![]() |
টেকশহর কনটেন্ট কাউন্সিলর: জিরো কার্বন নিঃসরন করে এমন গাড়ি সাশ্রয়ী পরিবেশবান্ধব জ্বালানীর মাধ্যমে পরিচালিত হবে -এটি এখন পুরো বিশ্বের স্বপ্ন। কিন্তু দেখা যাচ্ছে ২০২২ সালে এসেও ইলেক্ট্রিক গাড়িতে কিছু বড় ধরনের সমস্যা রয়ে গিয়েছে। প্রথমত গ্যাসে চালিত গাড়ির তুলনায় এগুলো অনেক বেশি ব্যয়বহুল। এছাড়া কোনভাবে যদি এই গাড়ি কেনাও হয় তাহলে চার্জিং স্টেশনগুলোর ওপর নির্ভরশীল থাকতে হবে। গ্যাস স্টেশনের মতো চার্জিং স্টেশন সহজলভ্য নয়।
এর বিপরীতে গতানুগতিক পেট্রল চালিত গাড়িগুলো তুলনামূলক কমদামের এবং সব জায়গায় গ্যাস স্টেশন পাওয়া যায়। কিন্তু পেট্রল চালিত গাড়িগুলো সস্তায় কেনা গেলেও পেট্রল পাম্পের খরচ জোগারে আবার হিমশিম খেতে হয়। গ্যাসের দাম বাড়লে এই খরচ আরো বেড়ে যায়। এর ওপর পেট্রল চালিত গাড়ির মাধ্যমে ব্যাপক কার্বন নিঃসরন হয়; যা পরিবেশের জন্য খুবই ক্ষতিকর।
ইলেক্ট্রিক ও পেট্রলচালিত উভয়গাড়ির এমন প্রতিবন্ধকতার প্রেক্ষিতে হাইব্রিড গাড়ির কথা ভাবা যায়, বলছেন বিশেষজ্ঞরা। কারন এ গাড়িতে যেমন ইলেক্ট্রিক গাড়ির কিছু সুবিধা রয়েছে, তেমনি পেট্রলচালিত গাড়ির সুবিধাও পাওয়া যাবে।
হাইব্রিড গাড়িগুলো ইলেক্ট্রিক গাড়ির তুলনায় অনেক বেশি সস্তা। প্রতি গ্যালন পেট্রলে একটি হাইব্রিড গাড়ি ৪৮ থেকে ৬০ মাইল পথ চলতে পারে। যেমন- ২০২২ হুন্দাই সোনাটা হাইব্রিডের দাম ২৭ হাজার ৩৫০ ডলার। প্রতি গ্যালন পেট্রলে এই গাড়ি চলে ৫২ মাইল।
প্লাগ-ইন হাইব্রিড তুলনামূলক ভালো
প্লাগ ইন হাইব্রিডসকে ভবিষ্যতের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে দেখা হচ্ছে। বিশালাকারের ব্যাটারি ছাড়াই বিদ্যুতের মাধ্যমে চলতে পারে গাড়িটি।
২০২২ টয়োটা প্রিয়ুস প্রাইম একটি প্লাগ ইন হাইব্রিড। এর শুরুর দাম ২৮ হাজার ৭৭০ ডলার। এটি যদি চার্জ করার জন্য প্লাগ-ইন করা হয় তাহলে গ্যাস ব্যবহারের আগে ইভি মোডে ২৫ মাইল চলতে পারে।
এ ধরনের গাড়ি চাইলে হাইব্রিডে প্লাগ ইন করা যায়। আবার প্রয়োজনে সাধারন গ্যাস-চালিত গাড়ির মতোও ব্যবহার করা যায়।
আরএপি