![]() |
টেকশহর কনটেন্ট কাউন্সিলর : ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বলেছেন , যেসব সংবাদপত্র নিবন্ধনকৃত তাদের নিয়ে আমাদের চিন্তা কম করতে হয়। প্রতিদিন মিডিয়া বাড়ছে কিন্তু দায়িত্বশীল সম্পাদকের সংখ্যা বাড়ছে না। যার কারণে অনেকে দায়িত্বহীনতার পরিচয় দিচ্ছে। তারা বাংলাদেশের সংবাদমাধ্যমের স্ট্যান্ডার্ড অনুসরণ করেন না ।
সাংবাদিকতা এবং ফেসবুক-ইউটিউব চর্চা এক জিনিস নয়। ইউটিউব বা ফেসবুকে আমরা যা কিছু লিখতে পারি কিন্তু সংবাদপত্রে সম্পাদনা ও দায়িত্বশীলতা আছে বলেই যা ইচ্ছে তাই প্রকাশ করা সম্ভব নয় ।
মন্ত্রী বুধবার ঢাকায় রিপোর্টার্স ইউনিটি মিলনায়তনে নিউজ নাউ বাংলা – জাগরণ টিভি‘র উদ্যোগে জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষ্যে ‘দায়িত্বশীল সাংবাদিকতা ও বঙ্গবন্ধুর নির্দেশনা’ শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুর দ্বিতীয় বিপ্লব ছিল শোষকের পরিবর্তে শোষিতের শাসন চালু করা। বঙ্গবন্ধুর ৩ বছর ৭ মাসের শাসনকালে, শিক্ষা, স্বাস্থ্য যোগাযোগ, শিল্প-বাণিজ্যসহ দেশের এমন কোন খাত নেই যার ভিত্তি তিনি তৈরি করেননি। সংবাদকর্মীদের জন্য আইন সেটিও বঙ্গবন্ধুই করে গেছেন। বেতবুনিয়ায় উপগ্রহ ভূকেন্দ্র স্থাপন, আইটিইউ এবং ইউপিইউ‘র সদস্যপদ অর্জনের মধ্য দিয়ে ডিজিটাল বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার বীজ বঙ্গবন্ধু রোপন করেছেন।
মন্ত্রী বলেন বঙ্গবন্ধুর শাসনামলেও তাঁর বিরুদ্ধে অসত্য, গুজব প্রচার হয়েছে। বঙ্গবন্ধু ৭৫ সালে যে কর্মসূচি নিয়েছিলেন এর প্রেক্ষিত আছে। তিনি কেনো দ্বিতীয় বিপ্লবের ডাক দিয়েছিলেন তারও কারণ আছে। ৭৪ সালে কিভাবে দুর্ভিক্ষ সৃষ্টি করা হয়েছিল সেটি সবাই জানেন। অপপ্রচার, লুটপাট, সন্ত্রাস, অস্ত্র লুট, খুন এর যে বিস্তৃতি ছিলো তা নিয়ন্ত্রণ করতে বঙ্গবন্ধুকে কঠোর হতে হয়েছিলো। বঙ্গন্ধুর দ্বিতীয় বিপ্লবকে ভুলভাবে ব্যাখ্যা করে বাকশালকে গালি দেয়া হয়।
নিউজ নাউ এর প্রধান সম্পাদক শামীমা দোলা‘র সভাপতিত্বে এবং জাগরণ টিভির প্রধান সম্পাদক এফ এম শাহীনের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিশ্ববিদ্যালয়, কিশোরগঞ্জের উপাচার্য অধ্যাপক ড. জেড এম পারভেজ সাজ্জাদ, গ্লোবাল টেলিভিশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) সৈয়দ ইশতিয়াক রেজা, ডিবিসি নিউজের সম্পাদক প্রণব সাহা, বিএফইউজে সাধারণ সম্পাদক দীপ আজাদ, ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি (ডিআরইউ) সভাপতি নজরুল ইসলাম মিঠু, সাধারণ সম্পাদক নুরুল ইসলাম হাসিব এবং শেখ রাসেল ফাউন্ডেশন (ইউএসএ ইন্ক) এর সভাপতি ডা. ফেরদৌস খন্দকার বক্তৃতা করেন।
অনুষ্ঠানে বক্তারা গণমাধ্যমকে রাষ্ট্রের অন্যতম স্তম্ভ উল্লেখ করে বলেন, সাংবাদিকতা মহান পেশা। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান নিজেও সাংবাদিকতা করেছেন, লিখেছেন। তিনি গণমাধ্যমবান্ধব নেতা ছিলেন। একাত্তরের পর তিনি গণমাধ্যমের স্বাধীনতা নিশ্চিতে কাজ করেছেন। এতোকিছুর পরেও গণমাধ্যমের সাথে বঙ্গবন্ধুর সম্পর্ক নিয়ে নানা গুজব ছড়ানো হয়। এ গুজব ও অপপ্রচার আজও থামেনি। আমাদের মনে রাখতে হবে, সাংবাদিকতা আর সোশ্যাল মিডিয়া চর্চা এক জিনিস নয়। দায়িত্বজ্ঞানহীন ভাবে সাংবাদিকতা হয় না। গুজব, অপপ্রচার রোধে দায়িত্বশীল সাংবাদিকতার কোনো বিকল্প নেই।
সুত্র – প্রেস বিজ্ঞপ্তি