![]() |
টেক শহর কনটেন্ট কাউন্সিলর : পেনশন, শিক্ষক-সরকারি কর্মচারিদের বেতনসহ সরকারের বিভিন্ন উপকারভোগীর টাকা মোবাইলে নির্ভুলভাবে পাঠাতে সহায়তা করবে বিটিআরসি।
এজন্য অর্থ বিভাগের আইবাস প্লাস প্লাস বিটিআরসির সঙ্গে এক সমঝোতা স্মারক সই করেছে।
রোববার বিটিআরসির সিস্টেমস অ্যান্ড সার্ভিসেস বিভাগের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো: নাসিম পারভেজ এবং অর্থ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব বেগম নাজমা মোবারক নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানের পক্ষে এতে সই করেন ।
বিটিআরসির প্রধান সম্মেলন কক্ষে ওই অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বিটিআরসির চেয়ারম্যান শ্যাম সুন্দর সিকদার ।
সমঝোতা অনুযায়ী অর্থ বিভাগের ‘স্ট্রেনদেনিং পাবলিক ফাইন্যান্সিয়াল ম্যানেজমেন্ট গ্রোগ্রাম টু এনাল সার্ভিস ডেলিভারি (এসপিএফএমএস)’ প্রোগ্রামের আওতায়ভূক্ত জিটুপি পদ্ধতিতে বিভিন্ন উপকারভোগীর মোবাইল অ্যাকাউন্টে ইলেকট্রনিক ফান্ড ট্রান্সফারে মাধ্যমে সরাসরি অর্থ পাঠাতে গ্রাহকের জাতীয় পরিচয়পত্রের সাথে নিবন্ধনকৃত মোবাইল নাম্বর যাচাই করা হবে।
বিটিআরসির সেন্ট্রাল বায়োমেট্রিক ভেরিফিকেশন প্ল্যাটফর্ম (সিবিভিএমপি) এর সঙে আইবাস প্লাস প্লাস এর ইন্টিগ্রেশনের মাধ্যমে এটি করা হবে।
এছাড়া আইবাস প্লাস প্লাসের মাধ্যমে দ্রুততম সময়ের মধ্যে বিভিন্ন উপকারভোগীর, যেমন করোনায় ক্ষতিগ্রস্ত উপকারভোগী, সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচির উপকারভোগী, প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের বেতন, পেনশনারদের পেনশন, সরকারি কর্মচারীদের বেতন ইত্যাদি মোবাইল অ্যাকাউন্টে ইলেক্ট্রনিক ফান্ড ট্রান্সফার (ইএফটি) এর মাধ্যমে সরাসরি নির্ভুলভাবে অর্থ পাঠাতে গ্রাহকের এনআইডির সাথে নিবন্ধনকৃত মোবাইল নম্বরও যাচাই করা হবে।
অনুষ্ঠানে শুরুতে বিটিআরসির ভাইস-চেয়ারম্যান সুব্রত রায় মৈত্র বলেন, ডিজিটাল বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার লক্ষ্য হলো ডিজিটাল টুলস ব্যবহার করে দেশ থেকে দারিদ্র্য ও বৈষম্য দূর করা এবং জনগণের মৌলিক চাহিদাসমূহ পূরণ করা। এই লক্ষ্যকে সামনে রেখে সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রণালয়, দপ্তর, সংস্থায় দাপ্তরিক কার্যক্রম সম্পাদন এবং নাগরিক সেবা প্রদানের লক্ষ্যে বিভিন্ন ধরণের ডিজিটাল সিস্টেম এবং সার্ভিস উদ্ভাবনের কাজ চলমান রয়েছে। বিটিআরসির সঙ্গে এই টেকনিক্যাল পার্টনার্শিপ এমন একটি উদ্যোগ যা ফলপ্রসূ হলে তথ্যসমৃদ্ধ একটি অত্যাধুনিক ডিজিটাল সিস্টেম তৈরি হবে।.
এরপর এই চুক্তির বিভিন্ন কারিগরি, সেবা ও অন্যান্য বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেন ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো: নাসিম পারভেজ।
বেগম নাজমা মোবারক বলেন, সরকারের গৃহীত বিভিন্ন সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনী কর্মসূচি রয়েছে যা মোট বাজেটের প্রায় ১৮ ভাগ। এই বিপুল পরিমাণ অর্থ যথাযথ ব্যবহারের জন্য কারিগরি প্ল্যাটফর্ম না থাকায় আর্থিক সেবাগ্রহীতাকে চিহ্নিত করা জটিল হয়ে পড়ে এবং প্রকৃত সুবিধাভোগীরা বঞ্চিত হন। এই চুক্তির মাধ্যমে প্রকৃত সুবিধাভোগীরা তাদের প্রাপ্য সুবিধাসমূহ পাবেন।
সভাপতির বক্তব্যে শ্যাম সুন্দর সিকদার জানান, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি খাতের অগ্রগতিতে বিটিআরসি মেরুদণ্ড হিসেবে কাজ করছে। সরকারের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান সিবিভিএমপি ব্যবহারের মাধ্যমে উপকৃত হচ্ছে জানিয়ে তিনি আরও বলেন, দেশের টেলিযোগাযোগ অবকাঠামো বির্ণিমানের পাশাপাশি বিটিআরসি প্রতিবছর সরকারি কোষাগারে সবোর্চ্চ কর বহির্ভূত রাজস্ব প্রদান করে আসছে।
অনুষ্ঠানে অন্যান্যেদের মধ্যে বিটিআরসির (ইঞ্জিনিয়ারিং এন্ড অপারেশনস) প্রকৈাশলী মোঃ মহিউদ্দিন আহমেদ, কমিশনার (লিগ্যাল অ্যান্ড লাইসেন্সিং) আবু সৈয়দ দিলজার হোসেন, মহাপরিচালক (প্রশাসন) মো: দেলোয়ার হোসাইন, মহাপরিচালক (স্পেকক্ট্রাম) ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান জুয়েল, মহাপরিচালক (লিগ্যাল এন্ড লাইসেন্সিং) আশীষ কুমার কুন্ডু, মহাপরিচালক (অর্থ, হিসাব ও রাজস্ব) প্রকৌশলী মোঃ মেসবাহুজ্জামান, সচিব (বিটিআরসি) মো: নূরুল হাফিজসহ বিটিআরসি ও আইবাস প্লাস প্লাস এর উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।