![]() |
বিজনেস প্রসেসিং আউটসোর্সিং (বিপিও) খাতের নানা বিষয় নিয়ে বাংলাদেশে কাজ হচ্ছে অনেকদিন ধরেই। শুধুমাত্র নির্দিষ্ট তথ্যপ্রযুক্তিভিত্তিক কাজই নয়, এর বাইরে ভিন্ন ভিন্ন কিছু বিষয় আছে যা বিপিও’র আওতায় দেশে অনেকেই করছে। এর মধ্যে রয়েছে এইচ আর, অ্যাকাউন্টিং। দীর্ঘদিন ধরেই বিপিও খাতের অংশ হিসেবে এ ধরনের সার্ভিস নিয়ে কাজ করছেন রিকম কনসাল্টিং লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক খন্দকার আতিকুর রহমান। নিজের উদ্যোগ, এসব বিষয়ে বিপিওর বাজার এবং দেশের বাইরে কাজ করার সুযোগসহ নানা বিষয়ে কথা বলেছেন টেকশহর ডটকমের নিয়মিত আয়োজন ‘টেক ভেঞ্চারস টক’-এ।
টেকশহর: আপনার প্রতিষ্ঠান এবং কাজ সম্পর্কে বলুন।
খন্দকার আতিকুর রহমান: বাংলাদেশ গত কয়েক বছরে বিপিও খাতের নানা বিষয় নিয়ে কাজ করছে। আমি ব্যক্তিগত ভাবে গ্রামীণফোনে দীর্ঘদিন ধরে চাকুরী করেছি। সে অভিজ্ঞতা থেকে একসময়ে মনে হলো বিপিও খাতের মধ্যে পেরোল নিয়ে কাজ করা যায়। আমার চাকুরীর সময়ে আমি যে ধরনের কাজ করতাম তার মধ্যে অন্যতম একটি ছিল পে রোল। পরবর্তীতে আমি এবং আমার কয়েকজন পার্টনার মিলে আমাদের প্রতিষ্ঠানটি শুরু করি।
টেকশহর: বিপিও খাতে এইচ আর, ফিন্যান্স বিষয়গুলো নিয়ে কাজ করার আগ্রহ কিভাবে হলো?
খন্দকার আতিকুর রহমান: বিপিও খাতে আসলে নানা ধরনের কাজই হয়। প্রতিষ্ঠানগুলো এখন সুদক্ষ হাতে কাজ করতে চায় এবং ব্যবসার ক্ষেত্রে মনযোগ অন্যদিকে রাখতে চায়। প্রতিষ্ঠানের আন্ত:কাজগুলোর জন্য নতুন লোকবল নিয়োগ দেয়া, তাদের প্রশিক্ষণ দেয়া থেকে শুরু করে এ বিষয়গুলোতে প্রতিষ্ঠানগুলোও তেমন যুক্ত হতে চায় না। এক্ষেত্রে অন্য কেউ এ ধরনের প্রতিষ্ঠানগুলোকে সে সাপোর্টগুলো দিলে প্রতিষ্ঠান নিজেই অন্যদিকে কর্মীদের নিয়ে যেমন ভাবতে পারে তেমনি প্রতিষ্ঠানের উন্নয়নের ক্ষেত্রেও মনযোগ বাড়াতে পারে। তবে, শুরুতে অনেক প্রতিষ্ঠান চিন্তায় থাকে তাদের তথ্য বেহাত হওয়া বা অন্য কেউ জেনে যেতে পারে এমন চিন্তায় থাকে। সে চিন্তা দূর করতে আমরা বেশ কাজ করছি। আমরা প্রতিষ্ঠান ভিত্তিক যেমন লোকবল নির্ধারণ করে দিচ্ছি তেমনি প্রয়োজনে প্রতিষ্ঠান ভেদে ল্যাপটপ, কম্পিউটারও আলাদা করে দিচ্ছি।
টেকশহর: দেশের মধ্যে বিভিন্ন শহর বা স্থান থেকে কেমন সাড়া পাচ্ছেন?
খন্দকার আতিকুর রহমান: আমরা আসলে এখনো বিপিও খাতের বিষয়টিকে তেমন বড় আকারে করে নিতে পারিনি। বিশেষ করে বিপিও খাতে যে ধরনের সার্ভিস দেয়া হয় তার মধ্যে কিছুবিষয় বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। পাশাপাশি অন্যান্য সার্ভিসগুলো সম্পর্কেও অনেকে ধীরে ধীরে জানছে। আমরা কিন্তু প্রতিষ্ঠানের সহযোগী হিসেবেই কাজ করছি। সে হিসেবে এ ধরনের কাজগুলোর চাহিদা বাড়ছে বিষয়টি নিয়ে যতটা জানাশোনা বাড়ছে সে বিষয় মাথায় রেখেই।
টেকশহর: দেশের বাইরে এ ধরনের কাজগুলো করার বিষয়ে কি করা দরকার বলে মনে করছেন?
খন্দকার আতিকুর রহমান: এ বিষয়গুলো নিয়ে বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব কন্ট্যাক্ট সেন্টার অ্যান্ড আউটসোর্সিং (বাক্ক্য) বেশ কিছু কাজ করছে। ২০২৫ সালকে সামনে রেখেও বেশ কিছু পরিকল্পনা নিয়ে বাক্ক্যও কাজ করছে। আমরা আশাবাদী। ধীরে ধীরে আমরাও চাই দেশের বাইরে আমাদের দক্ষতা দিয়ে এ ধরনের কাজগুলো করতে। হয়তো ভবিষ্যৎ আমরা দেশের বাইরে কাজ করবো।
টেকশহর: এ ধরনের কাজের ভবিষ্যৎ কেমন দেখছেন?
খন্দকার আতিকুর রহমান: ভবিষ্যৎ ভালোই এবং আমরা আশাবাদী। আমাদের প্রতিষ্ঠানের অন্য সহযোগীরাসহ আমিও কিন্তু ভালো চাকরীই করছিলাম। সেটি ছেড়ে প্রতিষ্ঠান শুরুর ইচ্ছেই ছিল নতুন কিছু করা। আর বিপিও খাতের অন্যান্য কাজগুলো আইটি ভিত্তিক হলেও আমাদের কাজগুলো কিন্তু মূলত অ্যাকাউন্টিং কেন্দ্রীক। দেখা যায় নির্দিষ্ট একটি পর্যায়ের পড়াশোনা শেষেই অনেকেই এ ধরনের বেশ কিছু কাজ করতে পারে। বিশেষ করে উচ্চ মাধ্যমিক বা এর পরের নির্দিষ্ট একটি পড়াশোনা শেষ করেই অনেক কাজ আছে যেগুলো করা সম্ভব।
[সাক্ষাৎকার নিয়েছেন টেকশহর ডট কমের স্পেশাল করসপনডেন্ট নুরুন্নবী চৌধুরী]