![]() |
টেকশহর কনটেন্ট কাউন্সিলর : অনলাইনে প্রচুর কেনাকাটা করতে পছন্দ করতেন ফারজিনা আক্তার রুমা । ছিলেন ক্রেতা তারপর একজন বিক্রেতা আপুর উৎসাহে শুরু করেন নিজ উদ্যোগ । কিন্তু কতটুকু ভাল করতে পারবেন সেই নিয়ে ছিলেন সন্দিহান।
এই উদ্যোগের যাত্রা ২ বছর হলেও অফলাইনে কাজ করে গেছেন ২০১৮ থেকে । করোনা মহামারিতে সকলে কাজ করছে দেখে রুমার মনে হল দেখি আমি পারি কিনা ।
স্বামীর কাজের সুত্রে সিলেট মৌলভীবাজারে ছিলেন, নিজে থেকে অনুভব করতেন কিছু করি , মনে মনে কিছু করতে চাইতেন । একটা সময় জব করতেন , সন্তান – সংসার সামলে কি করা যায় এমন ভাবনায় মাঝে মাঝে হতাশা ভর করে । স্বামীর অনুপ্রেরণায় কিছু করতে শুরু করেন । সিলেটের মনিপুরীর জন্য তৈরি হয় মায়া। ঘরে থেকে কিছু করার যাত্রায় মা এগিয়ে এসে প্রথম অর্ডার করেন যে তাঁকে একটা মনিপুরী শাড়ি দিতে হবে। সেই থেকে শুরু এবং তখন রুমা মনিপুরী শাড়ি নিয়ে কিছুদিন কাজ করেন । কাস্টমার অর্ডার অনুযায়ী তিনি কাজ করেন।
মাঝে কিছুদিন হাতের কাজের কাপড় , কাস্টমাইজ কাজ নিয়ে ব্যস্ত ছিলেন । কেন মা ও মেয়ের উদ্যোগ নিয়ে ভেবেছেন ? এমন প্রশ্নে রুমা জানালেন, বাজারে গিয়ে খেয়াল করেছেন যে বাবা ছেলের অনেক কিছু আছে , মা ও মেয়ের তেমন কিছু নেই । তাই তিনি এই বিষয় নিয়ে কাজ শুরু করেন ।মা এবং মেয়ের মনিপুরী শাড়ি করতে উঠে পড়ে লাগলেন। তাঁতিকে দিয়ে ছোট মেয়েদের শাড়ি করালেন এবং নারী দিবসের বেগুনী রঙকে নির্ধারন করেন । এই রঙ ই উনার সিগনেচার কালার ।
তারপর নিজের পরিবারের ৪ জনের জন্য কম্বো শুরু করে ফেইসবুকে পোস্ট করলে গ্রাহক,আত্মীয় ও বন্ধুদের আগ্রহ বেড়ে যায় । এভাবেই সেল বাড়ে , পরিচিতি হয় ।
আদিবাসি গারো সম্প্রদায়ের ঐতিহ্যবাহী পোশাক দকমান্দা নিয়ে রিসার্চ করতে ময়মনসিংহের আরিফা খাতুন , আশা এবং রুমা হালুয়াঘাটে তাঁত খুজতে যান । দেখতে পেলেন আগে অনেক পণ্য তৈরি হলেও এখন তেমন হচ্ছে না । তারপর রুমা নিজ থেকেই আগ্রহী হয়েই দকমান্দা নিয়ে কুর্তি , ফিউশন করতে লাগলেন । এবং তিনি গারোদের এই ঐতিহ্য ধরে রাখতে বদ্ধ পরিকর ।
রুমা সমালোচনাকে সামলে নিয়ে এগুতে চান , এটাকে তিনি মেনে নিয়ে পজেটিভলি ভেবে এগিয়ে যেতে হবে । নিজের কাজে ফোকাস করতে হবে। স্বামীর আগ্রহ আর অনুপ্রেরণায় যেতে চান বহুদুর ।
নিজ জেলা ময়মনসিংহে কেবল মনিপুরী পণ্য এবং গারোদের দকমান্দা পোশাকের ফিউশন সহ অরিজিনাল পণ্য নিয়ে একটা শোরুম দেবেন ফারজিনা রুমা , স্বপ্ন দেখেন এমন ই ।