![]() |
টেকশহর কনটেন্ট কাউন্সিলর : ডাক ও টেলিযোাগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বলেছেন, ডিজিটাল উদ্ভাবন হবে আগামী দিনে উন্নয়নের মূল শক্তি। ডিজিটাল প্রযুক্তিকে উন্নয়নের হাতিয়ার হিসেবে কাজে লাগাতে আমরা হোম নেটওয়ার্ক উৎসাহিত করতে উদ্যোগ নিয়েছি। আইওটি প্রযুক্তিকে কৃষি ও মৎস্য চাষে কাজে লাগাতে হবে। প্রযুক্তিবিদ ও ডিজিটাল প্রযুক্তি শিল্পসহ সংশ্লিষ্টদের এই ব্যাপারে অগ্রণী ভূমিকা গ্রহণে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান মন্ত্রী।
মন্ত্রী বৃহস্পতিবার ঢাকায় সচিবালয়ে তার দপ্তরে ‘নকিয়া ফাইভ-জি ক্যাপাবিলিটি এন্ড টেকনিক্যাল কোলাবরেশন ‘ বিষয়ে প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান নকিয়া বাংলাদেশ প্রতিনিধিদলের সাথে বৈঠককালে এসব কথা বলেন।
নকিয়ার দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ার ভাইস প্রেসিডেন্ট ড্যানিয়েল জ্যাগার , নকিয়া বাংলাদেশের কান্ট্রি প্রধান মো: আরিফুল ইসলাম বৈঠকে দ্বিপাক্ষিক স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিশেষ করে টেলিযোগাযোগ প্রযুক্তিখাতে উন্নয়ন সংক্রান্ত বিষয়াদি নিয়ে আলোচনা করেন।
ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী বলেন, ফোর-জি প্রযুক্তি সকলের জন্য কিন্তু ফাইভ-জি প্রযুক্তি একটি শিল্প পণ্য। স্বাস্থ্য, শিক্ষা, কৃষি, মৎস্য এবং শিল্পখাতের জন্য এই প্রযুক্তি। আমাদের জন্য অহংকারের বিষয় হচ্ছে বিশ্বের অনেক উন্নত দেশ যেখানে ফাইভ-জি যুগে যেতে পারেনি, অতীতের তিনটি শিল্প বিপ্লব মিস করা এক সময়ের কৃষিভিত্তিক অর্থনীতির বাংলাদেশ প্রযুক্তিতে ৩২৪ বছরের পশ্চাদপদতা অতিক্রম করে ডিজিটাল প্রযুক্তিতে উন্নত বিশ্বের সমান্তরালে হাটছে। অপারেটরদেরকে লাইসেন্স প্রদানের মাধ্যমে মোবাইল ফোন সাধারণের নাগালে পৌঁছে দেওয়া এবং কম্পিউটারের ওপর থেকে ভ্যাট-ট্যাক্স প্রত্যাহার করে কম্পিউটারে সাধারণের ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে নিয়ে আসা সর্বোপরি ২০০৯ সাল থেকে ডিজিটাল বাংলাদেশ কর্মসূচি বাস্তবায়নের ধারাবাহিকতারই ফসল।
বিশ্বে বর্তমানে ৮৭টি দেশে বাণিজ্যিকভাবে ফাইভ-জি চালু হয়েছে। জিএসএস তথ্য মতে, ২০২২ সালের জুনের শেষ নাগাদ বিশ্বের ১৫০টি দেশে ৪৯৬টি অপারেটর পরীক্ষামূলকভাবে ফাইভ-জি নেটওয়ার্কে বিনিয়োগ করছে। তথ্যমতে ২০২২ থেকে ২০২৫ সালের মধ্যে এক বিলিয়ন ফাইভ-জি সংযোগ স্থাপিত হবে এবং ফোরজি সংযোগ কমতে শুরু করবে। এই সময়ের মধ্যে থ্রিজি সংযোগ গ্রহণের হার শতকরা ২০ ভাগের নীচে চলে আসবে। এই সময়ের মধ্যে বিশ্বব্যাপী মোবাইল ব্রডব্যান্ড সংযোগ ৮ বিলিয়নে উপনীত হবে এবং ফাইভ-জি সংযোগ শতকরা ২০ ভাগে পৌঁছুবে।
বিশ্বে ২০২২-২৩ সালে মোবাইল ইন্টারনেট গ্রাহক হবে ৪ দশমিক ৫ বিলিয়ন এবং মোবাইল গ্রাহক হবে ৫ দশমিক ৫ বিলিয়ন। ২০২৪ থেকে ২৫ সালের মধ্যে বিশ্বে ফাইভ-জি সংযোগ স্থাপিত হবে ২ বিলিয়ন। এ সময়ের মধ্যে মোবাইল ব্রডব্যান্ড গ্রহণের হার হবে শতকরা ৯৫ ভাগ। ২০২১ সালে বিশ্বে জিডিপিতে মোবাইল ইন্ডাস্ট্রিজের অবদান ছিলো ৪ দশমিক ৪ ট্রিলিয়ন মার্কিন ডলার যা ২০২৫ সালে ৪ দশমিক ৯ ট্রিলিয়ন মার্কিন ডলার ছাড়িয়ে যাবে। ২০২৪-২৫ সালে বিশ্বে মোবাইল ইকোসিস্টেম সহায়ক হিসেবে সরাসরি ১২ মিলিয়ন এবং পরোক্ষভাবে আরো ১৪ মিলিয়ন লোকের কর্মসংস্থান হবে।
সুত্র – প্রেস বিজ্ঞপ্তি