![]() |
টেক শহর কনটেন্ট কাউন্সিলর : ইভ্যালির ব্যবসায় ফেরার সম্ভাবনা দেখছে ইভ্যালি পরিচালনায় থাকা হাইকোর্ট গঠিত বোর্ড ।
ইভ্যালি পরিচালনা বোর্ডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মাহবুব কবীর মিলন বলছেন, তারা অনেক সম্ভাবনা দেখছেন তাতে এই ব্যবসা শুরু করা সম্ভব।
শনিবার রাতে তিনি গণমাধ্যমকে বলেন, ‘আমাদের দায়িত্বে দুটি বিষয় আছে, ইভ্যালি যদি চলে তাহলে ব্যবসায় ফেরানো আর না চললে দেউলিয়া ঘোষণা করা।
‘আমারা প্রথম থেকেই চেষ্টা করছি, আমাদের মাইন্ডসেট ছিলে যে প্রথম অপশনটাই ট্রাই করবো। যেহেতু লাখ লাখ মানুষ ইনভলব। যদি দেউলিয়া হয় তাহলে কেউ কোনো টাকা পাবে না। ব্যবসা শুরু হলে পাওয়ার সম্ভাবনা থাকবে।’ উল্লেখ করেন তিনি।
ইভ্যালির বর্তমান এই এমডি বলেন, ‘আমি ব্যক্তিগতভাবে ইভ্যালির বড় বড় মার্চেন্ট বা ব্যবসায়ী যারা আছেন তাদের সঙ্গে কথা বলেছি। সবাই বলেছেন তারা ব্যবসা শুরু করতে রাজি আছে এবং তাদের পাওনা ডেফার করবে। মানে পাওনাটা এক বছর পর বা দুই বছর পর নেবেন তারা। এখন মিনিমাম ডিস্কাউন্টে যদি ব্যবসা শুরু হয়, সাপোজ যদি ২০ % ডিসকাউন্ট দেয়া হয় তাহলে এর হতে ৫০% নেবে তারা আর ৫০% ইভ্যালি নেবে।’
‘তাহলে স্কোপ কিন্তু ব্যবসা শুরু করার অনেকগুলো আছে। ২৫ কোটি টাকার যে পণ্য আছে এটাও কিন্তু একটা বড় ফ্যাক্টর। আবার অনেক ক্লায়েন্ট বলেছে তারা মার্কেট প্রাইসেই পণ্য নেবে, তারা ৫০% এখন দিয়েছে আর ৫০% টাকা আরও দেবো। এই যে সুযোগগুলো যেগুলো বাস্তবিক গত চার-পাঁচ মাসে দেখেছি-এটাতে একটা কথা বলা যায় এই ব্যবসা শুরু করা সম্ভব’ বলছিলেন তিনি।
মাহবুব কবীর মিলন বলেন, ‘ হাইকোর্টের আদেশে শেয়ার হস্তান্তর করছি। এতে শেয়ার হস্তান্তর সম্পন্ন হলো। তিনজন নতুন শেয়ার হোল্ডার ঢুকলেন। রাসেল সাহেবের শশুর, শাশুরি এবং ভায়রা। তারা আদালতে বলেছেন তারা বিনিয়োগ আনবেন।’
ইভ্যালি এমডি বলেন, ‘এখন সার্ভার সচলের বিষয় আসছে। সার্ভার উঠবে ডেফিনেটলি। কারণ শেয়ার হোল্ডার হিসেবে যারা আসছেন তারা ব্যবসা শুরু করার মনোবৃত্তি নিয়েই কিন্তু আসছে। তাহলে এই গ্রুপটার রাসেল সাহেবসহ সার্ভার আপ করতেই হবে। সার্ভার আপ না করলে ব্যবসা করতে পারবে না।’
তিনি বলেন, ‘এখন যতক্ষণ পর্যন্ত সার্ভার আপ না করা হবে যারা পাওনাদার তাদের টাকা পাওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়া যাবে না । কারণ ডকুমেন্ট যাচাই-বাছাই করা যাচ্ছে না। ইভ্যালি যতক্ষণ না বলবে পণ্যের আপডেট নিয়ে যে পণ্যটি ডেলিভার বা ডেলিভার না ততক্ষণ দাবি যাচাই করা যাচ্ছে না।’
‘আর ‘অডিট চলতি জুলাই মাসেই শেষ হবে। অফিসে কিছু কাগজ ও ছয়টি ব্যাংক স্টেটমেন্টের উপর অডিট হচ্ছে। অডিট শেষে আদালতের নির্দেশনা অনুযায়ী এরপর বিদায় নেবো।’ জানান তিনি।
এদিকে শুক্রবার ধানমণ্ডির ইভ্যালির কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে বোর্ডের চেয়ারম্যান ও আপিল বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি এ এইচ এম শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক বলেন, ‘ইভ্যালির সিইও মো. রাসেল ও তার স্ত্রী ইভ্যালির চেয়ারম্যান শামীমা নাসরিন বিনিয়োগকারী আনতে পারবেন বলে উচ্চ আদালতে একটি আর্জি দিয়েছেন। তারা যদি বিনিয়োগকারী আনতে পারে তবেই কোম্পানি চলবে, পাওনাদাররাও টাকা পাবে। এটা নির্ভর করছে তারা বিনিয়োগকারী আনতে পারবেন কি-না।’
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, গোডাউনে ২৫ কোটি টাকার পণ্য ছাড়াও ছয়টি গেটওয়েতে আটকা আছে আরও ২৫ কোটি টাকা ।
২০২১ সালের ১৬ সেপ্টেম্বর এক গ্রাহকের মামলায় গ্রেফতার হন ইভ্যালির প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান নির্বাহী মোহাম্মদ রাসেল এবং চেয়ারম্যান শামীমা নাসরিন।
এরপর আরও মামলা হয় তাদের নামে। চলতি বছরের এপ্রিল নাগাদ ৯ মামলায় তারা জামিন পান। তবে মোহাম্মদ রাসেলের বিরুদ্ধে আরও মামলা থাকায় তিনি কারামুক্ত হতে পারেননি । আর শামীমা নাসরিন বর্তমানে জামিনে রয়েছেন।