![]() |
টেকশহর কনটেন্ট কাউন্সিলর : বিমান চলাচলের সময় ব্যবহৃত জ্বালানী থেকে নিঃসরিত কার্বন ডাই অক্সাইড জলবায়ুর ওপর ব্যাপক প্রভাব ফেলে। এটি অনেক সময় বায়ু মন্ডলের উঁচুতে পাতলা মেঘের সৃষ্টি করে। এটি পৃথিবী থেকে বিচ্ছুরিত তাপকে আটকে ফেলে।
একটি ফ্লাইট কতটুকু কার্বন নিঃসরন করছে সে হিসাবের পদ্ধতিতে পরিবর্তন এনেছে গুগল। নতুন হিসাবে একটি ফ্লাইটে যে পরিমান কার্বন নিঃসরন হয় গুগল তা অর্ধেক দেখায়। বিবিসির এক অনুসন্ধানে বিষয়টি প্রকাশ হয়েছে।
গুগলের নতুন হিসাবে দেয়া সতর্কবার্তায় বলা হচ্ছে বিমান চলাচল খাত বৈশ্বিক কার্বন নিঃসরনের জন্য মাত্র ২ শতাংশ দায়ি। অথচ বায়ু দূষণের ক্ষেত্রে এই শিল্পের সত্যিকারের দায়ভার প্রায় ৩ দশমিক ৫ শতাংশ।
গ্রিনপিসের প্রধান বিজ্ঞানী ড.ডউগ প্যার বলেছেন, ‘গুগল তাদের পেজ থেকে বিমান চলাচল শিল্পের বড় ধরনের জলবায়ু পরিবর্তন গোপন করে গিয়েছে।’ গুগলের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে ‘তাদের ইন্ডাস্ট্রি পার্টনারের’ সঙ্গে আলোচনা করেই এ পরিবর্তন আনা হয়েছে।
গত জুলাইয়ে কার্বন নিঃসরন বাদে সবধরনের বৈশ্বিক উষ্ণতা বৃদ্ধি সংশ্লিষ্ট প্রভাবগুলো বাদ দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে গুগল। কিছু কিছু বিশেষজ্ঞ বলছেন ফ্লাইটগুলোয় সত্যিকার অর্থে যে পরিমান কার্বন নিঃসরন হয় গুগলে তার মাত্র অর্ধেক দেখানো হয়।
ম্যানচেস্টার মেট্রোপলিটন ইউনিভার্সিটির অধ্যাপক ডেভিড লী বলেছেন, ‘জলবায়ুর ওপর বিমান চালনার প্রভাবকে এখানে উল্লেখযোগ্যভাবে অবমাননা করা হয়।’
ইন্টারন্যাশনাল এনার্জি এজেন্সির হিসাবে (আইএ) ২০০০ সালের পর থেকে দূষণের মাত্র ৫০ শতাংশ বেড়েছে।
বিবিসি/আরএপি