![]() |
আল-আমীন দেওয়ান : রাষ্ট্র ও সমাজিক মূল্যবোধ বিরোধী পোস্ট-কনটেন্ট সরানো এবং তথ্য দিতে বিটিআরসির সঙ্গে সমঝোতায় এসেছে টিকটক।
ইতোমধ্যে এ নিয়ে বিটিআরসি-টিকটক সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) চুড়ান্ত পর্যায়ে।
ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার টেকশহর ডটকমকে বলেন, ‘টিকটক নিয়ে যে সংকটগুলো ছিলো সেখানে প্রথম হচ্ছে কমিউনিকেশনের অভাব। টিকটকেরও এমন কেউ ছিলো না, আবার আমাদের দিক হতেও খুঁজে পাচ্ছিলাম না কার সঙ্গে কী করবো । এই সময়ের মধ্যে ডেভেলমেন্টের মধ্যে যেটা হয়েছে তা হলো, বাংলাদেশের দায়িত্ব দিয়ে একজন বাংলাদেশীকে নিয়োগ দেয়া হয়েছে ।’
‘টিকটকও বুঝতে পেরেছে বাংলাদেশ ফেলনা মার্কেট নয় । টিকটক এখন আমাদের কথা শোনে। টিকটক জানিয়েছে, তারা আমাদের আইনকানুন, নিয়ম-নির্দেশ মেনে চলবে। এটা পজিটিভ বিষয়। আমাদের দিক হতে প্রধানত চ্যালেঞ্জ ফেইসবুক, ইউটিউব এবং টিকটক নিয়ে। টিকটকের সঙ্গে উদ্যোগের ফলে এখন টিকটক নিয়ে খুব একটা ভাবনা নেই।’ বলছিলেন তিনি।
মন্ত্রী বলেন, এমওইউ’য়ের বিষয়টি পর্যালোচনা করে বিটিআরসি করছে।
বিটিআরসি বলছে, দেশে টিকটক একটি বহুল ব্যবহৃত সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম। টিকটকের বিভিন্ন অ্যাকাউন্টে অডিও-ভিডিও বিনোদনমূলক কনটেন্টের পাশাপাশি সরকার বিরোধী, রাষ্ট্রবিরোধী, সামাজিক মূল্যবোধ বিরোধী, স্পর্শকাতর রাজনৈতিক, পর্ণগ্রাফিক কনটেন্টসহ বিভিন্ন আপত্তিকর কনটেন্ট পোস্ট ও শেয়ার হয়ে থাকে।
এমন পোস্ট-কনটেন্ট সরাতে ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগ, গোয়েন্দা সংস্থা, ও আইন-প্রয়োগকারী সংস্থা হতে নিয়মিত বিটিআরসির কাছে অনুরোধ আসে। তখন রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তা ও জননিরাপত্তার গুরুত্ব বিবেচনায় বিটিআরসি টিকটকের সঙ্গে নির্ধারিত ইমেইলের মাধ্যমে যোগাযোগ করে।
তবে সম্প্রতি টিকটক বিটিআরসির জন্য একটি রিপোর্টিং পোর্টাল তৈরি করেছে। যেখানে বিটিআরসি পোস্ট-কনটেন্ট রিপোর্ট করে আর টিকটক তা অপসারণের উদ্যোগ নেয়।
টিকটকের সঙ্গে তথ্য আদান-প্রদান ও কনটেন্ট অপসারণে এমওইউ করার গুরুত্বের কথা প্রথম বলেন ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার। ২০২১ সালের ২১ ডিসেম্বর টিকটকের দক্ষিণ-এশিয়ার প্রতিনিধি দলের সঙ্গে বৈঠকে এই প্রসঙ্গে বলেন মন্ত্রী।
এরপর বিটিআরসির একাধিক বিভাগ হতে যাচাই-বাছাই, টিকটকের মতামত নেয়া, ডিজিটাল নিরাপত্তা সেলের পর্যালোচনা শেষে এই এমওইউ ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের অনুমোদন সাপেক্ষে স্বাক্ষরের অপেক্ষায়।