![]() |
টেকশহর কনটেন্ট কাউন্সিলর : ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বলেছেন, সিকিউরিটি এক্সচেঞ্জ কমিশনকে ডাটা হাব হিসেবে গড়ে তুলতে হবে।
তিনি বলেন, বর্তমান প্রজন্মকে অত্যন্ত মেধাবি, এমন একটা সময় আসবে যখন কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা প্রযুক্তি ছাড়া শেয়ার ব্যবসা করার বিষয়টি মানুষ চিন্তাও করতে পারবে না। ডাটা এনালাইসিস করে জানা যাবে কোন শেয়ারের দাম কখন বাড়বে কিংবা কমবে।
মন্ত্রী বৃহস্পতিবার ঢাকায় আগারগাঁওয়ে ওয়ার্ল্ড ইনভেস্টর সপ্তাহ উপলক্ষ্যে অ্যাসোসিয়েসন অব অ্যাসেট মেনেজমেন্ট কোম্পানীজ এন্ড মিউচ্যুয়েল ফান্ডস আয়োজিত রোল অব টেকনোলজি এন্ড ইএসজি এনালাইটিকস ইন সাসটেইনেবল ফিনান্সিং শীর্ষক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন।
মোস্তাফা জব্বার বলেছেন, ডিজিটাইজেসনের ফলে বাংলাদেশের অভাবনীয় রূপান্তর হয়েছে। স্বাস্থ্য –শিক্ষা, শিল্প বাণিজ্য ও সরকারি সেবা ইত্যাদি ক্ষেত্রে আজকের এই রূপান্তরে ডিজিটাল প্রযুক্তির মহাসড়ক হিসেবে কাজ করছে ইন্টারনেট।
রোবটিক্স, আইওটি, বিগডাটা, ব্লকচেইন ইত্যাদি নতুন প্রযুক্তি প্রসারের ফলে আগামী দিনগুলোতে প্রচলিত ধারার শিল্প –বাণিজ্য পাল্টে যাবে।
টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী বাংলাদেশের তরুণ জনগোষ্ঠীকে ডিজিটাল দক্ষতা অর্জনের প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্বারোপ করে বলেন, মানুষ হচ্ছে আমাাদের সম্পদ। উদ্ভাবনে দেশ যত সমৃদ্ধ হবে আমরা তত বেশি সমৃদ্ধ হবো। আমাদের এখন সময় হয়েছে, আমাদের উদ্ভাবনে যেতেই হবে। এক সময় যারা শিল্প বিপ্লবের নেতৃত্ব দিয়েছে তারাও এখন চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি।
তিনি আশংকা করে বলেন, ডিজিটাল প্রযুক্তি পৃথিবীকে বদলেই দেবে না, উন্নত দেশ অনুন্নত আর অনুন্নত হয়ে যেতে পারে উন্নত।
অ্যাসোসিয়েসন অব অ্যাসেট মেনেজমেন্ট কোম্পানীজ এন্ড মিউচ্যুয়েল ফান্ডস‘র সভাপতি ড. হাসান ইমামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিএসইসি কমিশনার ড. রুমানা ইসলাম, মো. আবদুল হালিম ও ড. মিজানুর রহমান প্রমূখ বক্তৃতা করেন।
বক্তারা টেকসই আর্থিক ব্যবস্থাপনার জন্য ডিজিটাল প্রযুক্তির প্রয়োগের প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
পরে মন্ত্রী ফিতা কেটে স্টেপ ইএসজি এনালিটিকস উদ্বোধন করেন।