![]() |
টেকশহর কনটেন্ট কাউন্সিলর : গিন্নি মা-র স্বত্বাধিকারী ইয়াসমিন আক্তার অদিতি, চিটাগাং এর মেয়ে । ব্যতিক্রম একটা নাম গিন্নি মা । কেন এমন নাম ? এমন প্রশ্নের জবাবে অদিতি দিয়েছেন ব্যবসায়িক জবাব ।
গিন্নি মার মুল পণ্য সকল ধরনের মশলা , বিরানি মশলা, মেজবানি মাংসের মশলা , হাটহাজারির মিষ্টি মরিচ ইত্যাদি । সিগনেচার আইটেম হল ড্রাই ফ্রুতসের আচার । তেল ছাড়া আচার বানানো যায় না অনেকের ধারনা । কিন্তু অদিতি এই একটা আচার করেন । কেজি হিসাবে বিক্রি করলে ৯০০ টাকা আসে , তাছাড়া ২৫০ গ্রাম , ৫০০ গ্রাম ওজনের ও পাওয়া যায় ।
অদিতির পণ্যের প্রধান সোর্স চিটাগাং । অদিতি বলছিলেন, কম টাকা দিয়ে বিজনেস শুরু করলেও কম জ্ঞান নিয়ে বিজনেস করা যায় না । তিনি সব কাজ গুছিয়ে তারপর শুরু করেছি ।
নিজের জমানো ২০ হাজার টাকা দিয়ে শুরু করলে ও সোর্সিং এর বিষয়ে কষ্টের গল্প জানালেন অদিতি । তখন পাইকারি দরে পণ্য পান নি , দু বছর পর আজকে ব্যবসায়ীরা পাইকারি দরে পণ্য দিতে চায় । সময় বদলে গেছে ।
করোনায় স্বামীর চাকরি চলে যাওয়ায় চ্যালেঞ্জের মুখে পড়ে পুরো পরিবার । তখন নিজের ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা থেকে অনলাইনে নারী উদ্যোক্তা হিসেবে কাজ করবেন বলে ভাবতে লাগলেন । উই গ্রুপের সাথে যুক্ত হয়ে নিয়মিত জুমে মিটিং , মাস্টার ক্লাস , সফট স্কিল ডেভেলপ এগুলো করে নিজেকে ১০০ ভাগ প্রস্তুত করেছেন অদিতি ।
গ্রাহকের সাথে কথা বলা শিখতে হবে , কাজের ধাপগুলো শিখতে হবে , কি পণ্য – কাদের জন্য এগুলো রিসার্চ করতে হবে । নতুনদের জন্য পরামর্শ দিলেন অদিতি । নিজেকে নিজের মোটিভেশন নিয়ে জানার বিষয়টি নিপুনভাবে জানালেন।
আব্বা বলতেন , মেয়েদের একটা নিজের পরিচয় থাকতেন। যখন সংসার করতে আসলাম – দেখলাম আমি কারো মা , কারো স্ত্রী কিন্তু এভাবেই কি আমার জীবন চলে যাবে ? তারপর আব্বার সেই কথা কানে বাজতে লাগল । অবসর ভাল লাগে না , কাজ করতেন, বই পড়তে লাগলেন , অন্যদের কাজের ধরন দেখতে লাগলেন । তারপর একদিন নিজের একটা পরিচয় তৈরি করা হয়ে গেল ক্রাইসিস মোমেন্টে । দেখে নিন অদিতির গল্প তাঁর নিজ মুখেই ।