![]() |
টেকশহর কনটেন্ট কাউন্সিলর : ছোটবেলা থেকেই হিজাব পরেন জাকিয়া , সেই ভাল লাগা থেকেই অনলাইনে উদ্যোক্তাদের গল্প শুনে উৎসাহিত হয়েই শুরু করেন নিজের উদ্যোগ হিজাব গ্যালারী। হিজাবের সাথে ইদানিং বাটিকের কাপড় ও রেখেছেন ।
করোনা মহামারিতে ঘরে বসে কিছু করার এই উদ্যোগে ছেলে আছে তাঁর সাথে । ছবি তোলার সময় মাকে সাহায্য করে সন্তান। বাদবাকি সব কাজ একা হাতেই করেন জাকিয়া । নিজের আত্মবিশ্বাসে এগিয়ে চলছেন তিনি ।
একটি হিজাব একাধিক ড্রেসের সাথে পরা যায় , শাড়ির সাথেও যায় । তাহলে কিভাবে সেল বাড়ান জাকিয়া ? এমন প্রশ্নে জানালেন হিজাব খুব বেশি লাগে না , তবুও তিনি মানুষের মাঝে হিজাবের চাহিদা জাগাতে কাজ করে যাচ্ছেন । আর আস্থার জায়গা ধরে রাখতে পারলে এটা সম্ভব হয় । প্রডাক্টের কোয়ালিটি যদি ভাল হয় তাহলে ক্লায়েন্ট হিজাব বলতেই তাঁকে খুঁজবে ।
বন্ধু বান্ধবেরা অফলাইনে কেনা শুরু করলেও অনলাইনে সেল হতে সময় লাগে , তারপর একদিন এক ভাইয়া তাঁর স্ত্রী এবং বোনের জন্য হিজাব কেনেন । আর এতেই তাঁর ভয় ভাঙ্গে , হতাশা দূর হয় ।
নিজে নিজেই কাজের নিপুণতা আনার চেষ্টায় মরিয়া জাকিয়া । হিজাব নিয়ে যারা কাজ করছেন তাদের সাথে প্রতিযোগিতা কেমন অনুভব করেন ? এমন প্রশ্নে একই পণ্যের আরেকজন উদ্যোক্তাকে তিনি প্রতিযোগি না বলে সহযোগি ভাবছেন , কারন তাদের কাছ থেকে তিনি প্রতিদিন শিখছেন । তাদের ছবি তোলা , লেখা কিংবা অন্যান্য কার্যক্রম তাঁকে শেখাচ্ছে ।
বাজারে ব্র্যান্ডের কাছে না গিয়ে গ্রাহক কেন আপনার কাছে আসবে ? এই প্রশ্নের উত্তরে বলেন যে , এটা সম্পূর্ণ পরিচিতির উপর । আমি যতদুর গেছি , যে আমাকে চেনে , সে আমার কাছ থেকে নেবে । সম্প্রতি বিদেশে পাঠানো হিজাবের গ্রাহকের গল্প জানালেন জাকিয়া। একজন গ্রাহকের কাছে নিজের ব্র্যান্ডিং তুলে ধরতে নিজেকেই চেষ্টা করতে হবে বললেন তিনি ।
স্বপ্নের কথা জানতে চাইলে জাকিয়া জানালেন – ৫ বছর পর কেন আমার ইচ্ছে করে এখনি যদি সম্ভব হত তাহলে একটা শো রুম নিতাম , আরও কয় জন নারী উদ্দ্যোক্তাকে সাথে নিয়ে একটা শো রুম দেয়ার আগ্রহ অনেক ।