সজীব ওয়াজেদ জয়ের জন্মদিন, শুভেচ্ছায় ভাসছে ফেইসবুকসহ সোশ্যাল মিডিয়াগুলো

পদ্মা সেতুতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, তাঁর পুত্র ও তথ্যপ্রযুক্তি উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয় ও কন্যা সায়মা ওয়াজেদ পুতুল।

টেক শহর কনটেন্ট কাউন্সিলর : প্রধানমন্ত্রীর তথ্যপ্রযুক্তি উপদেষ্টা, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের দৌহিত্র ও আওয়ামী লীগের সভানেত্রী শেখ হাসিনার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়ের ৫২তম জন্মদিন বুধবার।

জন্মদিনের প্রথম প্রহর হতেই ফেইসবুকসহ বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়ায় মানুষ তাঁকে শুভেচ্ছা জানাতে শুরু করেন।

আওয়ামী লীগ এবং এর সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীরা ছাড়াও দেশে-বিদেশে বিভিন্ন স্তরের মানুষ এদিন ফেইসবুকের স্ট্যাটাসে স্ট্যাটাসে তাঁকে শুভেচ্ছার জোয়ারে ভাসাতে থাকেন।

Techshohor Youtube

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং তাঁর সুযোগ্য কন্যা শেখ হাসিনা এ দু’জনের স্বপ্ন বাস্তায়নে এবং ডিজিটাল বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার নেপথ্য কারিগর হিসেবে কাজ করছেন তিনি।

তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তিখাতে ঘটে যাওয়া বিপ্লবের স্থপতি পরিশ্রমী, মেধাবী ও পরিচ্ছন্ন জীবন-জীবিকার অধিকারী কম্পিউটার বিজ্ঞানী সজীব ওয়াজেদ জয়।

সজীব ওয়াজেদ জয় পরমাণু বিজ্ঞানী ড. এম এ ওয়াজেদ মিয়ার পুত্র। তিনি মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে ১৯৭১ সালের এদিনে (২৭ জুলাই) জন্মগ্রহণ করেন। দেশ স্বাধীন হওয়ার পর তাঁর নাম রাখেন নানা শেখ মুজিবুর রহমান।

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭৫ সালে বেতবুনিয়ায় ভূ-উপগ্রহ কেন্দ্র প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। তারই ধারাবাহিকতায় জাতির পিতার দৌহিত্র সজীব ওয়াজেদ জয় বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট মহাকাশে পাঠান।

১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধু সপরিবারে শহীদ হওয়ার সময় মা ও বাবার সঙ্গে জার্মানিতে ছিলেন জয়। পরে মায়ের সঙ্গে রাজনৈতিক আশ্রয়ে ভারতে চলে যান তিনি। তাঁর শৈশব ও কৈশোর কাটে ভারতে। সেখানকার নৈনিতালের সেন্ট জোসেফ কলেজে লেখাপড়ার পর যুক্তরাষ্ট্রের ইউনিভার্সিটি অব টেক্সাস অ্যাট আর্লিংটন থেকে কম্পিউটার সায়েন্সে স্নাতক করেন তিনি। পরে হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয় থেকে লোকপ্রশাসনে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন। ২০০২ সালের ২৬ অক্টোবর ক্রিস্টিন ওভারমায়ারকে বিয়ে করেন সজীব ওয়াজেদ জয়। তাঁদের একটি মেয়ে আছে।

লেখাপড়া করা অবস্থায় রাজনীতির প্রতি অনুরক্ত থাকলেও জয় সক্রিয় রাজনীতিতে নাম লেখান ২০১০ সালে। ঐ বছরের ২৫ ফেব্রুয়ারি পিতৃভূমি রংপুর জেলা আওয়ামী লীগের প্রাথমিক সদস্য পদ দেওয়া হয় তাকে, যার মধ্য দিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে রাজনীতিতে আসেন তিনি।

বর্তমানে মা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তিবিষয়ক উপদেষ্টার দায়িত্বে আছেন জয়। ২০০৭ সালে জয় ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরাম হতে গ্লোবাল লিডার অব দ্য ওয়ার্ল্ড হিসেবে নির্বাচিত হন।

২০০৮ সালের ২৯ ডিসেম্বরের জাতীয় নির্বাচনে আওয়ামী লীগের ইশতেহারে ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার বিষয়টি নিয়ে আসেন। পর্দার অন্তরালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পাশে থেকে গোটা দেশে তথ্যপ্রযুক্তির বিপ্লব ঘটান এই তথ্যপ্রযুক্তি বিশেষজ্ঞ। বর্তমানে দলীয় ঘরানা ছাড়াও তথ্যপ্রযুক্তি, রাজনীতি, সামাজিক, অর্থনৈতিক, শিক্ষাবিষয়ক বিভিন্ন কর্মসূচিতে অংশ নিয়ে তথ্যপ্রযুক্তির বিকাশ, তরুণ উদ্যোক্তা তৈরিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে যাচ্ছেন জয়।

বিশেষ করে দেশের তরুণদের দেশপ্রেমে উজ্জীবিত করে ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণের পথে আত্মনিয়োগ করার ক্ষেত্রে বিভিন্ন কর্মসূচি ও পদক্ষেপ নিচ্ছেন তিনি।

জন্মদিনে সিআরআই ও ইয়ংবাংলার পক্ষ থেকে তাদের ফেইসবুক পেইজে শুভেচ্ছা জানানো হয়েছে জয়কে। আওয়ামী লীগ কর্মীদের পাশাপাশি বিভিন্ন সরকারি দপ্তরের ফেইসবুক পেইজেও জয় জন্মদিনের শুভেচ্ছায় ভাসছেন।

জয়ের জন্মদিন উপলক্ষে আওয়ামী যুবলীগের উদ্যোগে এদিন ঢাকা মহানগর নাট্যমঞ্চে বৃক্ষরোপণ, দোয়া মাহফিল ও খাবার বিতরণ কর্মসূচি হচ্ছে।

এছাড়া দেশব্যাপী সব মসজিদে দোয়া ও মন্দির, গির্জা, প্যাগোডাসহ অন্যান্য উপাসনালয়ে প্রার্থনা সভা এবং বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি পালন করা হচ্ছে। আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের উদ্যোগে খামারবাড়িতে কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে কেক কাটা ও জয়ের সুস্বাস্থ্য কামনায় দোয়ার আয়োজন করা হয়েছে।

*

*

আরও পড়ুন