![]() |
টেকশহর কনটেন্ট কাউন্সিলর : সোমবার আনুষ্ঠানিকভাবে আমেরিকান ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি- বাংলাদেশ (এ আই ইউ বি) ক্যাম্পাসে শুরু হলো সিটিও ফোরাম ইনোভেশন হ্যাকাথন ২০২২ এর তৃতীয় আসর। দুপুরে উদ্ভাবনী এই হ্যাকাথনের উদ্বোধন করেন মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল।
অংশ নেয়ার শেষ সময় ২৭ সেপ্টেম্বর, সেদিন ই শুরু হবে আইডিয়া রাউন্ড। ২৭ অক্টোবর ডেমো রাউন্ড শেষে ১৫ নভেম্বর হবে চূড়ান্ত পর্ব। অংশগ্রহণকারীরা জাতীয় প্রয়োজনে ২১টি ক্যাটাগরিতে উদ্ভাবনী সমাধান খুঁজে আনবে।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে নওফেল বলেন, শিক্ষার্থীদের জন্য ইন্ডাস্ট্রির চাহিদা অনুযায়ী পাঠ্যক্রমে সফটস্কিল অন্তর্ভূক্তি করা হচ্ছে। এক্ষেত্রে হ্যাকাথন অন্যতম অনুষজ্ঞ। এ কারণেই আমি বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনকে হ্যাকাথনের অংশীদার হতে আহ্বান জানাই। কিংবা তারা বিশ্ববিদ্যালয়ে যেনো নিয়মিত হ্যাকাথন আয়োজন করে। এতে করে কারিকুলামের বাইরেও বাস্তব দক্ষতা অর্জনের পথ উন্মুক্ত হবে।
সিজিপিএ নয়, দক্ষতা উন্নয়নে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের প্রতি আহ্বান জানিয়ে উপ-মন্ত্রী বলেন, আমাদের উচিত হবে প্রবলেম সলভিং দক্ষতা উন্নয়নে পোস্ট গ্রাজ্যুয়েট, আইসিটি, কোডার্স এবং বিজ্ঞান সংশ্লিষ্ট বিষয়ে অ্যাপ্লিকেশন ভিত্তিক কোর্সের দিকে নজর দেয়া।
অনুষ্ঠানে হ্যাকাথনের আয়োজক প্রতিষ্ঠান সিটিও ফোরাম সভাপতি তপন কান্তি সরকার জানান, বিশ্ববিদ্যালয় গ্রাজুয়েট এবং ইন্ডাস্ট্রির প্রয়োজনীয় দক্ষতা উন্নয়নের অংশ হিসেবেই এই আয়োজন। বিশ্ববিদ্যালয়গুলো অনুরোধে আগামী ২৭ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত এতে অংশগ্রহণের সময় বাড়ানো হয়েছে।
স্বাগত বক্তব্যে এ আই ইউবি উপচার্য ড. কারম্যান জেড লামাগনা আগামীতে ইনোভেশন হ্যাকাথনের অংশীদার হওয়ার আগ্রহ প্রকাশ করে প্রতিবছর এ ধরনের আয়োজনের আহ্বান জানান। তিনি বলেন, আইসিটি বিভাগের সঙ্গে ২০১৬ সালে সর্বশেষ হ্যাকাথনে এআইইউবি উল্লেখযোগ্য সাফল্য দেখিয়েছে। আমরা নিয়মিত জাতীয় এবং আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতা এবং ইভেন্টগুলিতে অংশ গ্রহণ করি। তরুণ উদ্ভাবকদের উৎসাহিত করতে ইনোভেশন হ্যাকাথন নিঃসন্দেহে অনন্য একটি প্লাটফর্ম হয়ে উঠবে।
অনুষ্ঠানে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের সদস্য অধ্যাপক মো: সাজ্জাদ হোসেন, ক্যানাডিয়ান ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশের উপাচার্য অধ্যাপক ড. জহিরুল হক, ফেয়ার গ্রুপের সিইও মোতাসিম দেওয়ান, বাংলাদেশ হাইটেক পার্ক কর্তৃপক্ষের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ড. বিকর্ণ কুমার ঘোষ বক্তব্য রাখেন।
ড.বিকর্ণ কুমার ঘোষ বলেন, সনি- মারুবিনি’র মতো বৈশ্বিক প্রতিষ্ঠানগুলো হাইটেক পার্কে তাদের কারখানা করতে যাচ্ছে এবং দক্ষ জনশক্তি খুঁজছে । আশা করছি, অচিরেই মাইক্রোসফট, গুগল’র মতো সিইও হবে বাংলাদেশের মাটি থেকেই।
তিনি আরো বলেন, “আমরা ডিজিটাল বাংলাদেশ থেকে স্মার্ট বাংলাদেশের দিকে এগিয়ে যাচ্ছি। ইতোমধ্যেই ৪ হাজার শেখ রাসেল ডিজিটাল ল্যাব তৈরি করা হয়েছে এবং ২০২৫ সালের মধ্যেই এই সংখ্যা ২৫ হাজারের উন্নীত হবে। এখন আমাদের ১১ টি হাইটেক পার্ক রয়েছে, ২০২৫ সালের মধ্যে ৯২ টি হাইটেক পার্ক তৈরি হবে। জেলায় কমপক্ষে একটি করে ট্রেনিং এবং ইনক্রিমেন্ট সেন্টার তৈরি করা হবে।”
ফেয়ার গ্রুপের ডিরেক্টর এবং সিইও মুতাসিম দাইয়ান বলেন, এই হ্যাকাথনের লক্ষ্য তরুণ অ্যাপ ডেভেলপারদের এমন ভাবে গড়ে তোলা যেন তারা স্মার্ট বাংলাদেশ ভিশন অর্জন করতে পারে। তারা ডিজিটাল রূপান্তর, ক্ষমতায়ন এবং কর্মসংস্থানকে গুরুত্ব দেবে যা ফেয়ার গ্রুপের লক্ষের সঙ্গে মিতালি করে।
ইনোভেশন হ্যাকাথন ২০২২ এর টাইটেল স্পন্সর ফেয়ার টেকনোলজি ও হুন্দাই বাংলাদেশ ব্র্যান্ড। সহযোগী হিসেবে আছে বাংলাদেশ হাইটেক পার্ক অথরিটি ও এস্প্যায়ার টু ইনোভেট (এটুআই) এবং বেসিস।
এই আয়োজনে “ক্ষুধা মুক্ত বিশ্ব, সুস্বাস্থ্য, গুণগত শিক্ষা, ই-কমার্স, এমার্জিং টেকনোলোজি, ভার্চুয়াল এসিস্টেন্স, অনলাইন সার্টিফিকেট ভেরিফিকেশান” সহ এমন আরো মুক্ত চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় এই হ্যাকাথন থেকে সেরা উদ্যোগগুলো আন্তর্জাতিক পর্যায়ে তুলে ধরা হবে ।
সুত্র – প্রেস বিজ্ঞপ্তি
আরও পড়ুন
ইনোভেশন হ্যাকাথন’২২ ও দেশ সেরা তথ্যপ্রযুক্তি কর্মকর্তা সম্মাননা দেবে সিটিও ফোরাম