ডিজিটাল ইনোভেশন কংগ্রেসে স্মার্ট বাংলাদেশের কর্মপরিকল্পনা তুলে ধরেছেন পলক

তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক

টেকশহর কনটেন্ট কাউন্সিলর: তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ বলেন, ২০৩১ সালের মধ্যে এসডিজি লক্ষ্যমাত্র অর্জন ও উচ্চ-মধ্যবিত্ত আয় নিশ্চিত করণ এবং ২০৪১ সাল নাগাদ জ্ঞান ভিত্তিক, উচ্চ অর্থনীতির উন্নত, সমৃদ্ধ দেশে রূপান্তরের লক্ষ্যে বিভিন্ন কর্মসূচি হাতে নেয়া হয়েছে । এর ফলে মাথাপিছু আয় বেড়ে দাঁড়াবে ১২ হাজার ৫০০ ডলার। গড়ে উঠবে স্মার্ট বাংলাদেশ। এর মাধ্যমে বাংলাদেশের কৃষি, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, পরিবহন, যোগাযোগের ক্ষেত্রে দ্রুত পরিবর্তন আসবে।

তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক শুক্রবার সিঙ্গাপুর ম্যারিনা বে সেন্ড হোটেলে ৩ দিন ব্যাপী চলমান “হুয়াওয়ে এশিয়া প্যাসিফি ডিজিটাল ইনোভেশন কংগ্রেসে ২০২২” এর দ্বিতীয় দিনের প্রথম টেকনিকেল সেশনে এই বক্তব্য রাখেন ।

তিনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ও আইসিটি উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয় এর তত্ত্বাবধানে ২০৪১ সালের জ্ঞানভিত্তিক, উদ্ভাবনী, উন্নত অর্থনীতির ‘স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণের কর্মপরিকল্পনা ও ডিজিটাল বাংলাদেশের সফলতাও তুলে ধরেছেন।

Techshohor Youtube

প্রতিমন্ত্রী বলেন, সজীব ওয়াজেদ জয়ের তত্ত্বাবধানে বিভিন্ন কর্মসূচি বাস্তবায়নের ফলে মাত্র ১৩ বছরে প্রতিটি ইউনিয়নের ব্রডব্যান্ড কানেক্টিভিটি পৌঁছে গেছে। ৯০ শতাংশ সরকারি সেবা মানুষের দোরগোড়ায় পৌঁছে দেয়া সম্ভব হয়েছে। বাংলাদেশ মধ্যম আয়ের দেশের রূপান্তরিত হয়েছে বলে উল্লেখ করেন প্রতিমন্ত্রী। তিনি বলেন, ডিজিটাল দুনিয়ায় বাংলাদেশের সার্বভৌমত্ব অক্ষুন্ন রাখতে এরই মধ্যে সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের মধ্যে ডিজিটাল সেতুবন্ধন রচনায় একটি সুরক্ষিত ক্লাউড অবোঠামো তৈরি করেছে আইসিটি বিভাগ। এই অবকাঠামোতে ইতিমধ্যেই ৩০টির বেশি বিভাগ, ৫০টির বেশি প্রকল্প অন্তর্ভূক্ত হয়েছে। ৫০ শতাংশ দক্ষতার উন্নয়ন ঘটেছে। আইটিইউ এর গ্লোবাল সাইবার সিকিউরিটি সূচকে ২৫ ধাপ এগিয়েছে বাংলাদেশ।

তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বক্তব্য রাখছেন হুয়াওয়ে এশিয়া প্যাসিফি ডিজিটাল ইনোভেশন কংগ্রেসে

তিনি আরো বলেন, বাংলাদেশের আইটি ও আইটিএস খাতে বিনিয়োগকারীদের আস্থা এখন ক্রমেই বাড়ছে। ২০১০ সাল থেকে প্রতি বছর গড়ে ১০ শতাংশ করে প্রবৃদ্ধি হয়েছে। এরমধ্যে ই-কমার্স খাতে প্রবৃদ্ধি হয়েছে ৬২৪ শতাংশ। এই ধারাবাহিকতায় আগামী ২০২৫ সালের মধ্যে স্থানীয় ই-কমার্স খাতে প্রবৃদ্ধি হবে ৮০ শতাংশ। দেশের ৭২ শতাংশ লেনদেন মোবাইল ফাইন্যান্সিয়াল মাধ্যমে হওয়ায় ডিজিটাল অর্থনীতিতে প্রবৃদ্ধি হয়েছে ৫০০ শতাংশ। ডিজিটাল ডিভাইস বাজারে প্রবৃদ্ধি হচ্ছে গড়ে ২৯ শতাংশ হারে।

দেশের ২৫০০টির বেশি স্টার্টআপ দেশে একটি উদ্যোক্তা সংস্কৃতি প্রতিষ্ঠা করেছে। এর মধ্যে ৭০ শতাংশই প্রযুক্তি নির্ভর উদ্যোক্তা। পলক বলেন, স্মার্ট বাংলাদেশ রূপকল্প বাস্তবায়নে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সকলকে সাথেই নিয়েই বাংলাদেশ একটি উন্নত দেশে রূপান্তরিত হবে। স্বাভাবিক গতিতেই যেনো এই রূপান্তর সম্ভব হয় সেজন্য সরকার বেশ কিছু পদক্ষেপ নিয়েছে সরকার। এর মধ্যে তরুণদের উদ্ভাবনকে সবচেয়ে গুরুত্ব দেয়া হয়েছে। তাদের নিয়েই ২০৪১ সালে অর্থনীতি শক্তিতে বাংলাদেশের অবস্থান বিশ্বে ২৩তম হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হবে। জিডিপিতে আইসিটির অবদান বেড়ে দাঁড়াবে ২০ শতাংশ ।

তিনি আরো বলেন, অর্থনৈতিক উন্নয়নে দেশের উদ্ভাবক এবং উদ্যোক্তারাই হবে গেম চেঞ্জার। এজন্য আইডিইএ প্রকল্পের মাধ্যমে বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে শিক্ষাবিদ, অ্যাক্সেলেরেটস ও ইনকিউবেটরসদের মধ্যে একটি ইকোসিস্টেম তিরি করছে সরকার।

সম্মেলনে বিভিন্ন দেশের মন্ত্রী,সরকারি ও বেসরকারি নীতিনির্ধারণী ব্যক্তিবর্গ অংশগ্রহণ করেন।

*

*

আরও পড়ুন