শেষ হলো ডিজিটাল লিটারেসি কুইজ ২০২২

টেক শহর কনটেন্ট কাউন্সিলর : শেষ হলো ডিজিটাল লিটারেসি কুইজ ২০২২ । ২২ মে থেকে শুরু করে ৩১ মে পর্যন্ত অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে থেকে ৬০ জন বিজয়ী নির্বাচন করা হয়। প্রতিযোগীদের মধ্যে যারা সবচেয়ে কম সময়ে অধিক প্রশ্নের উত্তর দিয়েছেন তাদের মধ্য থেকে প্রতিদিন ৬ জন করে বিজয়ী নির্বাচন করা হয়।

সিনিয়র সচিব এনএম জিয়াউল আলম রাজধানীর ইউনিভার্সিটি অফ এশিয়া প্যাসিফিক মিলনায়তনে আইসিটি বিভাগের উদ্যোগে আয়োজিত যুব প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের আইটি প্রতিযোগিতার সমাপনী ও পুরস্কার বিতরণ করেন ।

তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের সিনিয়র সচিব এনএম জিয়াউল আলম বলেন, প্রতিবন্ধীদের অক্ষমতা না দেখে তাদের সুপ্ত প্রতিভাকে খুঁজে বের করতে হবে। তারা সমাজের বোঝা নয় বরং সহযোগিতা পেলে তারাও দেশের সম্পদে রূপান্তরিত হবে।

Techshohor Youtube

তিনি বলেন , বিশেষভাবে সক্ষম / প্রতিবন্ধীরা সমাজের অবিচ্ছেদ্য অংশ। প্রতিবন্ধীদের জন্য অনুকূল পরিবেশ সৃষ্টি করতে ব্যক্তি ও সামাজিক মনোভাবের পরিবর্তন জরুরি। সরকার প্রতিবন্ধীদের উন্নয়নে কাজ করে যাচ্ছে । শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসহ সরকারি-বেসরকারি চাকুরি উভয়ক্ষেত্রেই কোটা বরাদ্দ রাখাসহ বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করেছে। বুদ্ধি প্রতিবন্ধী ,দৃষ্টি প্রতিবন্ধী সহ বিভিন্ন প্রতিবন্ধকতা অনুযায়ী চাকরির ব্যবস্থা করা হচ্ছে।

২০১৩ সালে “প্রতিবন্ধী ব্যক্তির অধিকার প্রতিষ্ঠা ও সুরক্ষা” নিশ্চিত করে না আইন প্রণয়ন করা হয়েছে। আইসিটি বিভাগ বিশেষভাবে সক্ষম ভাই-বোনদের সক্ষমতা বাড়িয়ে উন্নয়নের মূল স্রোতধারায় অংশগ্রহণের উপযুক্ত করে গড়ে তুলতে প্রতিবন্ধী বান্ধব প্রযুক্তি উদ্ভাবন, প্রশিক্ষণ মডিউল তৈরি, আইটি প্রতিযোগিতা , চাকরি মেলাসহ বিভিন্ন কর্মসূচি বাস্তবায়ন করছে । সক্ষমতা বাড়াতে এবং আমাদের তৈরি সুযোগগুলোকে কাজে লাগাতে হবে। এজন্য প্রতিবন্ধী ভাই বোনদের আইসিটি চর্চায় আরো মনোযোগী হওয়ার ওপর গুরুত্বারোপ করেন তিনি।

পরে , আইটি প্রতিযোগিতায় বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে অংশগ্রহণ কারী বিজয়ীদের মধ্যে পুরস্কার বিতরণ করা হয়। বিভিন্ন সরকারি বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসহ দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে যুব প্রতিবন্ধীরা এ আইটি প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করেন।

নারী পুরুষ নির্বিশেষে প্রতিযোগীদের মধ্যে শিশু-কিশোর ও বয়স্কদের অংশগ্রহণ উল্লেখযোগ্য থাকলেও ৫০ শতাংশের অধিক প্রতিযোগীই ছিলেন তরুণ। গত ১০ দিনে মোট ১০,৩৪৩ জন প্রতিযোগী এই কুইজে অংশগ্রহণ করেন। প্রতিযোগীদের মধ্যে যারা সবচেয়ে কম সময়ে অধিক প্রশ্নের উত্তর দিয়েছেন তাদের মধ্য থেকে প্রতিদিন ৬ জন করে বিজয়ী নির্বাচন করা হয়।

ডিজিটাল জীবনাচারণ, তথ্য অনুসন্ধান ও ব্যবহার, অনলাইন নিরাপত্তা, সুরক্ষা ও গোপনীয়তা, ডিজিটাল পরিমন্ডলে গ্রহণযোগ্য আচরণ, অনলাইন লেনদেন, ডিজিটাল নিরাপত্তার আইনগত দিক ও দায় দায়িত্ব প্রভৃতি বিষয়ের ওপর দেশের ও দেশের বাইরের যে কোন প্রান্ত থেকে এই প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণের সুযোগ ছিল উন্মুক্ত।

ইউনিভার্সিটি অফ এশিয়া প্যাসিফিক এর ভাইস চান্সেলর অধ্যাপক ড. কামরুল হাসানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিসিসির নির্বাহী পরিচালক ড. মোঃ আব্দুল মান্নান, বোর্ড অব ট্রাস্টি এর চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আলাউদ্দিন, সিএসআইডি’র নির্বাহী পরিচালক, খন্দকার জহুরুল আলম উপস্থিত ছিলেন ।

সূত্র – প্রেস বিজ্ঞপ্তি

*

*

আরও পড়ুন