![]() |
টেকশহর কনটেন্ট কাউন্সিলর : ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বলেছেন, পৃথিবী এখন ফিজিক্যাল ও ডিজিটাল বইয়ের সংমিশ্রনের যুগ অতিক্রম করছে । কাগজের বইয়ের পাশাপাশি ডিজিটাল বই প্রকাশে এগিয়ে আসতে প্রকাশকদের পরামর্শ দেন তিনি ।
মন্ত্রী সোমবার ঢাকায় বাংলা একাডেমীর আবদুল করিম সাহিত্য বিশারদ মিলনায়তনে নগদ রকমারি বইমেলার বেস্ট সেলার এওয়ার্ড ২০২২ বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন।
রকমারি ডট কমের চেয়ারম্যান মাহমুদ হাসান সোহাগের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে সাবেক তত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা ড. আকবর আলী খান, কথা সাহিত্যিক অধ্যাপক আনোয়ারা সৈয়দ হক, শিক্ষাবিদ ড. মো: কায়কোবাদ, আগামী প্রকাশনার প্রতিষ্ঠাতা ওসমান গণি এবং নগদের সিইও সাফায়েত আলম বক্তৃতা করেন।
মোস্তাফা জব্বার বলেন, বাংলাদেশ স্বাধীন না হলে বাংলা ভাষা ও সাহিত্যের বিকাশ হতো না। বাংলা ভাষা ও সাহিত্যের রাজধানী এখন ঢাকা । পশ্চিমবঙ্গের সাহিত্যিকরাও স্বীকার করেন বাংলা ভাষা ও সাহিত্য বাংলাদেশেই বেঁচে থাকবে। পৃথিবীর যে কোন ডিজিটাল যন্ত্রে বাংলাভাষা লেখার কোন সীমাবদ্ধতাও এখন আর নেই।
মন্ত্রী বলেন, প্রকাশকদের বড় সমস্যার নাম মার্কেটিং। ডিজিটাল বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার ফলে সে সঙ্কট কেটে গেছে। এমন কোন পণ্য নেই যা ডিজিটাল প্লাটফর্মে বেঁচা-কেনা হচ্ছে না। গত কোরবানী‘র ঈদেও ৪ লাখ গবাদি-পশু বিক্রি হয়েছে যা অভাবনীয়।
তিনি আরও বলেন, কাগজের যুগ শেষ, সামনের দিন হবে ডিজিটাল বইয়ের যুগ। আমরা শিশু শ্রেণি থেকে পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত কাগজের বইকে কম্পিউটার প্রযুক্তির মাধ্যমে ডিজিটাল করেছি।
জব্বার বলেন, ডেস্কটপ পাবলিশিংয়ের আগে দেশে সীসার হরফ তার পর ফটো টাইপসেটার ছিল মূদ্রণ শিল্পের প্রযুক্তি। পৃথিবীতে প্রথম দেশ বাংলাদেশই ট্রেসিং পেপারে প্রকাশনার কাজ করেছে। এজন্য আমি একটি লেজার প্রিন্টার নষ্ট করেছি। দীর্ঘ প্রচেষ্টায় সফলতা পেয়েছি। এরই ফলে ৮ পৃষ্ঠার একটি পত্রিকা প্রকাশ করতে যেখানে ১২০জন মানুষের প্রয়োজন হতো সেখানে মাত্র ২০জন মানুষ ৮ পৃষ্ঠার পত্রিকা প্রকাশের জন্য যথেষ্ট হয়। এরই ধারাবাহিকতায় প্রকাশনা শিল্পে বৈপ্লবিক পরিবর্তন সূচিত হয় । দেশের কাগজে প্রকাশিত বইয়ের শতভাগ আমার তৈরি অক্ষর দিয়ে ছাপা হয়। এর চেয়ে সৌভাগ্য আর কী হতে পারে।
পরে মন্ত্রী বিজয়ীদের মধ্যে এওয়ার্ড হস্তান্তর করেন।
সুত্র – প্রেস বিজ্ঞপ্তি
আরও পড়ুন
শিক্ষার ডিজিটাল রূপান্তরের দায়িত্বও রাষ্ট্রকেই নিতে হবে – মোস্তাফা জব্বার
‘ডিজিটাল বাংলাদেশ টাস্কফোর্স’ এবার ‘স্মার্ট বাংলাদেশ টাস্কফোর্স’
সামাজিক দায়বদ্ধতা তহবিলের যথাযথ ব্যবহার ডিজিটাল বৈষম্য দূর করবে – মোস্তাফা জব্বার