![]() |
টেকশহর কনটেন্ট কাউন্সিলর : মেয়ের তৈরি অনলাইন কেকশপ ক্রিমি ড্রিমস বাই সুবহা-কে এগিয়ে নিচ্ছেন মা মেয়ে দুজন মিলেই ৷ করোনা মহামারিতে সুবাহ ইউটিউব দেখে দেখে কেক বানাতে শুরু করে । তারপর মা মেয়ের সাথে কাজ শুরু করেন । এবার এস এস সি পরীক্ষা দেবে ছোট মেয়ে সুবাহ । ক্রিমি ড্রিমস এই স্বপ্ন মুলত মেয়ে দেখেছে ।
প্রথমেই পেইজ খোলেন নাই শামসুন নাহার । আশে পাশের পাড়া প্রতিবেশি আত্মীয় স্বজনদের কাছে প্রথম কেক বিক্রি শুরু করেন মা মেয়ে । তারপর ২০২১ সালের ১ জানুয়ারি ফেইসবুকে প্রথম পেইজ খোলেন । মজার ব্যাপার হল – প্রথম দিনই কেকের অর্ডার পান এবং প্রথম অর্ডার পেয়ে আকাশে উড়ছেন এমন অভিজ্ঞতা হয়েছে তাঁর ।
নিজেই কেক বানাচ্ছে আবার কেক বিক্রি ও করতে যাচ্ছে এমন কটু কথায় একটু বিব্রত লাগত তার । কিন্তু শামসুন নাহার সেই বিব্রত বোধকে হাওয়ায় উড়িয়ে দিয়েছেন । একেবারে সংসারী শামসুন নাহার কেক ডেলিভারি দিতে গিয়ে দেখেছেন অনেক সময় ডেলিভারি ম্যান নষ্ট করে ফেলে , গরমে পথে দেরি হলে কেকের মত সেন্সেটিভ প্রডাক্ট ক্লায়েন্টের কাছে সঠিকভাবে পৌঁছানো যায় না । তাই শামসুন নাহার এবং তাঁর ভাই মিলে ডেলিভারির কাজ করেন । নিজের কাজ নিজে করে আনন্দ ভাগাভাগি করেন।
ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা কি করেছেন শামসুন নাহার এমন প্রশ্নের জবাবে জানালেন , কেক স্টুডিও করতে চান, আর্টিস্ট হতে চান অদূর ভবিষ্যতে এবং আন্তর্জাতিকভাবে যারা কেক নিয়ে কাজ করছেন তাদের সাথে কাজ করতে চান । মেয়ে , সুবহা যদি আগ্রহী হয় তাহলে ও এই বিজনেস রান করবে বা ওর যা ইচ্ছে তা নিয়ে এগুবে। যেহেতু মেয়ে এখনও ছোট, পড়াশুনা করছে এই মুহুরতে তাই মেয়েকে কোন চাপ না দিয়ে মা একাই কাজ করে যাচ্ছেন ।
মেয়ের দেখানো স্বপ্নে ভাসছেন মা । কেক নিয়েই এখন ধ্যান জ্ঞান । ব্র্যান্ডের কেকের সাথে কি করে পাল্লা দিচ্ছেন ? এমন প্রশ্নের দিলেন চমৎকার বুদ্ধিদীপ্ত জবাব । শেয়ার করলেন আরও কিছু আনন্দের গল্প । শুনুন পুরো সাক্ষাৎকার ।