কপি রাইট, লেভেল ডিজাইন ও ট্রেডমার্ক একই ছাতার অধীন থাকা উচিৎ- মোস্তাফা জব্বার

টেকশহর কনটেন্ট কাউন্সিলর : ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার ডিজিটাল কনটেন্ট নির্মাতাদেরকে কপি রাইট নিবন্ধন করার পরামর্শ দেন, তিনি বলেন, আমি মনে করি আমার বড় সম্পদ হচ্ছে মেধা। মেধা রক্ষা করতে না পারলে উন্নত জাতি হতে পারবো না। কপি রাইট, লেভেল ডিজাইন ও ট্রেডমার্ক একই ছাতার অধীন থাকা উচিৎ।

মন্ত্রী শনিবার ঢাকায় এফবিসিসিআই মিলনায়তনে এফবিসিসিআই আয়োজিত ‘রেগুলেশন অব ডিজিটাল, সোশ্যাল মিডিয়া এন্ড ওটিটি প্লাটফর্ম: দি নিড টু স্ট্রাইক দি রাইট ব্যালেন্স’ শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন। তথ্য ও সম্প্রচার সচিব মোঃ মকবুল হোসেন পিএএ. অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তৃতা করেন।

মন্ত্রী বলেন, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম আমাদের উদ্বেগের বড় একটি জায়গা। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে গুজব ও অপপ্রচার প্রশমনে সকলের মতামত ও পরামর্শের ভিত্তিতে নীতিমালা প্রণয়ন করা হচ্ছে। এই বিষয়ে আদালতের আদেশ বাস্তবায়নের লক্ষ্যে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয় এবং ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগ ডিজিটাল মিডিয়ায় নিজ নিজ অধিক্ষেত্র নিয়ে দুটি পৃথক নীতিমালা প্রণয়ন করছে।

Techshohor Youtube

ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী ফেসবুক ব্যবহার করে নাসির নগরসহ বিভিন্ন জায়গায় সাম্প্রদায়িক অস্থিরতা হয়েছে উল্লেখ করে বলেন, প্রত্যেক মানুষের জাতীয় আইডি আছে। কিন্তু সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ঠিকানাহীনদের কিভাবে শনাক্ত করবো এই প্রশ্ন রাখেন।

তিনি বলেন, ২০১৮ সালের আগেও ফেসবুক কর্তৃপক্ষের সাথে কথাও বলা যেত না। তারা তাদের ( আমেরিকার) কমিউনিটি স্ট্যান্ডার্ডের কথা বলে এড়িয়ে যেত। ২০১৮ সালে স্পেনের বার্সেলোনায় ফেসবুকের সাথে দ্বিপাক্ষিক একটি বৈঠকের পর আমরা সম্পর্কের দূরত্ব কমিয়ে আনতে সক্ষম হয়েছি। তাদের সাথে এখন আমাদের নিয়মিত বৈঠক হচ্ছে। আমরা সুফলও পাচ্ছি।

তিনি আরও বলেন, সকল পক্ষের সাথে আলোচনা করেই এই আইনের খসড়া চূড়ান্ত করা হয়। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম বিষয়ক নীতিমালায় যে সব জায়গায় পরিবর্তন করা দরকার সংশ্লিষ্ট অংশীজনদের পরামর্শের ভিত্তিতেই করা হবে বলে উল্লেখ করেন।

তথ্য ও সম্প্রচার সচিব বলেন, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে কোনটা প্রকাশ করা যাবে আর কোনটা যাবে না, নিজের বিবেক এপ্লাই করে তা করা উচিৎ। ডিজিটাল মাধ্যমের জন্য কনটেন্ট তৈরি এবং প্রচার বিষয়ে সচেতনতা তৈরির প্রয়োজনীয়তার ওপর তিনি গুরুত্বারোপ করেন।

তিনি ওটিটি প্লাটফর্ম নীতিমালা প্রসংগে বলেন, ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগ এবং তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের ওটিটি প্লাটফর্ম বিষয়ে সম্পুর্ণভাবে পৃথক দুটি কাজ সম্পাদন করে থাকে। তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের কাজ কনটেন্ট ফেসিলেট করা। আমরা এই নিয়েই কাজ করছি।

অনুষ্ঠানে মুল প্রবন্ধে ওটিটি প্লাটফর্ম নীতিমালার সম্ভাব্য বিরূপ প্রভাব ও সুফল সম্পকে বিস্তারিত তুলে ধরা হয়।

এফবিসিসিআই‘র সভাপতি মো: জসীম উদ্দিনের সভাপতিত্বে প্যানেল আলোচক হিসেবে সিঙ্গাপুর থেকে ডিজিটাল প্লাটফর্মে মেটা‘র (ফেসবুক) হেড অব পাবলিক পলিসি, বাংলাদেশ সাবহানাজ রশিদ দিয়া ও এশিয়া ইন্টারন্যাশনালের ব্যবস্থাপনা পরিচালক জেফ পেইনি, অনুষ্ঠানে সরাসরি উপস্থিত থেকে এফবিসিসিআই‘র পরিচালক সৈয়দ আলমাস কবির, বিটিআরসি‘র মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো: নাসিম পারভেজ, ঢাকা ট্রিবিউনের নির্বাহী সম্পাদক রিয়াজ আহমেদ, আরটিভি‘র সিইও সৈয়দ আসিক আহমেদ এবং বঙ্গবিডি‘র পরিচালক নাবিদুল হক বক্তৃতা করেন। অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ব্যারিস্টার রশনা ইমাম।

*

*

আরও পড়ুন