![]() |
টেকশহর কনটেন্ট কাউন্সিলর: প্রযুক্তির বিশ্বে প্রভাবশালী নাম স্যামসাংকে বর্তমানে আমরা যেভাবে দেখছি শুরুর দিকে কিন্তু এমনটি ছিলো না। ১৯৩৮ সালে কোরিয়ায় বিয়াং-চুল লি এর হাত ধরে কোম্পানিটির যাত্রা। তখন এটি ছিলো সাধারন এক ট্রেডিং কোম্পানি এবং গ্রোসারি স্টোর। কর্মী সংখ্যা ছিলো মাত্র ৪০। পরবর্তী তিন দশক ফুড প্রসেসিং, টেক্সটাইল, সিকিউরিটিজ এবং রিটেইল ব্যবসাও করে কোম্পানিটি। ষাটের দশকের পর কোম্পানিটি ইলেক্ট্রনিকস ইন্ডাস্ট্রিতে পা রাখে।
১৯৭০ সালে প্রতিষ্ঠাতার মৃত্যুর পর কোম্পানিটির বেশ কয়েকটি শাখা হয়, যার অন্যতম স্যামসাং ইলেক্ট্রনিকস। ১৯৯০ এর দশকে স্যামসাং ইলেক্ট্রনিকস শাখার দিকে মনযোগ দেয়া শুরু করে। ষাটের দশকে সাদা-কালো টিভি নির্মাণ দিয়ে যাত্রা শুরু করলেও বর্তমানে স্মার্টফোন তৈরি করে বাজারে প্রভাবশালী অবস্থানে পৌঁছে গিয়েছে স্যামসাং। স্যামসাংয়ের মোট আয়ের প্রায় ৭০ শতাংশই স্যামসাং ইলেক্ট্রনিক ডিভিশন থেকে আসে। ২০১৯ সালে আয়ের দিক থেকে এটি ছিলো বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম প্রযুক্তি কোম্পানি। চলতি বছরের এপ্রিল পর্যন্ত বিশ্বব্যাপি স্মার্টফোন বিক্রির ক্ষেত্রে স্যামসাংয়ের শেয়ার ছিলো ২৩ শতাংশ।
স্যামসাং নামের অর্থ
কোম্পানিটির প্রতিষ্ঠাতা বিয়াং-চুল এ নামটি পছন্দ করেছিলেন। নামটির অর্থ ‘তিন তারকা।’ কোরিয় শব্দ স্যাম (তিন) এবং সাং (তারকা) শব্দ থেকে নামটি নেয়া হয়েছে। স্যামসাংয়ের অফিশিয়াল রেকর্ডে এ তথ্য পাওয়া গিয়েছে। এই কোম্পানিটিকে ‘আকাশের তারার মতো শক্তিশালী এবং শাশ্বত রূপ’ দেখার মতো শুভ উদ্দেশ্য নিয়ে তিনি এ নাম দেন। অবশ্য বলা হয় নিজের তিনটি ছেলেকে তিন তারকা হিসেবে উপস্থাপন করেছেন লি। কোম্পানিটির যে লোগো আমরা দেখছি তা ১৯৯৩ সালে তৈরির সময় ৩টি তারা যোগ করা হয় এবং যা পরবর্তী সময়েও বজায় রাখা হয়েছে।
৮০ বছরের পুরনো কোম্পানিটি এখন প্রযুক্তি শিল্পের অনেক অংশের নের্তৃত্ব দিচ্ছে। যা প্রতিষ্ঠাতাটার কোম্পানিকে তারকার মতো চিরস্থায়ী ও শক্তিশালী রূপে তৈরি করার ইচ্ছার প্রতিফলন করছে। অ্যান্ড্রয়েড ফোন, ফোরকে টিভি, স্মার্টওয়াচ এবং ক্রোমবুকসহ নানা পণ্য তৈরি করে থাকে স্যামসাং। বর্তমানে স্যামসাং লক্ষ্যাধিক প্যাটেন্টের মালিক। বিশ্বের ৬০টি দেশে অর্ধমিলিয়নের মতো কর্মী রয়েছে স্যামসাংয়ের।
আরএপি
আরও পড়ুন
চিপের দাম ২০ শতাংশ পর্যন্ত বাড়াতে পারে স্যামসাং
স্মার্টফোন তৈরিতে স্যামসাং ব্যবহার করছে মাছ ধরার জাল, পুরনো পানির বোতল!