![]() |
টেকশহর কনটেন্ট কাউন্সিলর : ছিলেন স্কুল শিক্ষক , এমন বৈষম্যের মুখোমুখি হবেন ভাবেন নি । তবে এখন নিজের প্রতিষ্ঠান কুটুম নিয়ে বড় স্বপ্ন দেখছেন – একদিন কুটুম ব্র্যান্ড হবে , নিজে ডিজাইন করবেন, তাঁতি তাঁর ডিজাইনে কাজ করবে । এমন ভাবনায় বিভোর টেক শহরের শি ডিজির আজকের অতিথি শামিম আরা ডালিয়া ।
স্কুলের শিক্ষকতায় মগ্ন ছিলেন ডালিয়া , কখনও ভাবেন নি অনলাইনে বিজনেস করবেন । কোভিড ১৯ মহামারিতে স্কুলের বেতন অর্ধেক হয়ে গেল , অথচ অফলাইনের চেয়ে অনলাইনে আরও বেশি শ্রম দিতে হচ্ছিল। এ বিষয়টি একেবারে ভাল লাগে নি তাঁর । ঘরে বসেই ভাবতে লাগলেন কি করা যায় । বান্ধুবীর আমন্ত্রণে উই গ্রুপে যুক্ত হন । দেখতে থাকেন মানুষের সফলতা । প্রভাবিত হতে থাকেন । সিদ্ধান্ত নিতে মনও গাই গুই করতে থাকে ।
পারিবারিক এবং সামাজিকভাবে কে কি ভাবে নেবে এই নিয়ে দো টানা আসে । মায়ের হালকা আপত্তির চেয়ে স্বামীর উৎসাহ উদ্দীপনা ছিল শত গুণ । ফলাফল ১২০০ টাকা বিকাশ করে ১২ হাজার টাকার পণ্য ঘরে আনা । টার্গেট হয়ে যায় – আসল তুলে আনা লাগবে , লাভ পরে হবে ।
শিক্ষকতার সুবাদে অনেকের সাথে ওঠাবসা । অনেকের চোখের মণি হলেও কিছু হিংসার শিকার হন । দক্ষতার সাথে বিজনেস করাটা অনেকের চক্ষুশূল হলেও শামিম আরা ডালিয়া সেইসব তুড়ি মেরে উড়িয়ে দেন । ওসব গণনায় ধরার ও সময় নাই তাঁর ।
ক্ষুদ্র উদ্দ্যোক্তা হিসেবে ব্র্যান্ডের সাথে পাল্লা দেয়ার প্রশ্নে জবাব দেন বুদ্ধিমত্তার সাথে । গ্রুপ এক্টিভিটি , অনলাইনে সেল , স্কিল ডেভেলপম্যান্ট ইত্যাদিতে তিনি পাকা । জেনে বুঝে ব্যবসা করতে আসতে নতুনদের জন্য পরামর্শ দিতে ভুলেন নি কুটুমের স্বত্বাধিকারী ।
শাড়ি , থ্রি পিস , কুর্তি, পাঞ্জাবি ইত্যাদির পোশাকের পশরার আমন্ত্রণে গ্রাহককে মুগ্ধ করতে চান বলেই প্রতিষ্ঠানের নাম রেখেছেন কুটুম ।
গ্রুপ মনোভাব এবং ফোকাস দেয়া নিয়ে প্রশ্ন শুনে তিনি বলেন, আমরা গ্রুপ ভিত্তিক হয়ে যাচ্ছি । গ্রুপ বলে নাই তুমি গ্রুপ নিয়ে অস্থির হয়ে যাও । গ্রুপ বলে পার্সোনাল ব্র্যান্ডিং করো । গ্রুপ কেন্দ্রিক হয়ে গেলে কোন সমস্যা নাই । আমরা আমাদের পণ্য নিয়ে গ্রুপের বেশি মানুষের কাছে যাচ্ছি । গ্রুপ হাইলাইট হচ্ছে , সাথে আমরা ও হাইলাইট হয়ে যাচ্ছি ।
একই রকম পন্য নিয়ে কাজ করছেন অনেকে , সেই ক্ষেত্রে প্রতিযোগিতা কি হেলদি থাকছে ? এমন আরও ভিন্ন ভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেখুন পুরো ভিডিও ।