জনশুমারি ও গৃহগণনা প্রকল্পে ট্যাব সরবরাহ করায় ওয়ালটনকে বিবিএসের ধন্যবাদ

টেকশহর কনটেন্ট কাউন্সিলর : যথাসময়ে মানসম্পন্ন ট্যাব সরবরাহসহ প্রয়োজনীয় অন্যান্য সেবা প্রদানের মাধ্যমে সফলভাবে দেশের প্রথম ডিজিটাল জনশুমারি ও গৃহগণনা প্রকল্প সম্পন্ন করায় ওয়ালটনকে ধন্যবাদ জানিয়েছে বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস)।

বাংলাদেশের প্রথম ডিজিটাল ‘জনশুমারি ও গৃহগণনা ২০২২ গত ১৫ হতে ২১ জুন পর্যন্ত অনুষ্ঠিত হয়। এ প্রকল্পে ট্যাব (ট্যাবলেট পিসি) সরবরাহ করেছে ওয়ালটন ডিজি-টেক ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড।

সম্প্রতি ওয়ালটন ডিজি-টেক ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এস এম মঞ্জুরুল আলম বরাবর বিবিএস এ সংক্রান্ত একটি ধন্যবাদ পত্র প্রেরণ করে।

Techshohor Youtube

বিবিএসের সচিব ড. শাহনাজ আরেফিন এনডিসি স্বাক্ষরিত চিঠিতে বলা হয়, ডিজিটাল শুমারি বাস্তবায়নের অন্যতম অনুষঙ্গ ছিলো ট্যাবলেট যথাসময়ে সরবরাহ, মাঠ পর্যায়ে পৌঁছানো, বিক্রয়োত্তর সেবা ও শুমারি চলাকালীন দ্রুত কারিগরি সহযোগিতা নিশ্চিত করা। ওয়ালটন খুবই তৎপর ও কার্যকরভাবে এ দায়িত্ব পালন করেছে। দেশের বৃহত্তম এ পরিসংখ্যানিক কর্মযজ্ঞে সক্রিয়ভাবে সম্পৃক্ত থাকার জন্য ওয়ালটন ডিজি-টেক ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড প্রশংসার দাবীদার। দেশের প্রথম ডিজিটাল শুমারি সফল বাস্তবায়নে ওয়ালটনের এ অবদান পরিসংখ্যান ও তথ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগ এবং বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো কৃতজ্ঞচিত্তে স্মরণ করছে।

দেশের প্রকৃত আর্থসামাজিক ও জনমিতিক তথ্য উপাত্তের সর্ববৃহৎ উৎস এ শুমারি ব-দ্বীপ পরিকল্পনা ২১০০, রূপকল্প ২০৪১, অষ্টম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা, টেকসই উন্নয়ন অভীষ্ট (এসডিজি) অর্জনসহ প্রমাণক-নির্ভর যেকোনো উন্নয়ন পরিকল্পনা প্রণয়ন, মূল্যায়ন ও পরিবীক্ষনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে ওয়ালটনকে দেয়া ধন্যবাদ পত্রে বিবিএস আশা প্রকাশ করেছে।

ওয়ালটন ডিজি-টেক ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের ডেপুটি ম্যানেজিং ডিরেক্টর প্রকৌশলী লিয়াকত আলী বলেন, দেশের প্রথম ডিজিটাল জনশুমারি ও গৃহগণনা প্রকল্পে ট্যাব সরবরাহ এবং পরবর্তী সেবা দিতে পেরে আমরা খুবই আনন্দিত। দেশের আর্থ-সামাজিক দিক দিয়ে গুরুত্বপূর্ণ এমন একটি প্রকল্পে ‘মেইড ইন বাংলাদেশ’ ট্যাগযুক্ত ডিজিটাল ডিভাইসে আস্থা রাখার জন্য সংশ্লিষ্ট সকলের প্রতি ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানাই। আমরা আশা করি ভবিষ্যতেও এমন বড় বড় প্রকল্পগুলোতে দেশীয় প্রতিষ্ঠানের অংশগ্রহণ থাকবে।

উল্লেখ্য, ‘জনশুমারি ও গৃহগণনা ২০২২’ প্রকল্পে ৩ লাখ ৯৫ হাজার পিস ট্যাব এবং ৭২ পিস এয়ার কন্ডিশনার সরবরাহ করে ওয়ালটন। শুধু ট্যাব সরবরাহের মধ্যে কার্যক্রম সীমাবদ্ধ না রেখে প্রকল্প চলাকালে এর সঙ্গে যুক্ত প্রায় ৪ লাখ তথ্য সংগ্রহকারীকে সব ধরনের কারিগরি সহায়তা ও সেবা দেয় ওয়ালটনের বিশেষ টিম। সেই সঙ্গে ইউনিয়ন পর্যায় পর্যন্ত নিজস্ব লোকবলের মাধ্যমে বিক্রয়োত্তরসহ সব ধরনের সেবা নিশ্চিত করে ওয়ালটন। যার ফলে তথ্য সংগ্রহকারীরা ট্যাব সংক্রান্ত কোনো ঝামেলা ছাড়াই যথাসময়ে সঠিকভাবে জনশুমারি ও গৃহগণনা কার্যক্রম সম্পন্ন করতে পেরেছেন। প্রকল্প সংশ্লিষ্ট মাঠপর্যায়ের কর্মীরা ওয়ালটন ট্যাবের পারফরমেন্সের প্রশংসা করেছেন।

সুত্র – প্রেস বিজ্ঞপ্তি

*

*

আরও পড়ুন