনডিজিটেকডটকমস্ল্যাশইনোভেশন (waltondigitech.com/innovation) ওয়েবসাইটে দেয়া থাকবে। ডিজাইনারগণ তাদের ডিজাইনগুলো এই ([email protected]) ঠিকানায় পাঠাতে পারবেন। প্রাপ্ত ডিজাইনগুলো একটি বিজ্ঞ বিচারক প্যানেল যাচাই-বাচাই করবেন। সেখান থেকে তারা মোট ১৩ জন বিজয়ী নির্বাচন ও পুরস্কৃত করবেন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে নিসার হোসেন বলেন, ওয়ালটন ডিজি-টেকের এমন প্রতিযোগিতাগুলো থেকে অনেক ধরনের আইডিয়া পাওয়া যায়। যত বেশি মানুষ এই প্রতিযোগিতায় যুক্ত হবে, তত ভালো ফলাফল আসবে। নতুন নতুন ট্যালেন্ট খুঁজে পাওয়া যাবে। পুরো বাংলাদেশ থেকে প্রতিভা অন্বেষণের এটি একটি বড় পদক্ষেপ। আমরা এই প্রতিযোগিতার সাফল্য কামনা করছি।
অধ্যাপক শেখ আফজাল হোসেন বলেন, বাংলাদেশে এখন উচ্চমানের ডিজিটাল ডিভাইস রয়েছে। বিশেষ করে ওয়ালটন এ ধরনের নানান পণ্য তৈরি করছে। অত্যাধুনিক পণ্য তৈরিতে এ ধরনের কার্যক্রম খুবই সহায়ক হবে।
অধ্যাপক শিশির ভট্টাচার্য বলেন, আমাদের দেশে প্রতিভার কমতি নেই। কিন্তু প্রতিভা বিকশিত করার জন্য পর্যাপ্ত সুযোগ প্রয়োজন। ওয়ালটন ল্যাপটপের প্যাকেজিং ডিজাইন প্রতিযোগিতাটিতে সবার অংশগ্রহণের সুযোগ রয়েছে। এর মাধ্যমে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে অনেক সুন্দর সুন্দর ডিজাইন এবং ডিজাইনার বেড়িয়ে আসবে বলে আমি বিশ্বাস করি।
এস এম রেজাউল আলম বলেন, আমাদের লক্ষ্য – বিশ্বের যতগুলি দেশ আছে, সব জায়গায় আমাদের পণ্য যাবে। আমাদের পণ্যের ভেতর ও বাইরের সব কিছুই যেন বৈশ্বিক স্ট্যান্ডার্ড অনুযায়ী হয়, সেজন্য এই প্রতিযোগিতার আয়োজন। আমাদের বিশ্বাস পৃথিবীর বুকে বাংলাদেশকে প্রতিনিধিত্ব করার মতো প্যাকেজিং ডিজাইন এই প্রতিযোগিতা থেকে বেরিয়ে আসবে। দেশের জন্য সামান্য অবদানও যদি আমরা রাখতে পারি, তবে সেটাই হবে আমাদের বড় পাওয়া।
তিনি জানান, প্যাকেজিংয়ের বাইরে কেউ যদি কম্পিউটার পণ্যের কোনো ডিজাইনও পাঠাতে চান, তবে তা সাদরে গ্রহণ ও মূল্যায়ন করা হবে। ‘
ওয়ালটন ল্যাপটপ প্যাকেজিং ডিজাইন কনটেস্ট’ লঞ্চিং অনুষ্ঠানে দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা অনলাইনের মাধ্যমে অনুষ্ঠানের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন।