![]() |
টেকশহর কনটেন্ট কাউন্সিলর : ইন্দোনেশিয়া ও আয়ারল্যান্ডে নতুন ক্লাউড অঞ্চল উন্মোচন করবে হুয়াওয়ে । গো ক্লাউড, গো গ্লোবাল ইকোসিস্টেম প্ল্যান এবং ‘এভ্রিথিং অ্যাজ এ সার্ভিস’ এই প্রতিপাদ্য দ্বারা অনুপ্রাণিত হয়ে সেবা প্রদানের প্রতিশ্রুতির কথা বলেন হুয়াওয়ে ক্লাউডের সিইও ঝাং পিং আন ।
তিনি আরও বলেন, হুয়াওয়ে ক্লাউড বিশ্বব্যাপী ১৫ ধরনেরও বেশি উদ্ভাবন উন্মোচন করে একটি গ্লোবাল নেটওয়ার্ক তৈরি করবে যেখানে বিশ্বের যে কোন জায়গা থেকে মাত্র ৫০ মিলিসেকেন্ডের মধ্যে ক্লাউড সেবা নেয়া যাবে । এ বছরের শেষ নাগাদ হুয়াওয়ে ক্লাউড ১৭০টিরও বেশি দেশের ২৯টি অঞ্চল ও ৭৫টি জোনে (অ্যাভেইলেবিলিটি জোন) সেবাদানের বিষয়টি নিশ্চিত করবে।
থাইল্যান্ডের রাজধানী ব্যাংককে সোমবার, ১৯ সেপ্টেম্বর শুরু হয়েছে হুয়াওয়ে কানেক্ট-২০২২ । অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন হুয়াওয়ে’র রোটেটিং চেয়ারম্যান কেন হু এবং হুয়াওয়ে ক্লাউডের গ্লোবাল মার্কেটিং ও সেলস সার্ভিসের প্রেসিডেন্ট জ্যাকুলিন শি ।
হুয়াওয়ে ক্লাউডের গ্লোবাল মার্কেটিং ও সেলস সার্ভিসের প্রেসিডেন্ট জ্যাকুলিন শি জানান, হুয়াওয়ে ক্লাউড বিশ্বব্যাপী ১৫টিরও বেশি উদ্ভাবন উন্মোচন করবে; যার মধ্যে রয়েছে- ক্লাউড নেটিভ, আর্টিফিসিয়াল ইন্টেলিজেন্স (এআই) ডেভেলপমেন্ট, ডেটা গভর্ন্যান্স, ডিজিটাল কন্টেন্ট, সফটওয়্যার ডেভেলপমেন্ট এবং ম্যাক্রোভার্স এপিএএএস (অ্যাপ্লিকেশন প্ল্যাটফর্ম অ্যাজ আ সার্ভিস)।
কেন হু বলেন, প্রতিষ্ঠানগুলোর উচিত নিজেদের উন্নয়ন ত্বরাণ্বিত করতে ক্লাউডের ব্যবহার বৃদ্ধি করা কারণ ডিজিটাল স্মার্ট প্রযুক্তিই হবে আগামীর ভবিষ্যৎ। ক্লাউডে ইতোমধ্যে ২৪০টিরও বেশি সেবা অন্তর্ভূক্ত করা হয়েছে। এছাড়া হুয়াওয়ে ক্লাউডে আর্টিফিসিয়াল ইন্টেলিজেন্স (এআই), অ্যাপ্লিকেশন ডেভেলপমেন্ট, বিগ ডেটা টেকনোলোজিস এবং বিভিন্ন রকম ডেভেলপমেন্ট টুলসের সর্বাধুনিক ব্যবহার নিশ্চিত করতে ৫০ হাজারেরও বেশি অ্যাপ্লিকেশন প্রোগ্রামিং ইন্টারফেস (এপিআই) ব্যবহার করা হয়েছে।
একটি গ্লোবাল ডিজিটাল ইকোসিস্টেম গড়ে তুলতে ‘বাই লোকাল, ফর লোকাল’ কৌশল গ্রহণ করেছে হুয়াওয়ে ক্লাউড। আগামী ৩ বছরে বিশ্ব জুড়ে ১০ হাজারেরও বেশি সম্ভবনাময় স্টার্টআপকে ব্যয়-সাশ্রয়ী কৌশল অবলম্বন, প্রযুক্তিগত সহায়তা, উদ্যোগবিষয়ক প্রশিক্ষণ এবং ব্যবসায়িকভাবে অন্যান্য সহায়তা প্রদান করবে হুয়াওয়ে ক্লাউড। ইতোমধ্যে এশিয়া-প্যাসিফিক অঞ্চলের ১২০টির বেশি এন্টারপ্রাইজ হুয়াওয়ে ক্লাউড স্টার্টআপ প্রোগ্রামে অন্তর্ভূক্ত হয়েছে।
ক্লাউড উদ্ভাবনের মধ্যে রয়েছে- ক্লাউড নেটিভ, আর্টিফিসিয়াল ইন্টেলিজেন্স (এআই) ডেভেলপমেন্ট, ডেটা গভর্ন্যান্স, ডিজিটাল কন্টেন্ট, সফটওয়্যার ডেভেলপমেন্ট এবং ম্যাক্রোভার্স এপিএএএস (অ্যাপ্লিকেশন প্ল্যাটফর্ম অ্যাজ আ সার্ভিস) , সিসিই টারবো, ইউবিকুটাস ক্লাউড নেটিভ সার্ভিস (ইউসিএস), পাঙ্গু ওয়েভ মডেল, ডেটাআর্টস লেকফরম্যাশন, ভার্চ্যুয়াল লাইভ, কোডচেক অ্যান্ড ক্লাউডটেস্ট, কুউম্যাসেজ, কুউসার্চ এবং কুউগ্যালারি।
হুয়াওয়ে ক্লাউড ইনফ্রাসট্রাকচার অ্যাজ আ সার্ভিস (আইএএএস), টেকনোলোজি অ্যাজ আ সার্ভিস (আইটিএএএস), এক্সপারটিজ অ্যাজ আ সার্ভিস (ইএএএস) এবং এভ্রিথিং অ্যাজ আ সার্ভিসের (এক্সএএএস) মাধ্যমে বিভিন্ন খাতের জন্য সুযোগ তৈরি করতে প্রচেষ্টা চালিয়ে যাবে এবং একটি ইন্টেলিজেন্ট ওয়ার্ল্ড তৈরির জন্য ক্লাউডের সর্বোত্তম ব্যবহার নিশ্চিত করবে।
সুত্র – প্রেস বিজ্ঞপ্তি