স্মার্ট বাংলাদেশ গঠনে বিসিএসের ভুমিকা চাইলেন মোস্তাফা জব্বার

টেকশহর কনটেন্ট কাউন্সিলর : ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বলেছেন,  ডিজিটাল যুগের গোড়া পত্তনের সময় বিসিএস যে ভূমিকা রেখেছে প্রধানমন্ত্রীর স্মার্ট বাংলাদেশ কর্মসূচি বাস্তবায়নে নিজ নিজ অবস্থান থেকে প্রত্যেককে ভূমিকা পালন করতে হবে ।

পরিবর্তনের এই চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় এবং প্রতিনিয়ত উদ্ভাবিত ডিজিটাল প্রযুক্তির সাথে খাপ খাওয়াতে নীতিনির্ধারক, গবেষক,  ট্রেডবডি ও ইন্ডাস্ট্রিসহ সংশ্লিষ্ট সবাইকে সমন্বিত উদ্যোগে কাজ করতে হবে ।

মন্ত্রী রোববার ঢাকায় এক হোটেলে বিসিএস ল্যাপটপ সমিতি- ইস্টার্ন প্লাস আয়োজিত সদস্যদের মধ্যে সনদপত্র বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন।

Techshohor Youtube

ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী বলেন, ২০০৮ সালে ঘোষিত ডিজিটাল বাংলাদেশ কর্মসূচির ধারাবাহিকতায় এদেশের প্রচলিত ধারা পাল্টে গেছে। ১৯৬৪ সালে  দেশে  কম্পিউটারের যাত্রা শুরু হলেও কম্পিউটারের বিপ্লবের সূচনা হয় দূরদৃষ্টি সম্পন্ন রাজনীতিক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাত ধরে। তিন বলেন, কম্পিউটারকে সাধারণের জন্য সহজলভ্য করতে বিসিএস এর দাবীর প্রেক্ষিতে  ৯৮-৯৯  সালের বাজেটে ভ্যাট ট‌্যাক্স প্রত্যাহার করা হয়। এর ফলে দেশে কম্পিউটার প্রযুক্তি বিকাশে  বৈপ্লবিক পরিবর্তন শুরু হয়।  

মোস্তাফা জব্বার কম্পিউটার প্রযুক্তি বিকাশে সে সময়ে প্রযুক্তিখাতের একমাত্র সংগঠন বিসিএস‘র ভূমিকা তুলে ধরেন। তিনি বলেন, কম্পিউটার কী এবং এর প্রয়োজনীয়তা সম্পর্কে মানুষকে অবহিত করার জন্য দেশের একপ্রান্ত থেকে আরেক প্রান্তে মেলাসহ কম্পিউটার ব্যবহার বিষয়ে মানুষের মধ্যে আগ্রহ তৈরির কাজটি করেছে এই সংগঠন। বাংলাদেশের এমন কোন জায়গা নেই যেখানে কম্পিউটার চিনাতে কর্মসূচী নেয়নি বিসিএস।

তিনি ল্যাপটপ কিংবা ডেস্কটপের পাশাপাশি মোবাইলসহ সকল প্রকার ডিজিটাল প্রযুক্তি একই ছাদের নীচে কেনাবেচার সময় এসে গেছে বলে উল্লেখ করেন ।

বিসিএস ল্যাপটপ বাজার সমিতির ইস্টার্ন প্লাস শাখার সভাপতি আবদুল মোমেন খানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিসিএস সভাপতি সুব্রত সরকার, বিজয় ডিজিটাল এর  সিইও জেসমিন জুই, ইস্টার্ন প্লাস দোকান মালিক সমিতির সভাপতি আবদুল লতিফ মোল্লা এবং সাধারণ সম্পাদক জাফর আহমেদ প্রমূখ বক্তৃতা করেন। পরে মন্ত্রী  বিসিসিএস ল্যাপটপ বাজার সমিতির সদস্যদের সনদপত্র বিতরণ করেন।

সুত্র – প্রেস বিজ্ঞপ্তি

*

*

আরও পড়ুন