![]() |
টেকশহর কনটেন্ট কাউন্সিলর : দেশীয় হাজার বছরের ঐতিহ্য কাঁসা পিতলকে নতুন প্রজন্মের কাছে পৌঁছে দিতে শিউলি আক্তার শুরু করেন বি বাসিনী ।
বি বাসিনীর নামের গল্প কি ? শিউলি জানালেন তিনি আগেই ভেবেছিলেন তাঁর এই উদ্যোগে বাংলাদেশের পণ্য থাকবে, বি ফর বাংলাদেশ আর বাসিনী মানে তিনি নিজেই অর্থাৎ শিউলি নিজেকে বাংলাদেশের বাসিনী হিসেবে নামের মাধ্যমে এটাই প্রকাশ করতে চাচ্ছেন ।
কথা প্রসংগে তিনি বলেন, কাঁসা পিতলের জিনিস হারিয়ে যাচ্ছে ,মেলামাইন আর প্লাস্টিক এসে হারিয়ে দিচ্ছে কাঁসা পিতলকে । যে কেউ কাঁসা পিতলের জিনিস দেখেই বলে দাদুর ছিল , আমাদের ছিল এখন নাই । শিউলির উদ্দেশ্য হচ্ছে কাঁসা পিতলের এই হারিয়ে যাওয়া ঐতিহ্য যেন হারিয়ে না যায় । মানুষের মধ্যে এর গুরুত্ত অনুভব করার জন্য নানা রকম কাজ করছেন তিনি। যেন এই প্রজন্ম ও বলতে পারে আমাদের ও আছে তাই তিনি বিভিন্ন মেলায় অংশ নিচ্ছেন, কাঁসা পিতলের প্রচারে বিভিন্ন কনটেন্ট সহ ক্রেতার আগ্রহ তৈরি করছেন ।
লকডাউনে বাচ্চাদের ভালোর জন্য টাঙ্গাইল চলে গেলেন শিউলি । রেগুলার লাইফে ভাবতে লাগলেন কি করা যায় । উই গ্রুপে যুক্ত হলেন বন্ধুর আমন্ত্রনে । কেনাকাটা করতে লাগলেন । একদিন ১০ বছরের ছেলেকে পড়ানোর সময় বকা দিয়েছেন শিউলি । বড় হয়ে কি করবে না পড়াশুনা করলে ? এমন কথায় ছেলে মা কে পাল্টা প্রশ্ন করে – তুমি কি হয়েছ ? এই প্রশ্নটি মা হিসেবে শিউলিকে আহত করে । তখন তিনি সিরিয়াসলি ভাবতে শুরু করলেন ।
ভাইয়া , ভাইয়ার বন্ধুরা সকলে কাঁসা পিতলের সোর্সিং এর ব্যাপারে উনারা ভীষণ সাহায্য করেন । অফলাইনে বিজনেস বুঝা শিউলির অনলাইন সম্পর্কে কোন ধারনা ছিল না । তিনি বিভিন্ন কোর্স করা শুরু করলেন এবং বিভিন্ন মেলায় অংশ নেয়া শুরু করলেন । এভাবে তিনি অনলাইনের বিজনেস সম্পর্কে এগুতে থাকলেন । পড়াশুনায় দারুন আগ্রহী শিউলি কখনো কোন কাজে থেমে যান নি ।
জয়িতা ফাউন্ডেশনের যুক্ত হয়েছেন শিউলি । আনন্দের সাথে বলছিলেন পণ্য পাওয়া যাবে রাপা প্লাজার তিন তলায় । এস এম ই ফাউন্ডেশনের সাথে ও কাজ করবেন তিনি ।
পারিবারিকভাবে ব্যাপক সাপোর্ট পাওয়া শিউলি নিজেকে আশীর্বাদ পুস্ট মানুষ হিসেবে বলেন। কারন কাজের স্বাধীনতা পাওয়া ।
কাঁসা পিতল কেন ব্যবহার করব এই নিয়ে গ্রাহকের আস্থা জাগাতে পূর্ন উদ্যমে কাজ করছেন তিনি । ধাতু সবসময় ব্যবহার করা হয় স্বাস্থ্যের শুদ্ধির জন্য । পুরো গল্প শুনুন ভিডিওতে ।